somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"ইসলামের নামে প্রচলিত ভুল তথ্য" শীর্ষক পোষ্টের উপর মন্তব্য

১৯ শে জানুয়ারি, ২০০৯ সকাল ১১:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রিয় তারেক ভাই,

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ্‌। ইসলাম বিষয়ে আপনার জানার আগ্রহ ও লেখালেখি আমাকে আনন্দিত করেছে। বেশী অভিভূত হয়েছি স্পর্শকাতর এই ৭টি বিষয়ের উপর স্থির সিদ্ধান্তে আসার আগে এই ব্লগে ইসলাম নিয়ে লেখেন এমন ব্যক্তিবর্গকে জিজ্ঞেস করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন বিধায়। আল্লাহ্‌ আপনার জ্ঞানের পরিধিকে বাড়িয়ে দিন, আপনাকে দ্বীনি জ্ঞানে প্রজ্ঞা দান করুন।

এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলার আগে ইসলামী বিধি-বিধান নিয়ে গবেষণার পদ্ধতি কী? কোন ধরনের তথ্য-উপাত্ত ইসলামে গ্রাহ্য? কোন কোন তথ্য-উপাত্ত ইসলামে গ্রাহ্য নয়? এবং তথ্য-উপাত্তগুলোর স্তর বিন্যাস কিভাবে হবে? ইত্যাদি বিষয়ে একমত হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মূলতঃ আল্লাহ্‌র রাসূল (সাঃ) এর পর থেকে সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীন এবং পূর্ববর্তী মুহাদ্দিসগণ, হানাফী, মালেকী, শাফেয়ী, হাম্বলী, জাহেরী মাযহাবের আলেমগণ ইসলামী গবেষণার এক ও অভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। এজন্য এদের পরস্পরের মাঝে বিশেষ কোন মাসয়ালায় মত পার্থক্য থাকলেও আসলে তারা সকলে অভিন্ন পথের অনুসারী ছিলেন। অর্থ্যাৎ তাদের প্রত্যেকের গবেষণার পদ্ধতি এক ছিল এবং সত্য গ্রহণে তারা সকলেই ছিলেন অকপট। কিন্তু তথ্যের অভাব অথবা বোধশক্তির তারতম্যের কারণে কখনো কখনো তারাও মতপার্থক্য করেছেন। তবে তা বিশেষ কোন দলীলের কারণে অথবা বিশেষ কোন বোধের কারণে। এজন্য এরা সকলে হক্বপন্থি, একবাক্যে তাদেরকে বলা হয় 'আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামায়াহ্‌'। আর গবেষণার এ পদ্ধতির ক্ষেত্রে যারা আহলে সুন্নাহ্‌ ওয়াল জামাআতের সাথে দ্বিমত করেছেন তারা হচ্ছেন- খারেজি, রাফেজী, মুতাজিলা, বাতেনী, ইবাদি ইত্যাদি ভ্রান্ত ফেরকাসমূহ।

গবেষণার ক্ষেত্রে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের অন্তর্ভুক্ত আলেম সমাজ মনে করে ইসলামী জ্ঞানের উৎসমূল চারটিতে সীমাবদ্ধ। মর্যাদা অনুযায়ী সে চারটি হচ্ছে- ১.কুরআন ২.হাদীস ৩.ইজমা ৪.কিয়াস। এ উৎসগুলোর পরিচয়, পরিধি, মর্যাদা, একটির উপর অন্যটির প্রাধান্যতা ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা রয়েছে উসুলুল ফিকহ (science of fiqh) শাস্ত্রে। সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়ার সুযোগ এখানে নেই বিধায় আমি ধরে নিচ্ছি- আহলে সুন্নাহ্‌ ওয়াল জামাআতের গবেষণা পদ্ধতির সাথে আপনি একমত। যেহেতু আলোচনার কোন কোন পর্যায়ে বিধি-বিধান নির্ণয়ের ক্ষেত্রে যেসব স্বতঃসিদ্ধ নীতিমালা ও সূত্রের ব্যাপার আহলে সুন্নাহ্ ওয়াল জামাআতের আলেমরা একমত সে সকল নীতিমালা ও সূত্রের উল্লেখ অবধারিত হয়ে যেতে পারে।

