somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আসিফ ইকবাল তােরক
সুন্দর চেহাড়া মানুষকে মুখোশ দেয় আর সুন্দর মন মানুষকে সুন্দর করে! কুৎসিত মনকে সুন্দর চেহারা দিয়ে স্বল্প সময় আড়াল করা যায় কিন্তু বেশিক্ষন লুকিয়ে রাখা যায় না।

একটি (স.এন.জি) প্রেমের কাহিনী (১৮+ ছবি সহ)

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পথে, ঘাটে, হাটে, মাঠে ছেলেরা বসে থাকে বান্ধবীর আশায়, কিন্তু হায়
অবুঝ মেয়েরা বসে থাকে সি এন জির আশায়। এই জন্যই কোনো এক বিজ্ঞ ব্যাক্তি সিএনজির পিছিনে লিখেছিলেন,
"ছেলেরা বসে আছে বান্ধবীর আশায়,
মেয়েরা বসে আছে সিএনজির আশার!"



যেদিন থেকে এটা দেখলাম সেদিন থেকেই আর মাঠে ঘাটে না বসিয়া, দাড়াইয়া থাকিতাম সিএনজির স্ট্যান্ডে!আর এইভাবে দাড়িয়ে থাকতে থাকতেই হঠাৎ একদিন পেয়ে গেলাম আমার হৃদয়ের রানী, নূপুরকে!



শুরু হলো নূপুরের সাথে, "অল্প অল্প প্রেমের গল্প, একটু একটু প্রেমের গিট্টু!"



আবেগী হইয়া বলিলাম, আসিবো ফিরে এই স্ট্যান্ডে ওগো আমার চুমকি , যখন হইবে আমাদের প্রেমের বর্ষপূর্তি!

প্রেম যখন পরিনত হইলো তখন একদিন নূপুরকে বলিলাম- "চলো সাথী ঘোড়ে আসী!"



উত্তরে সে বললো- "যদি থাকে পেট ভরা, ভয় করিনা দেশ ঘুরা!"



কি আর করা, ফাস্ট ফুডে খাওয়াইয়া দিলাম তাহারে পেট ভরাইয়া।"

আহা কি মজা এইবার যাবো দেশ ঘুরিতে!
দেশ ঘুরার উদ্দেশ্যে, উঠিলাম চুমাইয়া পরিবহনে!



সিএনজিতে তারে একলা পাহিয়া গেলো আমার রোমান্স বাড়িয়া! সুধাইলাম তাহারে আহ্লাদ করিয়া, "ফুল দিয় কলি দিয়,কাঁটা দিও নাহ, আস্তে আস্তে কিস্ দিও কামড় দিওনা!"



এই কথা শুনিয়া, সিএনজিআলা মাথা ঘুরাইয়া বলিল,
ভাইজান, "ভালোবাসা গাড়িতে নয় বাড়িতে" করিতে হয়!



আমি গেলাম চেতিয়া, বলিলাম চালাও চুমাইয়া পরিবহন আর চুমা দিতে দিবা না এইডা কেমন কথা! সেদিনের মতন খান্ত দিলাম!

এই ঘটনার অনেকদিন পরের কথা,
আমাদের প্রেম যখন চরমে তখন একদিন দেখিলাম, আমার হৃদয়ের রানীরে আরেকজনের সাথে করিতেছে ইটিশ পিটিশ!



ইহা দেখিয়া আমার হৃদয় গেলো ভাংগিয়া! মনে মনে প্রমোদ গুনিলাম, আর ভাবিতে লাগিলাম এতো দেখি, "এক ফুল দুই মালি কখনো ভর্তি কখনো খালি!"



কাছে গিয়া জিগাইলাম এইসব কি চলিতেছে! ধরা খাইয়া সে কহিল আরেহ ওহ তো আমার ভাইয়ের মতন আমরা করিতেছি একটু ফাইজলামি!
আমি বলিলাম বাহ, " দেখলে ফাইজলামি, আর না দেখলি চুরি"??



এইবার নিজেকে অনেক কষ্টে শান্ত করিলাম কারন, কোথায় যেনো পড়েছি, "রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন!"



