(এই ভাবনাগুলোর জন্য কোনো ছবি হয় কি? জানিনা)
ভাললাগাকে নিয়ে ডুবতে ডুবতেই মানুষ মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে নেয়। (আসলে ইচ্ছে করে কেউ আলিঙ্গন করে নেয় না) বরং, মেনে নেয়। কোনোকিছুকে শূন্য করার জন্য অবশ্যই কিছু করতে হয় না। কিন্তু মৃত্যু 'শূন্যতা' নয়, এটা অন্য কিছু একটা শুরুর প্রারম্ভিকা মাত্র। শুরু কিংবা গঠন, এটার পেছনেই থাকে- মানুষের যত প্রচেষ্টা, নির্ঘুম রাত, বেপরোয়া স্বপ্ন আর গোপন প্রত্যাশা।
বেকার থেকে মরে যাওয়াটা তাই, একদম অসম্ভব। মানুষের পক্ষে অসম্ভব। যেকোনো প্রাণীর ক্ষেত্রেই, তা-ই। মৃত্যু পর্যন্ত যাইনি, তবে এর আগ পর্যন্ত গিয়েছি। তাই জানিনা, মৃত্যু কেমন হয়। শুধু জানি, এর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত মস্তিষ্কে বিস্ফোরণ চলতে থাকে। মস্তিষ্কের নিউরণে নিউরণে ছোট ছোট আকস্মিক বিস্ফোরণগুলো তখন একটা ভাবনাই বহন করে- শূন্যতা, মানে কিছুই না।
এতো সহজ নয়, ভাবনায় কিছু আসাটা।
তবুও, মৃত্যু আবশ্যম্ভাবী। আসবেই। তাহলে, মৃত্যুকে খুব খুঁজে কী দরকার? দরকার নেই। আবশ্যম্ভাবী ঘটনার পেছনে সময় খরচার কোনো দরকার নেই আসলে। দরকার আছে সেখানে- যেখানে অসাধ্যের মাঝেও মানুষের আশ্চর্য সাধন থাকে; লালন থাকে,
যেখানে স্বপ্ন থাকে (পূরণ হোক বা না হোক), যেখানে পারবোনা জেনেও 'লস প্রজেক্ট' এ হাত দেবার সাহস থাকে। অবশ্য, (দরকারে) নিবিষ্ট হবার আগ পর্যন্তও মানুষ জানে না সে কী পারে এবং কী পারে না।
আমি যেদিন মরে যাবো, হয়তো এমন হয়ে থাকবে যে তখন আমি একটা কবিতা লিখছি। অথবা এমনকিছু, যা আমি কোনোদিন কাউকে মুখে বলে জানাতে চাইনি। অথবা, একটু হাসবোই হয়তো। সময়কে আসতে বারণ করো না, জানো তো সে আসবেই। আজ জেনে রাখো- কোনোকিছু শেষ না হলে, নতুন কিছুর শুরুটা হবে কি করে?
''একটা পলকের কাছে মানুষ কতকিছু চেয়ে বসে। মানুষ জানে না তবুও, কেন চেয়ে বসে।''
*পঞ্চ ইন্দ্রিয় পর্যন্ত জানা না থাকলে মানুষ কোনোদিন ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের খোঁজ করতো না। ০ না থাকলে ১ এর সৃষ্টি হতো না।
(শিরোনামের জন্য লাইন দুটো বলা লাগলো)
- পেন আর্নার