।। বইয়ের প্রচ্ছদটা যদি কোনো সুর হতো
নিতান্তই তবে তোমার চোখ পড়তে হতো না তাতে
উঠে আর নেমে যাওয়া প্রত্যেকটি ঢেউয়ে
তুমি মিশে যেতে আমার থামানো কথাদের ভিড়ে
কারো জন্মের আগের রাতে
শত মৃত্যুর রঙ হাতে
নেচে গিয়েছিলো এক ভৌত শরীর—
সে কল্পনা থামানোর অপেক্ষায় ডুবে গেলো সব চোখ এক
করুণ সুরে।
।। চামচের ঘূর্ণিতে মিশে গেছে সব আয়োজন, একাকার হয়ে।
শাদা কাপের ভেতর- ওপরে ভেসে থাকা সফেদ ফেনায় এখন দেখতে পাচ্ছি একটা গ্যালাক্সি
সদ্য যেন সেখান থেকে ছুটে গেলো কোনো সুগন্ধি ধূমকেতু!
।। মাঝে মাঝে মনে হয়
একদম পড়ে যাই,
প্রান্ত থেকে . .
.
.
.
অপার অনন্তে ` , .'
` .
এবং সেই পড়ন আর শেষ না হয়।
কোনো পাথরের ওপর
মাথাটা পড়লেই
ফেটে চৌচির হয়ে যাবে
ঘুমন্ত স্বপ্নগুলো।
।। আফসোস হয় মাঝে মাঝে, কেন গেলাম না সুরের কাছে; হাতের তালু মাখানো পেন্সিলের কালির কাছে; শব্দের পুটলিটা বয়ে কোনো বৈরাগী শূন্যতার কাছে...
...সম্পূর্ণ ডুবে কেন গেলাম না, নিজেকে মনে রেখে পৃথিবীকে কেন ভুলে গেলাম না... (?)
আমার খুব দরকার ছিলো হারিয়ে যাওয়ার।