অবশেষে বাংলাদেশেও নিষিদ্ধ হল ফ্লপেনথিক্সল-মেলিট্রাসেন ড্রাগটি... Frenxit, Tenaxit, Benzit, Renxit ইত্যাদি নামে বাজারে পাওয়া যায় এই ওষুধটি... বিষণ্ণতার চিকিৎসার জন্য প্রেসক্রিপশন হতো ব্যাপকহারে... আশেপাশে খোঁজ নিলে দেখবেন বাপ, মা, দাদা, দাদী, বোন, চাচা, চাচি- কেউ না কেউ এই ওষুধটা খাচ্ছে... অনেক প্রচলিত একটি ওষুধ এটি, কোটি কোটি টাকার ব্যবসা।

কিন্তু এটির মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকায় যে ডেনমার্কে প্রথম ওষুধটি আবিস্কার হয়, সেখানেই এটি নিসিদ্ধ করা হয় ১৯৯৮ সালেই... এরপর একে একে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই নিষিদ্ধ হয়।

বাংলাদেশে যে কেন এটি নিষিদ্ধ ছিলনা, তা সত্যি অবাক করার বিষয়। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে যখন এর নিষিদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে জানলাম, তারপরে আমি একটিবারের জন্যেও কাউকে কখনো প্রেস্ক্রাইব করিনি ওষুধটি, যদিও তখনো অনেকেই লিখত বা এখনো লিখছে।

এখন যেসব ক্ষতিকর ওষুধ বাংলাদেশেও নিষিদ্ধ করা হল, সেগুলো হল-
pioglitazone, Rosiglitazone= ডায়াবেটিসের ওষুধ
Flupenthixol-Melitracen, Denxit= বিষণ্ণতার ওষুধ
Tegaserod= IBS এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের ওষুধ
Gatifloxacin= অ্যান্টিবায়োটিক
Sibutramine= ওজনহ্রাসের ওষু

Flupenthixol-Melitracen বাজারে যে নামে পাওয়া যায়- ADELAX, ANGENTA, ANFREE, BENZIT, FLUXIT, FRENXIT, FREXIT, MELIXOL, REMOOD, RENXIT , SENSIT

pioglitazone বাজারে যে নামে পাওয়া যায়- DIAGLIT, DIATAG, POIZENA, GLUCOZON, GLITAZON, PIGLIT, PIODAR, PIOGLIN, PIOL, SAGLIT, TOS

উল্লেখ যে, এসব ওষুধ নিষিদ্ধ হয়েছে এক মাস আগে (১২ মার্চ, ২০১৪), অথচ আজকে পেপারে না আসলে হয়তো আমরা জানতামই না এই ব্যাপারে !!! অহরহ প্রেসক্রিপশনে লেখা হত ক্ষতিকর এই ওষুধগুলো

আমার ফেসবুক- https://www.facebook.com/dr.taraki