একজন অবিবাহিত যুবক যৌনতার দিক দিয়ে একটু খারাপ যে মাঝে মধ্যে হস্তমৈথুন করে ফেলে৷ তারচেয়ে বেশী খারাপ যে পর্ন দেখে হস্তমৈথুন করে৷ তারও চেয়ে বেশী খারাপ যে প্রেমিকার সাথে দুই একবার আবেগে সেক্স করে ফেলেছে৷ কিন্তু এদের সবার চেয়েও বেশী খারাপ ও লম্পট যে কাজের মেয়ের সাথে সেক্স করে ফেলেছে৷
কিন্তু কুরআনে কিছু শর্তের বিনিময়ে সবচেয়ে বেশী খারাপ ও লম্পট যেটাকে আমরা ভাবি সেটাকে স্টার বানিয়ে ইবাদতের পর্যায়ে নিয়ে গেছে৷ তা হলো দাসীর সাথে সেক্স করা৷
এখানে কিছু প্রশ্ন এসে যায় বিকল্প যৌন চাহিদা পূরনের জন্যে কুরআন কেন দাসীর দিকে ঠেলে দিল? কুরআন কেন পর্ন দেখাকে বৈধ ঘোষনা করল না? কিংবা মাঝে মধ্যে হরমোনের চাপে হস্তমৈথুন করাকে কেন বৈধ করল না? কুরআন পর্ন ও হস্তমৈথুনের মতো ছোট অপরাধ যেখানে ব্যভিচারই হয় না সেটাকে এতো বড় অপরাধ বিবেচনা করল?
নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোন থেকে বিচার করলে যৌনতা তখনই খারাপ যখন তা সমাজ ও মানুষের ক্ষতি হয় বা অন্যের অধিকার ক্ষুন্ন করে৷
হতে পারে, হস্তমৈথুন করলে নারী বঞ্চিত হয়৷কারন এতে নারী অনুপস্থিত৷ আল্লাহ এটা চান না৷
পর্ন দেখলে কারও উপকার হয় না৷ বিতৃষ্ণা আসে, মস্তিষ্কে বিকৃতি আসে৷
অন্যদিকে দাসীরা মনিবের চাকর৷তারা এমনিতেই চড় থাপ্পড় খায়৷ কিন্তু আল্লাহর কাছে সবাই সমান৷ হয়তো আল্লাহ এটা চান যে সমাজের নিচু বস্তির মেয়েরাও কোটিপতির সাথে সেক্স করার বিনিময় কয়েকটা চুমো খাক৷ আবার সেক্স করার সময় পুরুষরা নারীর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে৷ তাদের চাহিদা তখন মালিক পূরন করতে চাইবে৷ যদিও কুরআনে দাসীর সন্তানকে সমান সম্পত্তি ভাগ দেওয়ার ঘোষনা করেছে৷ তারাও সমাজের প্রথম শ্রেনীর স্রোতে উঠে আসুক৷ আর মুহাম্মদ সঃ কেও গরিবের প্রতি খুব মনযোগী দেখা গেছে৷ তোমরা যা খাবে দাস দাসীকেও তা দিবে৷ তেমনি তোমরা সেক্সের সুযোগটিও তাদের দিবে৷সেক্সের কথাটি হয়তো বিদায় হজ্জে বলেন নি কুরআনে ঘুরিয়ে প্যচিয়ে বলেছেন৷ বহুবিবাহ, দাসীর সাথে যৌনতা মানুষের মানবিক গুনাবলি স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা, সততা, আমানতদারিতা, ন্যায় বিচার, পরোপকারিতা, ইত্যাদি নষ্ট করে না৷ তাহলে সমাজের মানুষ এগুলিকে খারাপ দৃষ্টিভঙ্গিতে নিয়ে যায় ভিন্ন কারনে যা গল্পের শুরুতেই বলেছি৷ কারন বর্তমান সুযোগসন্ধানী, স্বার্থপর সমাজ দাসীদের সাথে সেক্স করে কেটে পড়ে, ইসলাম অধিকার দেয়৷ ফলে খুব কাছাকাছি যৌন বিষয়ক ব্যপারে আকাশ পাতাল ফারাক রয়েছে৷ আর নারীরা যেহেতু স্বামীর ভাগ শেয়ার করতে অনিচ্ছুক তাই দাসীর ব্যপারে তাদের ঘৃনা নাস্তিকদের চেয়েও বেশী৷ কারন নারীরা সমাজের স্বার্থের চেয়ে নিজের স্বার্থকে অনেক বড় করে দেখে৷
এতে বুঝা যায় দাসীর সাথে সেক্স সমাজ ও নারী খারাপ চোখে দেখে তিনটি দিক বিবেচনা করে হিংসা, শ্রেনী বৈষ্যম্য আর লোভ৷
কিন্তু নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোন যেখানে হিংসা নেই, ভেদাভেদ নেই আর সম্পত্তির লোভও নেই৷ শুধু আছে মানবিকতা আর ভালোবাসা সে সমাজে দাসীকে প্রায় স্ত্রীর মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করা কঠিন কিছু নয়৷
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২৭