-এই ব্যাটা তুই ড্রাইভার না হেল্পার, গাড়ি চালাইতে জানিস না তো গাড়ি চালাতে আসছিস ক্যান? আর কিছু মানুষের স্বভাবই হচ্ছে গাড়িতে উঠে ভাড়া নিয়ে গণ্ডগোল করা।
কয়েকদিন আগে মিরপুর ১ নম্বর থেকে উঠেছিলাম নিউভিষন বাসে, গন্তব্য মতিঝিল। গাড়ির হেল্পার একজন বাচ্চা,বয়স আনুমানিক ১০-১২ বছর হবে। নিউভিষন যেহেতু সিটিং গাড়ি তাই দাঁড়িয়ে লোক নেওয়ার কথা নয়। কিন্তু ড্রাইভারের ইংগিতে বাচ্চা হেল্পারটি ইচ্ছা করেই গাড়ির গেট খোলা রেখেছিল। তাই বেশ কিছু লোক উঠে পড়লো। তখন অন্য যাত্রীরা প্রতিবাদ করলো,একজন বললো,
-তুই দরজা খোলা রাখছিস ক্যান ভাড়া অর্ধেক পাবি যাত্রীরা বললো।
হেল্পার বাচ্চা তাই কিছুই বললো না। যাত্রীরা এক একজন এক এক রকম মন্তব্য করতে লাগলো। একজন বললো এরাই হচ্ছে বড় দুর্নীতিবাজ। যাত্রীদের মধ্যে একজনতো হেল্পারকে মেরেই বসলো। বাকী সবাই সেই লোককেই সমর্থন দিয়ে গেলো। দাঁড়ানো যাত্রীদের একজন হেল্পারকে মারার প্রতিবাদ করলো। ঔ যাত্রীর সাথে হেল্পারকে মারা যাত্রীর তুমুল ঝগড়া বেধে গেল। হেল্পার ছেলেটি কাঁদতে কাঁদতে একটা কথাই বললো,
-আমি যদি বড় হইতাম তাহলে মারার সাহস পাইতেন না।
কথাটি আমার মনে খুব দাগ কাটলো। আসলে এইসব গাড়ির অলিখিত নিয়মই হয়ে গেছে উঠানোর সময় বলবে সিটিং, কিছুদুর গেলেই লোকাল হয়ে যায়। হেল্পার বড় মানুষ হলে যাত্রীদের সাথে রীতিমত গলাবাজি করে। এই হেল্পারটার বয়স কম হওয়ার কারণেই তাকে মার খেতে হল।
আসলে আমরা সবাই শক্তের ভক্ত নরমের যম।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