হজ্জ সম্পর্কে টেলি যোগাযোগ মন্ত্রীর জঘন্য মন্তব্যের ব্যপারে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাজেদা চৌধুরীর বলেছেন: “মুখফোড়রা অনেক কথাই বলেন। এটা তাদের স্বাধীনতা। এটা কখনোই গ্রহণযোগ্য হবে না।” আশ্চর্যের বিষয় হলো, ভিডিওতে সাজেদা স্পষ্টভাবে এটাকে তার স্বাধীনতা বললেও দুএকটি পত্রিকা ছাড়া বাকি সবাই স্বাধীনতার কথাটা বাদ দিয়ে প্রচার করেছে!
যাহোক, প্রশ্ন হলো যে সমাজে বঙ্গবন্ধু বা শেখ হাসিনার ব্যপারে কটুক্তির স্বাধীনতা নেই; বরং সেটা বিচার্য ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হয়, সেখানেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব-আল্লাহর নবীর ব্যপারে কুৎসা রটনা এবং মিথ্যাচার ও নোংরামীর স্বাধীনতা কি করে থাকে? বাংলাদেশ রাষ্ট্রের মৌল চেতনার বিরোদ্ধে কথা বলার স্বাধীনতা নাই, কিন্তু ইসলামের মৌলিক বিষয় নিয়ে নোংরামীর স্বাধীনতা কিভাবে থাকে? কারো অপরাধ প্রমাণের সঙ্গে সেটা গ্রহণযোগ্য হওয়া না হওয়ার কী সম্পর্ক? বঙ্গবন্ধুকে গালি দিলে সেটাও তো কারো কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, তাই বলে কি বিষয়টি মন্তব্যকারীর ব্যক্তিস্বাধীনতা বলে এড়িয়ে যাওয়া হয়?
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৮