এবার বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় আসা যাক।
১. "ভাগ্য পূর্ব নির্ধারিত বিশ্বাস করা হয়।" সঠিক বিষয় হচ্ছে ভাগ্য বলতে আসলে কিছুই নেই। তাকদীর শব্দের একটি বিকৃত ব্যাখ্যা হিসেবে ভাগ্যের ধারণাটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

মন্তব্য:
কাদার শব্দটি কাদ্দারা-য়ু কাদ্দিরু শব্দের ধাতুমূল (মাসদার)। শাব্দিক অর্থ: কোন কিছুকে সম্পূর্ণরূপে আয়ত্ব করা। পরিভাষায়: কাল সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহ্ কর্তৃক সবকিছুর নির্ধারণ।[দেখুন: উছুলুল ঈমান, লেখক: উছাইমীন] বাংলায় ভাগ্য বলতে আমরা এই অর্থই বুঝে থাকি। বিভিন্ন আরবী-ইংরেজী অভিধানে শব্দটির এই পারিভাষিক অর্থটির অনুবাদ করেছে - fate। আরবী-বাংলা অভিধানে লিখেছে- নিয়তি, ভাগ্য।[আরবী-বাংলা অভিধান, পৃ: ৫৭৭] তবুও শাব্দিক মতপার্থক্য এড়াতে আমরা ‘ভাগ্যের’ বদলে ‘তাকদীর’ শব্দটি ব্যবহার করতে পারি। অবশ্য আরবী ভাষায় তাকদীর শব্দটি আরো অনেক অর্থে ব্যবহৃত হয়।
তাকদীর বিশ্বাসের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়। বলে রাখা ভাল - বিশ্বাস ও গায়েবঘনিষ্ট বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে আহলে সুন্নাহ্‌ ওয়াল জামাআতের নীতিমালা হলো যেমনটি উল্লেখ করেছেন আবুল মুজাফফর আস সানআনী- ‘বিশ্বাস ঘনিষ্ঠ যে কোন বিষয়ের সিদ্ধান্ত কুরআন ও সুন্নাহর দলীলের ভিত্তিতে চুড়ান্ত হবে; কিয়াস ও যুক্তির ভিত্তিতে নয়।’[উসুলুল ঈমান, ১/৯১] অতএব তাকদীরের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কুরআন ও সুন্নাহ্র দলীল-ই প্রযোজ্য; যুক্তি নয়। কুরআনের অসংখ্য আয়াত ও অগণিত হাদীস দ্বারা তাকদীরের ব্যাপারটি সাব্যস্ত। কুরআনে বলা হচ্ছে- “Verily, We have created all things with Qadar (Divine Preordainments of all things before their creation, as written in the Book of Decrees Al- Lauh Al-Mahfuz) “নিশ্চয় আমরা সবকিছুকে তাকদীরসহ সৃষ্টি করেছি।”[সূরা কামার ৫৪:৪৯] এছাড়াও দেখুন: সূরা আহযাবের আয়াত:৩৮, সূরা ফুরকানের আয়াত:২। রাসূল (সাঃ) এর হাদীসে এসেছে - “আমর বিন আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘আসমানসমূহ ও জমিন সৃষ্টি করার পঞ্চাশ হাজার বছর আগে সৃষ্টিকূলের ভাগ্য নির্ধারণ করে রেখেছেন। তখন তাঁর আরশ পানির উপর ছিল।’[মুসলিম] সাহাবায়ে কেরাম ও তাদের পরবর্তী সকল আলেমরা একমত তাকদীর সাব্যস্তের ব্যাপারে।[দেখুন উসুল ঈমান: উছাইমীন]
রাসূল (সাঃ) আরো বলেন, “তুমি যা পেয়েছ তা তুমি পেতেই। আর যা তুমি পাওনি তা তুমি কোন ভাবেই পেতে না। কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছে এবং কাগজও শুকিয়ে গেছে।”[আবু দাউদ: ৭৭] হযরত সুরাকা বিন মালিক বিন জুশুম (রাঃ) রাসূল (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করেন, “আজ আমাদের আমলগুলো কিসের আলোকে হচ্ছে? যে লেখার উপর কলম শুকিয়ে গেছে, তাকদীর নির্ধারিত হয়ে আছে তার আলোকে, নাকি ভবিষ্যতের আলোকে? রাসূল (সাঃ) বললেন, বরঞ্চ যে লেখার উপর কলম শুকিয়ে গেছে এবং তাকদীর নির্ধারিত হয়ে গেছে তার আলোকে। সাহাবী বললেন, তাহলে আমল করে লাভ কি? রাসূল (সাঃ) বললেন, আমল করতে থাক। যে আমলের জন্য যাকে সৃষ্টি করা হয়েছে সে আমল করা তার জন্য সহজ করে দেয়া হয়েছে।” [মুসলিম ৭] এ হাদীস থেকে জানা গেল, তাকদীরের উপর নির্ভর করে আমল ছেড়ে দেয়া যাবে না। বরঞ্চ তাকদীরে বিশ্বাস করতে হবে এবং আমল করতে হবে।এজন্য ইবনে তাইমিয়া সুন্দর বলেছেন, “তাকদীর হচ্ছে বিশ্বাস করার জন্য, তাকদীরের উপর নির্ভর করে বসে থাকার জন্য নয়।” বান্দা মজুবর নয়। বরং বান্দার ইচ্ছাশক্তি আছে। সে যদি ভালো কাজ করতে চায় আল্লাহ্ তাআলাও তাকে তা করতে দেন। সে যদি খারাপ কাজ করতে চায় আল্লাহ্ তাকে তাও করতে দেন। “নিশ্চয় আমি তাকে পথ দেখিয়েছি। সে হয়তো কৃতজ্ঞ হবে অথবা অকৃতজ্ঞ হবে।”[সূরা ইনসান:৩] আল্লাহ্ হলেন খালেক অর্থ্যাৎ সবকিছুর স্রষ্টা, আর বান্দা হলো কাসেব অর্থ্যাৎ বাস্তবায়নকারী। ভাল-মন্দ সবকিছু আল্লাহ্ তাআলা সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু তিনি চান না বান্দা খারাপটাকে গ্রহণ করুক বা তাতে লিপ্ত হোক। বরঞ্চ তিনি চান বান্দা শুধু ভাল কর্মে লিপ্ত হোক। এভাবে আল্লাহ্ বান্দাকে পরীক্ষা করতে চান। সুতরাং আল্লাহ্‌ বান্দাকে যে ইচ্ছা শক্তি দিয়েছেন তা দিয়ে নেকী অর্জনে প্রয়াসী হওয়া উচিত। অতএব “যেমনে নাচাও তেমনি নাচি পুতুলের কি দোষ” এ ধরনের কথা যেমন সঠিক নয়। তেমনি তাকদীরকে অস্বীকার করাও সঠিক নয়। বরঞ্চ বান্দার অবস্থান হবে ভয় ও আশার মাঝামাঝি। না নিজের আমলের উপর এককভাবে নির্ভরশীল হবে, আর না আমল ছেড়ে দিয়ে তাকদীরকে দোষ দিবে।