তাই কোনো ক্রমেই রাগা যাবে নাহ।শান্ত কন্ঠে বলিলাম, আমাকে এভাবে জুলিয়ে রাখবানা!



সে বলিল ওক্কে তুমাকে জুলিয়ে রাখবো নাহ! তুমাকে ছাড়িয়া দিলাম!
তাহার কথা শুনিয়া তো আমার আক্কেলগুরুম! আমি বলিলাম এইভাবে ছারিয়া দিবা! বলে কিনা, "পিছনের দূর্ঘটনার জন্য পিছনের গাড়ি দায়ী থাকিবে!"



আমি তাহার পিছন পিছন ঘুরিয়াছিলাম তাই সব দায় দায়ীত্ব আমার!!
আমি বলিলাম আমার মধ্যে কি নাই যা ঐ নুনু মিয়ার কাছে আছে??



আমাকে বলিল তোমারটা অনেক ছোটো থুক্কু তুমি অনেক ছোটো!!
আমি স্বীকার করিয়া বলিলাম আমি ছোটো কিন্তু হৃদয় তো অনেক বড়! তাছাড়া ওর ড্রেসআপ অনেক স্মার্ট!



আমি ছোটো প্লীজ আমাকে মেরো নাহ! কারন তোমাকে না পেলে যে আমি মরে যাবো, আর বাঁচবো নাহ!!



তাহার মন গলে নাহ! এবার হালকা খেপিয়া গিয়া বলিলাম দেখো, "বাবা চাইলে ভাংতি নাই, শ্বশুর চাইলে অভাব নাই!"



মন ভাংগিয়া করিও না পাপ কারন, "পাপ কিন্তু বাপকেও ছাড়ে না!"



থ্রেট এ কোনো কাজ হইলো না, তাই এইবার ছাড়িলাম নীতি বাক্য, বলিলাম "পৃথিবীর শ্রষ্ঠ আদালত হচ্ছে মানুষের বিবাগ!



"পরম সুখের উদ্যানে সেই প্রবেশ করে যার হৃদয় সৎ ও পবিত্র!"



সে যদি নীতি বাক্য মানতই তাহলে কি আর আরেকজনের সাথে ঢলাঢলি করিতে পারিত, নাহ নীতি বাক্যেও কাজ হইলো নাহ!
এইবার আমি পুরাই ভাংগিয়া গিয়া নমনীয় হইয়া বলিলাম, "ফুলকে ভালোবেসে ফেলে দিও না, মানুষকে ভালোবেসে বুলে জেও নাহ!"



কিন্তু কিছুতেই পাষান হৃদয় গলিল না! সেদিন জীবনে অনেক বড় একটা শিক্ষা পাইলাম!আর কে না জানে শিক্ষাই জাতির মেরুন্ড!



একটা মানুষ তার সারা জীবনি শিক্ষা অর্জন করতে পারে, শিক্ষার আসলে কুনু বয়স নাই!এই ব্যাপারে আমাদের নবীজি বলেছেন, "দুলনাথেকেকবরপরজনতোগেনওরজনকরুন!"



এই ঘটনায় আমার অনেক বড় একটা উপলব্ধি হইলো!
"একটি ফুলের বাগান নষ্ট করতে যেমন একটা ছাগল যথেষ্ঠ,
তেমনি কয়েকটি ছেলের জীবন নষ্ট করতে একটা মেয়েই যথেষ্ঠ!"



তারপর অনেক দিন পার হইয়া গিয়াছে!
আজকে তাহার সাথে দেখা হইবার বর্ষপূর্তি! কথা ছিল সেলিব্রেট করিব একসাথে, তাইতো হাটিতে হাটিতে ফিরিয়া আসিয়াছি সেই সিএনজির স্ট্যান্ডে!! হালকা, নষ্টালজিক হয়ে গেলাম! আকাশপানে চাহিয়া থাকিলাম আর গুন গুন করে আওরাইতে লাগিলাম!
"পাখিরা উড়ে যায়, ওদের নিজের বাসায়, মানুষ দাড়িয়ে থাকে সি এন জির আশায়!"









সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৫৪
৩৬টি মন্তব্য ৩৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×