এখন গ্রাম বাংলায় চলছে বোরো ধান কাটার উৎসব। গত বছর আগাম বন্যায় নষ্ট হয়েছিল সব পাকা ধান, এ বছর সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানিতে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। যদিও গতকয়েক দিনের ঝড়ে পাকাধানের কিছুটা ক্ষতি হলেও সোনালি ধানের ম-ম গন্ধ এখন বাংলার আনাচে কানাচে। কৃষাণ কৃষাণীর ব্যস্ততার শেষ নেই।
যে চাল আমরা সহজেই দোকান থেকে কিনে ফুটিয়ে ভাত খাচ্ছি,কিন্তু চালের প্রতিটি দানায় রয়েছে কৃষকের অমানুষিক পরিশ্রমের গল্প। যে গল্প আমরা সবাই জানি কিন্তু আমরা ভাবে দেখিনা। আমরা ভাবতে ভালবাসি কৃষক চাষ করবে ওটাইতো তার কাজ। আর আমরা শহরে বসে কমদামে চাল কিনে খাবো এটা আমাদের অধিকার।চালের দাম বাড়লে যে পরিমাণ কথা হয় অন্যকোন পন্যের ক্ষেতে তার সিকিভাগও হয় না। আচ্ছা আদিম যুগের মত যদি নিজের খাবার নিজেকেই উৎপাদন করতে হতো তাহলে আমরা কি করতাম?এই মহান কৃষকদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিৎ নয়?আজ আমি আলোচনা করবো ধনের চারা উৎপাদন থেকে শুরু করে আমাদের ভাতের হাড়ি পর্যন্ত আসতে কৃষকে কি পরিমাণ পরিশ্রম করতে হয় তা নিয়ে।ধানের চাষ শেখানো এই পোষ্টের উদ্দেশ্য নয়।
ধান উৎপাদনের প্রথম ধাপ হচ্ছে ভাল বীজ সংগ্রহ করা, অতঃপর বীজতলা তৈরি, এবং চারা উৎপাদন করা। জমি প্রস্তুত করা
জমিকে ভালভাবে চাষ দিয়ে, পানি এবং সার প্রয়োগ করে চারা রোপনের উপযোগী করা হয়।
চারা রোপণ
অতঃপর চারা রোপণ করতে হয়। শুধু করলেই হয় না সার, কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। এবং নিয়মিত পানি দিতে হয়।
একসময় ধানের চারাগাছ আস্তে আস্তে বড় হতে শুরু করে। কাচা ধানের শীষ বের হতে শুরু হয়।কাচা ধানের শীষ একসময় পাকতে শুরু হয়।
এবার ধান কাটে ঘরে আনার পালা, ঘরে আনা, মাড়াই করা, শুকানো,সিদ্ধ করা, আবার শুকানো, এরপর মেশিনে চাল তৈরি করা হয়।
এতগুলো ধাপ পার করে চাল বাজারে আসতে কি পরিমাণ পরিশ্রম করতে হয় তা শুধুমাত্র যারা সরাসরি কৃষিকাজের সাথে যুক্ত তারাই জানেন।
অতঃপর বিভিন্ন মধ্যসত্ত্বভোগীদের হাত ঘুরে চাল বাজারে আসে। এরপর আমাদের ভাতের হাড়িতে আসে।
এই প্রক্রিয়াগুলি সবই সবার জানা তবুও কৃষকের অবদান মনে করিয়ে দিতেই এই পোষ্টের অবতাড়না।
ছবি:গুগল
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২