তাকদীদের চারটি স্তর আছে। সেগুলোর উপর ঈমান আনাও অপরিহার্য। সেগুলো হল -
ক. কোন কিছুর অস্তিত্ব হওয়ার আগে থেকেই আল্লাহ্‌ সে সম্পর্কে জানেন। “নিশ্চয় আল্লাহ্‌ সবকিছু জানেন।”[সূরা আনফাল ৭:৭৫]
খ. লওহে মাহফুজে সৃষ্টির আগেই সবকিছু লিখে রেখেছেন। “and all things We have recorded with numbers (as a record) in a Clear Book” [সূরা ইয়া-সিন ১২]
গ. আল্লাহ্‌ তাআলার ইচ্ছা ব্যতীত মাখলুকের ইচ্ছা বাস্তবায়িত হয় না। “And you will not, unless (it be) that Allah wills, the Lord of the 'Alamin (mankind, jinns and all that exists” [সূরা তাকবীর ৮১:২৯]
ঘ. সবকিছুর সৃষ্টি আল্লাহর (অর্জন মাখলুকের)। “Allah is the Creator of all things” [সূরা যুমার ৩৯:৬২]
আরেকটা বিষয় বলে রাখা প্রয়োজন মনে করছি। তাহলো হাদীসে এসেছে দোয়ার মাধ্যমে তাকদীর পরিবর্তন হয়। তা সঠিক, তবে এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল প্রাত্যহিক তাকদীর, সাপ্তাহিক তাকদীর, বাৎসরিক তাকদীর ইত্যাদি। কিন্তু যে চূড়ান্ত তাকদীর লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত আছে তা কক্ষনো পরিবর্ততিত হয় না। বরঞ্চ কারো আমল বা দোয়ার মাধ্যমে প্রাত্যহিক তাকদীর বা বাৎসরিক তাকদীর যে পরিবর্তিত হবে তাও লেখা আছে লাওহে মাহফুজের চূড়ান্ত তাকদীরে।

