নাস্তিক হওয়ার মূল কারন হিংসাঃ
কেননা মানুষের উল্লেখযোগ্য কোনো অর্জন বা নিয়ামতপ্রাপ্তিতে হিংসুক ব্যক্তির অন্তরে ঈর্ষা, হতাশা ও কষ্টের জন্ম দেয়। যখন কোনো মানুষ অন্য মানুষের প্রতি ঈর্ষাতুর হয়, তখন সে আল্লাহ তায়ালার প্রজ্ঞাকে সন্দেহ করে এবং তার সিদ্বান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।কেননা কাকে কোন নিয়ামত দেয়া হবে কিংবা কার প্রতি কতটুকু দয়া দেখানো হবে, তা একান্তই আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছাধীন।
হিংসায় মানুষের বিবেক নষ্ট হয়ে যায়৷ হিংসার কারনে আল্লাহর প্রজ্ঞাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে এক পর্যায়ে সে মনে করতে থাকে কুরআন আল্লাহর বানী নয়৷ ইসলামের বহুবিবাহকে কেন্দ্র করে বহুমুসলিম নাস্তিক হয়ে গেছে৷
কুরআনের সকল তাফসিরকারকগন একমত যে ইহুদিদের দ্বারা নবীর নারীসঙ্গপ্রীতির প্রেক্ষিতে কুরআনের নিসার ৫৪ নম্বর আয়াত নাযিল হয়৷ ইহুদিদের অভিযোগ ছিল স্ত্রী সঙ্গ ছাড়া নবীর অন্য কোন কাজ নেই? আয়াতে বলা হয়েছে " তারা কি ঈর্ষা করে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে মানুষকে যা যা দিয়েছেন৷ " একই কারনে বহু মুসলিমও নাস্তিক হয়ে গেছে বা ইসলামকে ঘৃণা করেছে৷
হিংসা খুবই জঘন্য অপরাধ৷আকাশে প্রথম অপরাধ হিংসা৷
ইবলিশ জান্নাত থেকে বিতাড়িত হয়েছে আদমের সুখ সহ্য করতে না পারায়৷ হাবিলের সুখ কাবিল সহ্য করতে পারেনি বিধায় পৃথিবীর প্রথম খুন সংঘটিত হয়৷
তেমনি মুহাম্মদের অধিক নারীসঙ্গ প্রাপ্তির হিংসায় কি পরিমান লোক ইসলাম থেকে সরে গেছে বা ইসলামের প্রতি ঘৃণা করছে ৷ তা ধারনারও বাইরে৷
উদাহরনস্বরুপ বহুগামী পুরুষের একটি মৌলিক ধর্ম৷ প্রত্যেক পুরুষই বহুনারীর স্বাদ পেতে চায়৷ কিন্তু মনের কথাটি সরলভাবে প্রকাশ করার সৎসাহস খুব কম পুরুষেরই আছে৷ বরং কোন যুবক বিধাতার অনুগ্রহ স্বরুপ একাধিক নারী নেয়ামত পেলে কাপুরুষরা হিংসার বশর্বতী হয়ে লেজকাটা শেয়ালের মতো উক্ত সুপুরষকে লুইচ্চা বলে আখ্যায়িত করে নিজেদের না পাওয়ার বেদনাটাকে প্রশমিত করতে চায় মাত্র৷
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৫:৪০