১) নারীদের দিকে না তাকানো ( সূরা নূর আয়াতঃ৩০)
কিন্তু বাস্তবতাঃ
প্রথম পর্যায়ঃ বহু নারীর নিত্যনতুন ফটো ফেসবুকে দেখা, মার্কেটে আরচোখে সুন্দরী নারীদের এক চমক দেখে নেওয়া৷
টিভি স্ক্রীনে সুন্দরী নারীদের এনজয় করে মনটাকে চাঙ্গা করা৷
দ্বিতীয় পর্যায়ঃ ফেসবুকে মেসেজ, মোবাইলে কথা বলা, ফেসবুকে নারীদের মেসেজ পাঠানো ও জাস্ট ফেসবুক গার্লফ্রেন্ড হওয়া যদিও বাস্তবে কেউ কাউকে দেখেনি৷ ফেসবুকেই দেখা, মন দেওয়া, ঐ নারীকে কল্পনা করা ও একসময় ফেসবুকেই হারিয়ে যাওয়া মানে তাকে বাদ দিয়ে নতুন আরেকটি৷ এইগুলি ২-৩ মাস স্থায়ী হয়৷ এভাবে হাজারো নারীকে নিয়ে কল্পনা করা আবার বাদ দেওয়া৷
তৃতীয় পর্যায়ঃ উক্ত নারীর সাথে সরাসরি সাক্ষাত, তাকে নিয়ে পার্কে যাওয়া ও ব্যভিচার করা ইত্যাদি৷
তার মানে নারী ফিতনা থেকে বর্তমানে কেউই মুক্ত নয়৷ কেউ হয়তো বা প্রথম পর্যায়ে যারা ধার্মিক টাইপের৷ যা খুবই অল্প৷ এমনকি অধিকাংশ তরুন তরুনী দ্বিতীয় পর্যােয়ও নেই৷ বরং তৃতীয় পর্যায়ের দিকে এগুচ্ছে সমাজ৷
ﻣﺎ ﺗﺮﻛﺖ ﺑﻌﺪﻱ ﻓﺘﻨﺔ ﺃﺷﺪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺮﺟﺎﻝ ﻣﻦ ﺍﻟﻨﺴﺎﺀ
পরুষদের জন্যে নারীর চেয়ে কঠিন ফিতনা আমি রেখে যাই নি৷ (আল হাদিস)
নারীর দিকে একদম তাকানো যাবে না৷ কাজটি বড়ই কঠিন৷ আর হাদিসও তাই বলছে৷
অথচ এ দৃষ্টি বড়ই অসাড়৷ এভাবে তাকানো কোনদিন পাত্রী এনে দিতে পারে না, তাহলে কাজীর প্রয়োজন হতো না৷ মহান আল্লাহ যিনি মূর্তি পূজা নিষেধ করেছেন মূর্তির অসাড়তার কারনে৷ না এটি উপকার করতে পারে না অপকার করতেও পারে না৷ নারীদের দিকে তাকানো মূর্তির কাছে চাওয়ার মতোই অসাড়৷
রাসূল সা. বলেন “ মহান আল্লাহ অভিশম্পাত দেন কুদৃষ্টি দানকারী পুরূষ ও দৃষ্টিদানে সুযোগদানকারী নারীর ওপরও”। (মিশকাত ২৭০)
নারীর দিকে না তাকালে পৃথিবীটা নিরস লাগবে৷ আর এই গ্যাপ পূরন করতে ইসলামে বহুবিবাহ আছে৷
তারমানে বিষয়টি কঠিন হলেও কুরআন মেনে নেওয়ার মাধ্যমেই সফলতা৷ অন্যতায় গুনাহ হবে৷ কিন্তু লাভ হবে না কিছুই৷
বাকি বিষয়গুলি হলোঃ
২) পুরুষদের বহুবিবাহ নারীদের মেনে নেওয়া৷ ( সূরা নিসা)
৩) বেশী সন্তান নেওয়া৷( সূরা বনী ইসরাইল)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