২. মুসলমানদের মাঝে একটা ধারণা বদ্ধমূল যে একজন মুসলমান যত বড় পাপ করুক আর যাই করুক ঈমান থাকলে সে বেহেস্তে যাবে। সঠিক বিষয় হচ্ছে মৌলিক ভূল বা কবীরাহ গুনাহ অবস্থায় মারা গেলে এ থেকে ফিরে না আসলে তথা তাওবাহ না করলে চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামী হবে।

মন্তব্য: কবিরা গুনাহ্ থেকে তাওবা না করে কোন মুসলমান মারা গেলেও সে চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে থাকবে না। তার পাপ অনুযায়ী শাস্তি ভোগ করে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর আল্লাহ্ ইচ্ছা করলে কোন শাস্তি ছাড়াই মাফ করে দিতে পারেন। মুসলমানদের এ আকীদা সঠিক। কারণ আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেন- “নিশ্চয় আল্লাহ্ শির্ক (উপাসনায় তার সাথে অংশীদার স্থাপনের গুনাহ্) মাফ করবেন না। কিন্তু এর চেয়ে ছোট গুনাহ্ যার জন্য ইচ্ছা করেন মাফ করে দিবেন।”[সূরা নিসা ১১৬] হাদীসে এসেছে -“যে ব্যক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ বলেছে তার অন্তরে যদি একটি যবের সমপরিমাণ ভাল আমল থাকে তাকেও জাহান্নাম থেকে বের করা হবে। এমনকি যে ব্যক্তি ব্যক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ বলেছে তার অন্তরে যদি একটি গমের সমপরিমাণ ভাল আমল থাকে তাকেও জাহান্নাম থেকে বের করা হবে। এমনকি যে ব্যক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ বলেছে তার অন্তরে যদি একটি অণুর সমপরিমাণ ভাল আমল থাকে তাকেও জাহান্নাম থেকে বের করা হবে।”[বোখারী, ৪৪নং ও মুসলিম ১৯২নং]
হযরত আবু যর (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহ্ তাআলা বলেন, “হে বনী আদম, তুমি যদি গোটা পৃথিবীর সমান পাপকাজও করো, কিন্তু শির্ক না কর, তাহলে আমি তোমাকে জন্য গোটা পৃথিবীর সমান ক্ষমা করব।” [মুসনাদে আহমাদ, ২১৩৪৯] এর চেয়ে স্পষ্ট আর কোন দলীলের প্রয়োজন আছে কি।

৩. শাফায়াত দ্বারা বড় ধরনের পাপ এবং দোখয থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
মন্তব্য: শাফায়াত দ্বারা বড় ধরনের পাপ এবং দোযখ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এটি সঠিক আকীদা। কোরান ও হাদীসের দলীল তাই প্রমাণ করে: কুরআনে আল্লাহ্ তাআলা বলেন, “(হে রাসূল) বলুন, শাফায়াতের মালিক সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ্” তিনি আরো বলেন, “নিশ্চয় আল্লাহ্ শির্ক (উপাসনায় তার সাথে অংশীদার স্থাপনের গুনাহ্) মাফ করবেন না। কিন্তু এর চেয়ে ছোট গুনাহ্ যার জন্য ইচ্ছা করেন মাফ করে দিবেন।” [সূরা নিসা ১১৬] এ আয়াত থেকে জানা গেল আল্লাহ্ শির্কের গুনাহ্ মাফ করবেন না। অন্য সব গুনাহ্ মাফ করে দিতে পারেন। শাফায়াতের মাধ্যমে বা শাফায়াত ছাড়া। এছাড়া শাফায়াতের কথা এসেছে সূরা বাকারা ২৫৫ আয়াতে, সূরা নাজমের ২৬ আয়াতে। বরঞ্চ রাসূল (সাঃ) এর বাণীতে এ বিষয়টি একেবারে স্পষ্ট। তিনি বলেন, “আমার শাফায়াত হল আমার উম্মতের কবীরা গুনাহ্তে লিপ্ত ব্যক্তিবর্গের জন্য।” [আবু দাউদ, ইবনে হিব্বান] এছাড়া হাদীসে আরো এসেছে – “আল্লাহ্ বলবেন, ফেরেশতারা শাফায়াত করল, নবীরা শাফায়াত করলেন, মুমিনরা শাফায়াত করল এখন শুধু রহমান-রহীম (আল্লাহ্) বাকী আছেন। তখন তিনি জাহান্নাম থেকে এক মুঠ লোককে উঠিয়ে আনবেন যারা এমন যে তারা কখনো কোন ভাল কাজ করেনি।”[মুসনাদে আহমাদ ৩/৯৪, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ২০৮৫৭]

