চার বছর আগে আজকের এই দিনে আমাদের ঘর আলো করে আমার নয়নের মনি নাবিহার আগমন। প্রথমবার বাবা হওয়ার অনুভূতি লিখে প্রকাশ করা কঠিন,কিন্তু সেই অনুভূতিগুলো আজও প্রথম দিনের মতই। এই অনুভূতি শুধুমাত্র বাবারাই অনুধাবন করতে পারবেন।
কিছুদিন আগে যে আমি নিজেই একটা বাচ্চা ছিলাম সেই আমিই এখন দু'বাচ্চার বাবা, ভাবা যায়! এটাই পৃথিবীর নিয়ম। নিজেকে বড় ভাবতে ইচ্ছে করে না, কিন্তু বাসায় সিড়িদিয়ে উপরে ওঠার সময় ছোট বাচ্চারা যখন আংকেল ডাকে তখন কেমন যেন খটকা লাগে।
আমার মেয়েটা বাইরের মানুষের সামনে খুব লক্ষী, কিন্তু আমার আর ওর মায়ের সামনে একেবারে দুষ্টুর শিরোমনি। সারাক্ষণ দুষ্টুমীতে মাতিয়ে রাখে পুরো বাসা। ও বাসায় না থাকা মানে বাসাটা একেবারে নিরব , যে নিরিবতা আমার একেবারেই ভাল লাগে না। প্রতিদিন আমার অফিস থেকে ফেরার পথে অন্তত তিন চার ফোন করা চাই ই চাই,'বাবা তুমি কোথায়'? । আমি বাসার কলিংবেল বাজাতেই ভিতর থেকেই নাবিহা চিৎকার, 'আম্মু বাবা এসেছে তাড়াতাড়ি দরজা খোল'।
বাসায় ঢোকার সাথে সাথেই আমার বুকে ঝাপিয়ে পড়ার চেষ্টা, আমি বলি 'আম্মু আমি বাইরে থেকে এসেছি গায়ে প্রচুর ধুলাবালি পরে কোলে এসো' কিন্তু কে শোনে কার কথা?এরপর আমার ফ্রেস হওয়ার জন্য লুঙ্গি এগিয়ে দেওয়া,আমার জন্য গ্লাস ভর্তি পানি এগিয়ে দেওয়া আরো কত্ত ব্যস্ততা ওর। নাবিহার একমাত্র খেলার সাথী এবং দুরন্ত চ্যানেলে কার্টুন দেখার পার্টনারও আমি। দুরন্ত টিভির সব প্রোগ্রামের সময়সূচি আমার মুখস্ত।
জীবনের এইসব ছোট্ট ছোট্ট মুহুর্তগুলোইতো জীবনে বেচে থাকার অনুপ্রেরণা।
আমার এই দুষ্টু মিষ্টি মামুনিটির জন্য সবাই দোয়া করবেন ও যেন প্রকৃত মানুষ হতে পারে।
শুভ জন্মদিন নাবিহা মামুনি
এই লেখাটা আজ হয়তো তোমার পড়ার ক্ষমতা নেই, কিন্তু খুব তাড়াতাড়িই সেই ক্ষমতা অর্জন করবে। সেইদিনটির প্রত্যাশায় রইলাম।