somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্টেপ পেরেন্টস (Step parents)

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(চার)
দুষ্টুর কালো হাত

প্রায় ষাট কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বিশ্ব সৌন্দর্য্য মন্ডিত ম্যানগ্রোভ সমৃদ্ধ সুন্দরবন। অগ্রহায়ন মাসে প্রকৃতির কোল ঘেষে সুন্দরবনে শুরু হয় মহাউৎসব রাস মেলা। পূর্ণাথীরা দলে দলে সুন্দরবনে আসে রাঁধা-কৃষ্ণের মিলন স্থলে। পূর্ণিমায় পূর্ণস্নান করে মনোবাসনা পূর্ণকরে। কালা তার দু’কানে কনিষ্ঠা পুরে তিন ডুব দিয়ে দীর্ঘ দিনের বাসনা পূর্ণ করলো। চাঁদোয়া রাতে প্রকৃতি যেন তার স্বরূপে বিকশিত হয়। এ বনের দেবী তার ধবধবে সাদা রাজহংসের মতো রাজপ্রাসাদ নিয়ে ফিরে আসেন বারবার। বনের সৌভাগ্যবানরা তাকে দেখে বিমুগ্ধ হন। তাদের জীবন ধন্য হতো। স্থানীয়রা বাঘের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বনবিবি ও বনদেবীর পূজা করে। আর কুমিরের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কালু খা ও কালু রায়ের পূজা করে তারা। যা গাজীর পাটের বনবিবি ও কালু খা আর পূরাণে বর্ণিত বনদেবী ও কালু রায় নামে অধিক পরিচিত। এ এক কল্পিত দেবীর কথা,যার কথা লোকমুখে ছড়িয়ে রয়েছে।
একপাশে অরণ্য তার অন্যপাশে নদী আর জল। প্রকৃতি তার প্রয়োজন মতো নিজেকে সাজিয়ে রেখেছে। প্রকৃতির অর্পূব দান এ সুন্দরবন তারই উদাহরন। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে সুন্দরবনের আর্কষণে। ব্যবসায়িক প্রয়োজন ও বৈচিত্র কারণে। সুন্দরবনে বাঘের আধিপত্য ব্যাপক ছিল। সুন্দরবন নিজেকে সাজিয়েছে অপরূপ সৌন্দর্য্য।ে বাঘের ভয়ংকর গর্জন,ভিতু হরিণের অলতো পায়ে পথ চলা,বানরের কিচির মিচির শব্দ,গাছের সুনিবিড় ছায়ায় বেঁচে থাকা হাজারো প্রাণীকূল।রক্ষা করছে প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য ও খাদ্যশৃঙ্খলকে। সামুদ্রিক ঝড়,জলোৎশ্বাস থেকে রক্ষা করে উপকূলবর্তী বসবাসকারীদের। বনখেকোরা ধ্বংস করছে প্রকৃতির এ অপূর্ব লীলাভূমি। গাছ কেটে,বন্য প্রাণী মেরে উজাড় করছে বনভূমি। গোপনে পাচার করছে বিভিন্ন প্রজাতির র্দুলভ প্রাণী।এ অঞ্চলটা সম্পূর্ণ ছিল বাঘের অভয়ারণ্য। আজ চিড়িয়াখানার লোহার বেষ্টনিতে দাপুটে বাঘমামা লেজ গুটিয়ে বসে ভাবছে তাদের অতীত ইতিহাস। গুণছে ভবিষ্যৎ বিলুপ্তির দিন। বাঘ গণনাকারীরা বাঘ বিলুপ্তির সর্তকবার্তা দিয়ে যাচ্ছে প্রতিবছর। মাছের রাজা ইঁলিশ বনের রাজা বাঘ। ইঁলিশের স্বাদ নাই,বাঘের গর্জন নাই। কালের গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে ওরা।

দুষ্টুদের হাত থেকে রেহাই পায় নাই বাগেরহাটে ষাট গুম্বুজ মাজারে শান্তিতে শায়িত পীর খান জাহান আলীর নিজ হাতে পোষা শান্তি প্রিয় কুমির কালা পাহাড় ও ধলা পাহাড়। দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভক্তদের এত আশার মানত কেড়ে নেয় এ দুষ্টু চক্ররা।