যেসব ভ্রান্ত ফেরকাগুলো উদ্ভট যুক্তির উপর ভিত্তি করে শাফায়াতকে অস্বীকার করেছে তারা হল মুতাজিলা, খারেজী এবং আরো কিছু বিভ্রান্ত ফেরকা। কিছু কিছু আয়াতে কারীমাকে তারা দলীল হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করে। যেমন, আল্লাহ্ বলেছেন, { وَاتَّقُوا يَوْمًا لَا تَجْزِي نَفْسٌ عَنْ نَفْسٍ شَيْئًا وَلَا يُقْبَلُ مِنْهَا شَفَاعَةٌ وَلَا يُؤْخَذُ مِنْهَا عَدْلٌ } “তোমরা সেদিনকে ভয় কর যেদিন কোন আত্মা অন্য আত্মার সামান্য উপকার করতে পারবে না এবং তার পক্ষে কোন শাফায়াত গ্রহণ করা হবে না এবং কোন বিনিময়ও নেয়া হবে না।”[সূরা বাকারা: ৪৮] অনুরূপভাবে সূরা বাকারার ২৫৪ নং আয়াত এবং ৪০ নং সূরা গাফের এর ১৮ নং আয়াত। এ জাতীয় অন্যান্য আয়াতকে তারা দলীল হিসেবে পেশ করে।
আহলে সুন্নাহ্ ওয়াল জামাআতের অনুসারীরা এ আয়াতগুলোর দুটো ব্যাখ্যা দেন। এক: আয়াতগুলো কাফের-মুশরিকদের ব্যাপারে। কারণ কাফের-মুশরিকদের ব্যাপারে সুপারিশ গ্রাহ্য হবে না। কুরআনে বলা হয়েছে – “বলবে, কিসে তোমাদেরকে সাকারে (জাহান্নামে) নীত করেছে? তারা বলবে, আমরা নামাজ পড়তাম না, মিসকীনদেরকে আহার্য দিতাম না, আমরা সমালোচকদের সাথে সমালোচনা করতাম এবং আমরা প্রতিফল দিবসকে অস্বীকার করতাম। মৃত্যু অবধি। অতএব তাদের পক্ষে সুপারিশকারীদের সুপারিশ কোন কাজে আসবে না।[সূরা মুদ্দাসির ৪২-৪৬] অর্থ্যাৎ তারা ছিল কাফের। দুই: আয়াতে শাফায়াত দ্বারা শির্কযুক্ত শাফায়াত উদ্দেশ্য। যেমন, জীবিত বা মৃত কোন ওলি, কোন পীর সাহেবের কাছে শাফায়াত তলব করা (আল্লাহ্‌র কাছে নয়)। অথচ আল্লাহ্ পাকের অনুমতি ব্যতীত কোন ব্যক্তি অন্য কোন ব্যক্তির জন্য শাফায়াত করতে পারবে না। “নভোমণ্ডলে কত ফেরেশতাই তো রয়েছে তাদের সুপারিশ কোন কাজে আসবে না। তবে হ্যাঁ, আল্লাহ্ অনুমতি দিলে এবং যার ব্যাপারে রাজী হবেন তার ব্যাপারে সুপারিশ করলে কাজে আসবে।”[সূরা নাজম ২৬]

