সেই শিক্ষকের জ্ঞান গরিমা নিয়ে আমার কোন প্রশ্ন নেই। আমিসহ ক্লাশের সবাই উনার পড়ানোর দক্ষতায় মুগ্ধ, উনি কোন বিষয় একবার বুঝিয়ে দিলে, সামান্য চোখ বুলিয়ে নিলেই বিষয়টি আত্মস্থ হয়ে যায়। তাই কেউই উনার ক্লাশ মিস করতে চাইতো না। উনার একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে উনি সবার নাম মনে রাখতে পারতেন। ক্লাশে উনি অন্য শিক্ষকের মত করে রোলকল করেন না। বছরের প্রথম দিন থেকেই বেশ সময় নিয়ে সবার নাম ধরে ধরে রোলকল করতেন,এবং যার নাম ডাকতেন তার দিকে তাকাতেন। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে সবার নাম মুখস্ত করা। উনি সবার শেষে ক্লাশ নেওয়ার চেষ্টা করতেন, যাতে বেশী সময় ধরে পড়াতে পারেন।
একদিন আমাদের এক বান্ধবী উনার বিরুদ্ধে অদ্ভুত এক অভিযোগ করে। স্যার তাকে বাসায় যেতে বলেছে। সে তখন উত্তরে বলেছে ঠিক আছে স্যার আমরা সবাই মিলে একদিন আপনার বাসায় গিয়ে আপনাকে রান্না করে খাওয়াবো। স্যার বলেছে সবাই না তুমি একা এসো(স্যারের স্ত্রী চাকুরীর সুত্রে অন্য শহরে থাকেন)। স্যার নাকি তাকে বলেছে, তুমি ভাল ছাত্রী, তোমার পক্ষে ফাস্ট ক্লাশ পাওয়াও সম্ভব কিন্তু আমার বাসায় না আসলে তোমার দিকে সুদৃষ্টি কিভাবে পড়বে?
একদিন রাত বারোটার পর কম কলরেটের কারনে সেই বান্ধবীকে ফোন দিয়েছিলাম পড়াশুনা এবং খাজুরে আলাপ করার জন্য। কিছুক্ষণ কথা বলার পর সে বলে কুত্তাটা(স্যার) আমাকে ফোন দিচ্ছে। তুই রাখ ফোন না ধরলে যদি পরিক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়।
আমার সেই বান্ধবী স্যারের ফাস্টক্লাশ পাওয়ার প্রলোভনে পড়েনি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেক মেয়েরাই শিক্ষকদের এসব প্রলোভনের শিকার হয়। শিক্ষকদের এমন চরিত্র আমরা দেখতে চাই না। আমরা তাদের পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে দোয়া নিতে চাই।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২২