দুষ্টু মানুষের বিরূপ ব্যবহারে প্রকৃতিও বিরূপ হয়ে উঠছে বারবার। ঘন ঘন ঝড়-জলোৎশ্বাস আঘাত হানছে নিরীহ মানুষের উপর।

ভাগাভাগির পৃথিবীতে দখলবাজদের জয়জয়কার। পৃথিবীর প্রতিটি বস্তু ও প্রাণীতে ভেদাভেদ সৃষ্টি করেছে,করছে হানাহানী। মানুষকে যে কত শ্রেনীতে ভাগ করে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য তার হিসেব নাই। তারাই আবার মানুষকে ভাগ করেছে দু’ শ্রেণীতে সংখ্যা গুরু আর সংখ্যা লঘু। পৃথিবীর সবাই সংখ্যা লঘু-এদেশের পাহারী নৃগোষ্ঠী,হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টানরা সংখ্যা লঘু আর শুধু মুসলমানরা সংখ্যা গরিষ্ঠ। ভারতে খ্রীষ্টান-মুসলমান-শিখ-জৌন-বৌদ্ধরা সংখ্যা লঘু ,হি›্দুরা সংখ্যা গরিষ্ঠ। মিয়ানমারে মুসলমান-হিন্দু-খ্রীষ্টানরা সংখ্যা লঘু বৌদ্ধরা সংখ্যা গরিষ্ঠ। পাকিস্তানে হিন্দু-খ্রীষ্টান-শিখরা সংখ্যা লঘু গোষ্ঠী মুসলমানরা সংখ্যা গরিষ্ঠ। সাদার দেশে যেমন কালো,কালোর দেশে সাদা। লম্বার দেশে যেমন বেটে,বেটের ধারে লম্বা খাটো। ধনীর কাছে গরীব দুঃখী,গরীবের কাছে নিঃসঙ্গ ধনী। আর্য্যর দেশে অনার্য্যরা যেমন। গুরু-লঘু,সাদা-কালোর দ্বন্দ্ব চিরকাল। হিন্দু, মুসলমান,বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান শিখসহ সব জাতীতেও আছে নিজেদের মধ্যে বিভেদ,রেষারেষি। নিজ জাতীর মধ্যে আছে উচু-নিচু জাতভেদ। ভগবান,আল্লাহ,প্রভু,ঈশ্বর,ঠাকুর কতশত নাম। পোড়া মাটির মূর্ত্তিতে মাথা কুটে খোজে ভগবান। অসীম শূন্যে কোথায় খুজে ফেরে আল্লার সন্ধান। চৌবাচ্চার পানিতে ডুব দিলে হয় প্রভূর সন্তান। ঐক্যে মানুষ মহান,বাড়ে জাতীর সন্মান, নয় পশুর সমান। এক কাতারে দাড়ায় করে আল্লার গুনগান,‘মহান হে তুমি মহান।’ ডানে ভিক্ষারী বামে পথচারী মাঝে ধনবান। মন্দির, মসজিদ, গীর্জায় ছোট বড় সবাই সমান। মৃত্যুর পরে কোথায় হবে সংখ্যা গরিষ্ঠ ও সংখ্যা লঘুর বিচার, বেহেসতে না দোজখে। বিবেক মানুষের বিচারালয়। মানুষ নিজেই তার বিচারক।বিবেকের কাঠগড়ায় সবাইকে দাড়াতে হয়। যিনি আসামী তিনিই বিচারক। শ্রেষ্ঠ হয় সেই বিচার। কোনটা ভালো কোনটা মন্দ আমরা সবাই বুঝি কিন্তু করি না। হিংসার কালনাগ ফুলে ফুসে ওঠে। ধ্বংস করে সাজানো মন মন্দির। গৃহহীন হচ্ছে পৃথিবীর লাখ লাখ সংখ্যালঘু পরিবার।

দুষ্টু লোকের করাল গ্রাসে গ্রামের কথিত সংখ্যা লঘু পরিবারগুলো আজ ছন্নছাড়া,দিশেহারা।কোথায় যাবে এরা। দেশ,মাতৃভূমি,মায়া,মমতা এগুলোতো এক সুতায় বাধা। দেশের মায়া ত্যাগ করা এতো সহজ। সে তো মায়ের নাড়ী ছেড়া ধনের চেয়ে বড়। পৃথিবীর সর্বত্র সব মানুষের জন্য। কি নিষ্ঠুর,কি নির্মম সে দৃশ্য। রাতের আধারে নির্যাতনের নির্মম খড়গ নেমে আসে এদের উপর। টাকা-পয়সা,ধন-দৌলত,জমি জোর করে লিখে নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালী কথিত সংখ্যাগুরুরা। সারা রাত যুবতী মেয়ে কল্পনাকে নিয়ে নারিকেল-সুপারীর বন জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল রাজ্জাকের গ্রামের কাকু। সাত সকালে কাকু এসে হাজির হয়েছিল রাজ্জাকের ঘরে। উৎকন্ঠিত ক্লান্ত স্বরে ‘ও রাজ্জাক,রাজ্জাক।’