৪. অর্থ ছাড়া কুরআন পড়লে সাওয়াব হয়

মন্তব্য: কোন সন্দেহ নেই অর্থ না বুঝে কুরআন পড়লে সওয়াব হবে। আর অর্থ বুঝে পড়লে আরো বেশী সওয়াব হবে। আর মূলতঃ কুরআন পাঠানোর উদ্দেশ্য হচ্ছে অর্থ বুঝে সে অনুযায়ী আমল করা। এ কারণে আরবী ভাষা শিখার প্রতি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা, তা না পারলে অনুবাদের সহযোগিতা নিয়ে কুরআন বুঝার প্রতি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা ভাল কাজ। কিন্তু তাই বলে সুসাব্যস্ত কোন বিষয়কে অস্বীকার করা অনুচিত। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ্র কিতাবের একটি বর্ণ পড়বে সে প্রতিটি বর্ণে নেকী পাবে। আর নেকী তো দশগুণ বাড়তে পারে। আমি বলছি না (الم) আলিফ-লাম-মীম পুরাটা একটা বর্ণ। বরং আলিফ একটা বর্ণ, লাম একটা বর্ণ, মীম একটা বর্ণ।”[তিরমিজি ২৮৩৫] রাসূল (সাঃ) আরো বলেন, “তোমরা কুরআন পড়, কারণ কিয়ামতের দিন কুরআন তার পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে।”[মুসলিম নং: ৮০৪] এখানে একটি বিষয় লক্ষ্যনীয় হাদীসে কুরআন পড়তে বলা হয়েছে। কুরআন হল আরবী ভাষায় লিখিত, যা জিব্রাইল (আঃ) আল্লাহ্র পক্ষ থেকে রাসূল (সাঃ) এর উপর নাযিল করেছে। আর আমরা যে অনুবাদ পড়ি তাকে কুরআন বলা যাবে না। বরং তা হল কুরআনের ভাবের অনুবাদ। যতটুকু ভাব সংশ্লিষ্ট অনুবাদক হৃদয়ঙ্গম করতে পেরেছেন এবং তার যতটুকু অংশ ভাষায় প্রকাশ করতে পেরেছেন ততটুকু। তাই আরবী টেক্স না পড়ে শুধু অনুবাদ পড়লে প্রতি বর্ণে নেকী পাওয়া যাবে না। এমনকি আরবী ভাষী কেউ যদি কুরআন না পড়ে কোন আরবী তাফসীর পড়ে তাহলেও প্রতি বর্ণে নেকী পাবে না। কুরআনের মর্তবা এজন্য বেশী যেহেতু এর শব্দ ও ভাব সবকিছু আল্লাহ্র পক্ষ থেকে। এটি আল্লাহ্র বাণী। এতে মানবাত্মার জন্য নিরাময় রয়েছে।

৫. অযু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা বা পড়া যাবে না।

মন্তব্য: এটি সঠিক কথা। সাহাবায়ে কেরামের যুগ থেকে শুরু করে অদ্যাবধি অধিকাংশ আলেমে দ্বীন এই অভিমত ব্যক্ত করেন। কুরআন-সুন্নাহ্র যথাযোগ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই তারা এই মত প্রকাশ করেছেন। অবশ্য কিছু কিছু আলেম এর বিপরীত মত দিয়ে বলেন, যে কোন মুসলিম অজু ছাড়াও কুরআন শরীফ স্পর্শ করতে পারে। তাদের এই মত্যপার্থক্যের ভিত্তি কী তা জানলে আমরা বুঝতে পারব কিভাবে একই আয়াতে কারীমা থেকে বিপরীতমুখী দুটি মত প্রকাশের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আল্লাহ্ তাআলা সূরা ওয়াকিয়ার ৭৭-৭৯ আয়াতে বলেন, “নিশ্চয় সেটি মহান কুরআন। সুরক্ষিত কিতাবে (লাওহে মাহফুজে) রয়েছে। একমাত্র পবিত্ররাই তা স্পর্শ করতে পারবে।”[সূরা ওয়াকিয়া ৭৭-৭৯] আরবী ভাষা না জানলে, আরবী গ্রামার না বুঝলে শুধুমাত্র অনুবাদ পড়ে কুরআনের আয়াতের ভাব সঠিকভাবে অনুধাবন করা সম্ভব নয়। তারপরও আরবী না জানা ভাইদের সুবিধার্থে বিষয়টিকে সহজ করার চেষ্টা করব। “একমাত্র পবিত্ররাই তা স্পর্শ করতে পারবে।” এই আয়াত দিয়ে উভয় পক্ষ দলীল পেশ করেন। লক্ষ্যনীয় আয়াতে তা একটি সর্বনাম। এই সর্বনামটি কোন্ বিশেষ্যটির দিকে ইঙ্গিত করছে এর উপরই মতপার্থক্যের ভিত্তি। যারা মনে করেন অজু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা যাবে না তারা বলেন এই সর্বনাম দ্বারা ৭৭নং আয়াতের কুরআন শব্দকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে। অর্থ্যাৎ এই কুরআনকে পবিত্ররাই স্পর্শ করতে পারবে, অন্যেরা পারবে না। আর যারা বলেন, অজু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা যাবে তারা মনে করেন তা এই সর্বনামটি দ্বারা ৭৮ নং আয়াতের সুরক্ষিত কিতাব (লাওহে মাহফুজকে) উদ্দেশ্য করা হয়েছে। আর লাওহে মাহফুজে মানুষ পৌঁছতে পারে না। সেখানে পৌঁছতে পারে ফেরেশতারা। সুতরাং আয়াতে পবিত্র দ্বারা উদ্দেশ্য ফেরেশতারা। যদি দ্বিতীয় পক্ষকে জিজ্ঞেস করা হয় আপনারা ‘কুরআন’ উদ্দেশ্য না নিয়ে ‘সুরক্ষিত কিতাবকে’ উদ্দেশ্য নিলেন কেন? তারা বলবে, আরবী গ্রামারের একটি নিয়ম আছে যখন কোন সর্বনাম দ্বারা নিকটতম কোন বিশেষ্যকে উদ্দেশ্য নেয়া যায় তখন দূরে যাওয়া নিষ্প্রয়োজন। তাই আমরা নিকটতম বিশেষ্য ‘সুরক্ষিত কিতাবকে’ উদ্দেশ্য নিয়েছি। আর যদি প্রথম পক্ষকে জিজ্ঞেস করেন আপনারা নিকটতম বিশেষ্য ‘সুরক্ষিত কিতাবকে’ বাদ দিয়ে দূরতম বিশেষ্য ‘কুরআনকে’ উদ্দেশ্য নিলেন কেন? তারা বলবে, যেহেতু হাদীসে এসেছে- রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “একমাত্র পবিত্র ছাড়া অন্য কেউ কুরআনকে স্পর্শ করবে না।”[মুয়াত্তা মালেক] আয়াতে যে আরবী শব্দটির অনুবাদে ‘পবিত্র’ বলা হয়েছে সেটি ছিল ‘মুতাহহারুন’ (مطهرون) যা দ্বারা কখনো কখনো ফেরেশতাদেরও বুঝানো যেতে পারে। কিন্তু হাদীসে যে শব্দটির অনুবাদ পবিত্র করা হয়েছে তা হল, ‘তা-হের’ (طاهر)যার অর্থ হল মল-মূত্র, জানাবাত, হায়েজ-নিফাস ইত্যাদি থেকে যিনি পবিত্র। ‘তা-হের’ শব্দ দ্বারা কোন অবস্থায় ফেরেশতাকে বুঝানো সম্ভব নয়। তাই আমরা এই হাদীস থেকে জানতে পেরেছি আয়াতের সর্বনামটি দ্বারা কুরআনকেই বুঝানো হয়েছে। তারা আরো বলবে সাহাবায়ে কেরাম থেকে আজ অবধি অধিকাংশ আলেম সমাজ এই হাদীসের উপর আমল করে আসছেন। যার ফলে নির্বিশেষে সকলের কাছে এই হাদীসটি গ্রহণযোগ্য। সুতরাং এই মতই অগ্রগণ্য।[দেখুন তিরমিজি শরীফের ব্যাখ্যা গ্রন্থ ‘তুহফাতুল আহওয়াজি’ ১/৩৮৫-৩৮৮ এবং মুনতাকার ব্যাখ্যা গ্রন্থ ‘নাইলুল আওতার’ ১/২৫৯]