রাজ্জাকের ঘুম ভেঙ্গে গেলো আচমকা। গলা চেনা চেনা মনে হল। রাজ্জাক বিছানা ছেড়ে দরজা খুলে দেখলো তার গ্রামের কাকু-কাকি উঠানে বসেছিল এক মলিন কাপড়ে। এক হাতে মেয়ের হাত ধরেছিল। দৃশ্য দেখে রাজ্জাক হতভম্ব হয়ে বলে উঠেছিল,‘কি হইছে কাকু তোমার?’ সামনে এগিয়ে গিয়ে কাকুর হাত ধরল। কাকু মনে একটু ভরসা পেলো।একজন কেড়ে নিল আরেক জন ভরসা দিল। উঠে দাড়ানোর শক্তি নাই বসে বসে রাজ্জাকের হাত শক্ত করে ধরে দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বলল ‘সব কেড়ে নিল ওরা।কিছু নাই।এই ম্যাইয়ের ইজ্জত নিয়ে বাইচে আইছি। আমারে রাজ্জাক ওপারে পাঠায় দে,বাবা। ভিক্ষা করে খাবো।’ রাজ্জাক সব বুঝে ফেলল।কাকুর হৃদস্পন্দন রাজ্জাকের শিরায় শিরায় বয়ে গেলো। চিল যেমন মুরগীর বাচ্চকে ছোঁ মেরে নিয়ে যায়,মা মুরগী বাকি বাচ্চাকে নিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়। বাচ্চাদের আগলে রাখে তার ভালোবাসার পরম ¯েœহে ডানার নিচে। মা মুরগী মাটিতে র্দুধর্ষ চিলের ছায়া ও তার গলার র্ককশ স্বর শুনে আতঁকে ওঠে,তার পিলে চমকে যায়। ঠিক তেমন চিত্র কাকুর চোখে মুখে ফুটে উঠেছিল। মনে হচ্ছিল তার পিছনে কোন র্দুধর্ষ ছায়া তাকে পিছু তাড়া করছিল এই বুঝি ধরে ফেলল কাকুকে। অনেক কষ্টে সে এ বাড়ী প্রর্যন্ত এসেছিল। আর যাবে না কোনো দিন তার বাপ-দাদার ভিটে মাটিতে। সকল মায়া,মমতা কেড়ে নিয়েছিল। চোখের নোনা জল আজ আরো নোনা। সামনে হতাশা আর নিরাশা চুপ করে বসে ছিল কাকুর কপালের দিকে তাকিয়ে। কড়া নাড়ছিল নির্মম সত্য। বাস্তবতা বড় কঠিন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ বলেছেন,‘সত্য বড় কঠিন,আমি সত্যকে ভালোবাসিনা।’ কিন্তু ভালোবাসতে শিখতে হবে। মাল বোঝাই নৌকা নিয়ে মাঝি যেমন বৈঠা বেয়ে প্রতিকূলে চলে কঠিন সত্যকে স্বীকার করেছে তেমন বাতাসের গতিকে বশ মানিয়ে চলতে হবে।
দুষ্টু লোকের প্ররোচনায় ধর্মের নামে অর্ধম চলছে পৃথিবীতে। ধর্মের শ্রেষ্ঠ কিতাব তারা যতœ করে রাখে কিন্তু পড়ে না। মাথায় রাখে না চিলে নিয়ে যাবে,মাটিতে রাখে না ঘুনেপোকায় খাবে ।
দখলদারের ধাপ্পাবাজির খপ্পরে পড়ে চাঁদমামা,সূর্য্যমিামা,তারাদেরকে যেন এখন পর পর মনে হয়। শীতের সকালে সরকারী রাস্তার উপর বসে রোদ পোহাতে পোহাতে পল্লল সূর্য্যমিামার দিকে আঙ্গুল উচিয়ে রিপনকে বলছিল,‘জানিস সূর্য্য আমাদের।’ রিপন দেরী না করে ঘাড় ঘুরিয়ে দ্রুত গতিতে সাথে সাথে বলে ওঠলো,‘তুমি জানো চাঁদ আমাদের?’ রিপন এমনভাবে বলল যেন পল্লল চাঁদও দখল করে না নেয়। সেই সাথে আকাশের তাঁরা যে খ্রীষ্টানদের মনে করিয়ে দেয়,‘তাঁরা কিন্তু তোমাদেরও না আমাদেরও না।’ যিশুর জন্মের খবর ও পথ দেখিয়েছিল আকাশের ঐ তাঁরারা। সেই থেকে তাঁরা খ্রীষ্টানদের। সব কিছু দখল হয়ে গেছে ছোট্ট প্রাণী পিপিলিকা যারা সারা দিন রাত খাদ্য সংগ্রহের কাজে ব্যতিব্যস্ত কথা বলার সময় নাই। মুখে খাবার নিয়ে চলছে। তাদেরকে নিয়েও দখলবাজি শুরু করছে এ মনুষ্যকূল। কাজের ব্যস্ততার সুযোগ পেয়ে ওদের মুখের কথা মনুষ্যরা বলছে নির্বিচারে,‘কালো পিঁপড়ে হিন্দু আর লাল পিপড়ে মানে মুসলমান।’ বেচারা অবোধ গরু। হিন্দুরা ওর দেহে লক্ষ লক্ষ দেবদেবীর সন্ধান করছে প্রতিনিয়ত। অন্যরা কেটে কুচি কুচি করে খাচ্ছে তৃপ্তিভরে। পশু-পাখিরা আমদের নিয়ে যে ঠাট্টা-তামাসা করছে আমরা বুঝিনা।ওরা আমাদের মাথার উপর মিটিং করে।মাঝে মাঝে নির্বোধ মানুষের মাথার উপর হাগু করে উড়ে গিয়ে বলে,‘দেখ কে বড়।’ পশু-পাখির ভাষা বোঝার যন্ত্র আবিষ্কার হলে সেদিন বোঝা যাবে গরু কার? এই মনুষ্য জাতিকে নিয়ে কি মন্তব্য করে তার অপেক্ষায়। এই উপমহাদেশের ধর্মপ্রিয় নিরীহ মানুষের ধর্মকে বর্ম করে বেচারা গরু আর শুকরকে নিয়ে ব্রিটিশরা রাজনীতি করেও পার পেলো না।
ব্রিটিশরা প্রায় দু’শ বছর ভারতবর্ষ শাসন করে পরাজিত হয়ে চলে গেলেও দ্বিজাতি তত্বের ভিত্তিতে জাতিগত ভেদাভেদ-হানাহানি জিইয়ে রেখেছে এ অঞ্চলে চিরকালের জন্য। রেখে যায় তার বিভেদ নিশানা। ভূ-বিভাজন করেছে আরো ভয়ঙ্কর ভাবে বাংলা,পাঞ্জাব,কাশ্মীরকে দ্বি-খ-িত করে কূটচাল চেলেছিল। একই ভাষার মানুষ দু’দেশে বসবাস করে। বহতা নদী মরে গেলেও তার চিহ্ন থেকে যায়।ব্রিটিশ তাই করেছিলো। তারপর পাকিস্তানি শোষণ থেকে মুক্তি আনলো এ দেশের বীর মুক্তিকামীরা। ব্রিটিশের শাসন পাকিস্তানের শোষণ ও মুজিবের ভাষণ। বর্তমানে গণতন্ত্রের কর্ষণ চলছে। গণতন্ত্রের ভারে ভারাক্রান্ত্র । মুখে গণতন্ত্র কাজে নাই। বলতে বলতে মুখ ছিড়ে পড়ছে নেতা-নেত্রীদের। তবুও দেখা মিলছে না এই যুবক দেশের গণতন্ত্র আর স্বচ্ছতা। এ উর্বর ভূমিতে এতো কিছু চাষাবাদ হচ্ছে। কিন্তু ফলে না গণতন্ত্র। গণতন্ত্রের বীজ বঙ্গপোসাগরে ভেসে গেল কিনা,না হয় রাঙ্গামাটির পাহারের মাইঙ্কচিপায় পড়েছে। আলো-বাতাস-পানি না পেয়ে অংকুরিত হচ্ছেনা। এদেশ থেকে কৃষক রপ্তানি করে বিদেশে মরুভূমির বুকচিরে ফসল ফলাচ্ছে অথচ আমাদের নেতারা ব্রিটিশের শাসন থেকে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে আসছে বীরর্দপে। এখনো গণতন্ত্র ও স্বচ্ছতা আনতে পারলো না। লাখো প্রাণের বিনিময়ে আজ স্বাধীনতা এলেও গণতন্ত্র শিকলে বাধা রইল। স্বাধীনতার চার দশক পার হলেও আমরা একই খাদের পাশে দাড়িয়ে আছি। তার নাম রাজনৈতিক অস্থিরতা। যার কারণে আজও উন্নতি সম্ভব হয়নি এ জাতির। একটা দেশের উন্নতির প্রধান ও প্রথম শর্ত হল রাজনৈতিক মতৈক্য। দ্বন্দ্ব থাকবে,থাকবে মতভেদ কিন্তু রাষ্ট্রের উন্নতির জন্য সবাই এক থাকবে। রাষ্ট্রের জনগনের মধ্যে একতা দরকার,সবার সহযোগীতায় উন্নয়ন সম্ভব। নিজের জন্য,দেশের জন্য,আগামীর জন্য। সবাই মিলে কাজ করি। এ মন মানসিকতা থাকলে এ দেশের সব কিছুতে উন্নতি সম্ভব। প্রতিবেশিদের কান পাকানো কথা শুনে শুনে আমরা নিম্মজিত হচ্ছি গহীন অরণ্যে।

২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×