৬. পাপ পূন্য মাপা হবে দাড়ি পাল্লার মত একটা পরিমাপ যন্ত্রে । যার পূন্যের পাল্লা ভারী হবে সে যাবে জান্নাতে আর যার পাপের পাল্লা ভারী হবে সে যাবে জাহান্নামে

মন্তব্য: এটিও সঠিক আকীদা। কুরআনে কারীমের অসংখ্য স্থানে ‘মিযান’ শব্দটি এসেছে। মিযান অর্থ দাড়ি পাল্লা বা মাপার যন্ত্র। আল্লাহ্ তাআলা বলেন, “যার মিযানসমূহ ভারি হবে সেই সফলকাম। আর যার মিযান হালকা হবে সেই ক্ষতিগ্রস্থ, জাহান্নামে চিরকাল থাকবে।”[সূরা মুমিনূন: ১০২-১০৩] অন্য আয়াতে বলেন, “কিয়ামতের দিন আমরা ন্যায়ের পাল্লা প্রতিষ্ঠিত করব।”[সূরা আম্বিয়া: ৪৭] হাদীসে এসেছে, “এমন দুটি বাণী আছে যা জিহ্বাতে অনেক হালকা, পাল্লাতে অনেক ভারি হবে, রহমানের কাছে অতি প্রিয় সেদুটি হলো- সুবহানাল্লাহে ওয়া বি হামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আযীম।”[বোখারী ও মুসলিম] রাসূল (সাঃ) ইবনে মাসউদ (সাঃ) পায়ের চিকন নলার ব্যাপারে বলেছেন, “এ দুটি পাল্লাতে ওহুদ পাহাড়ের চেয়ে ভারী হবে। হযরত আমর বিন আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী করিম (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ্ তাআলা কিয়ামতের দিন সমস্ত সৃষ্টিকুলের সামনে আমার এক উম্মতকে হাজির করবেন। এরপর তার সামনে নিরানব্বইটি রেজিষ্টার খুলে ধরবেন। প্রতিটির দৈর্ঘ্য দিগন্ত প্রসারিত। এরপর বলবেন,তুমি এর কোনটিকে অস্বীকার কর? আমার হিসাব রক্ষক লেখকরা কি তোমার প্রতি অন্যায় করেছে? বান্দা বলবে, না। আল্লাহ্ বলবেন, তোমার কি কোন ওজর আছে? অথবা কোন ভাল আমল আছে? বান্দা হতবুদ্ধি হয়ে বলবে, আয় রব্ব, না। আল্লাহ্ বলবেন, হ্যাঁ অবশ্যই আছে। তোমার একটা ভাল আমল আমার কাছে আছে। আজ তোমার প্রতি অন্যায় করা হবে না। তখন একটা কার্ড বের করা হবে। যে কার্ডে লেখা আছে- ‘আশহাদু আনলা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্; ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহ্।’ আল্লাহ্ বলবেন, তাকে হাজির কর। সে (বান্দা) বলবে, আয় রব্ব, বদআমলের এই বিশাল রেজিষ্টারের বিপরীতে এই কার্ডে দিয়ে কি হবে?! বলা হবে, তোমার প্রতি অন্যায় করা হবে না। তখন এক পাল্লায় রেজিষ্টারগুলো রাখা হবে এবং অপর পাল্লায় কার্ডটি রাখা হবে। সাথে সাথে রেজিষ্টারের পাল্লা উপরে উঠে যাবে এবং কার্ডের পাল্লা ভারি হবে।”[তিরমিজি ও আহমাদ]

এত সুস্পষ্ট কুরআনের বাণী ও হাদীস থাকার পরও বিভ্রান্ত মুতাজিলা সম্প্রদায় মিযানকে অস্বীকার করেছে। আল্লাহ্ আমাদেরকে এ সকল বিভ্রান্ত ফেরকার অনুসরণ থেকে হেফাজত করুন।

৭. সহীহ হাদীস মানেই নির্ভূল হাদীস।

মন্তব্য: হ্যাঁ, সহীহ হাদীস মানেই নির্ভুল হাদীস। তা না হলে কোন হাদীসকে সহীহ বলার কী অর্থ থাকে। হাদীসকে সহীহ, হাসান ও যয়ীফ ইত্যাদি ভাগে ভাগ করার কী প্রয়োজন থাকে?!
১০টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×