somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সিংহ দরবারের ইতিহাস

০২ রা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সিংহ দরবার হল নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে অবস্থিত রাণা বংশর একটি প্রাসাদ। কাঠমাণ্ডুর মধ্যাঞ্চল তথা বাবর মহল এবং থাপাথালি দরবার তার উত্তরদিকে এবং ভদ্রকালির পূর্বদিকে সিংহ প্রাসাদ অবস্থিত।১৯০৮ সালের জুন মাসে চন্দ্র শামসের জে.বি.আর. এই প্রাসাদটি নিৰ্মাণ করেছিলেন।কুমার নরসিংহ রাণা এবং কিশোর নরসিংহ রাণা এর গাঠনিক রুপাংকন করেছিলেন। পেলেডিয়ান স্থাপত্য, করিনথিয়ান, নব্য ধ্রুপদী স্থাপত্য শৈলীর এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে সিংহ দরবার নিৰ্মাণ করা হয়।১৯৭৩ সালের অগ্নিকাণ্ডের আগে সিংহ প্রাসাদে সাতটি প্রাঙ্গণ এবং ১৭০০ টি কক্ষ ছিল। প্ৰতিটি কক্ষের মেজে মার্বেলের নিৰ্মিত রূপালী আসবাবপত্র এবং স্ফটিক বাতিতে পরিপূৰ্ণ ছিল।


রাজ্য সভাঘর টি সিংহ দরবারের সবথেকে বড় এবং সবথেকে অলংকৃত কক্ষ। এই সভাকক্ষটি বিদেশ থেকে আমদানি করা সামগ্ৰী দিয়ে সজ্জিত যেমন, মুরানো কাঁচ, ক্রিস্টাল বিজলী বাতি, বেলজিয়ান দর্পণ এবং দেওয়াল ও ছাদে খুদিত বিভিন্ন ধরণের ফুলের নমুনার সাথে ইটালিয়ান মাৰ্বলের মেঝে।চন্দ্ৰ শামসের একটা ব্যক্তিগত নাট্যশালা নিৰ্মাণ করেছিলেন যার নাম গেলারী বৈঠক রাখা হয়েছিল।একে সংসদ ভবন হিসেবে ব্যবহার করা হত।


যতদূর জানা যায় প্রধানমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত হবার পরপরই শামসের এই সিংহ প্রাসাদটি নিৰ্মাণ করেছিলেন। প্রথমে এটি ছিল একটি ছোট্ট ব্যক্তিগত বাসগৃহ, কিন্তু নির্মাণের সময় একে বৃদ্ধি করা হয়। নির্মাণের পরপরই শামসের এই সম্পত্তি নেপাল সরকারকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসগৃহ হিসেবে ২০ মিলিয়ন নেপালী টাকায় বিক্রয় করে দেন।১৯২৯ সালে তার মৃত্যুর পর সিংহ দরবার রাণা বংশের প্রধানমন্ত্রীদের সরকারি বাসগৃহ হিসেবে ব্যবহার করা হত । সিংহ দরবার দখল করা রাণা বংশের শেষ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মোহন শামসের জে.বি.আর। এমনকি ১৯৫১ সালে রাণা বংশ ক্ষমতাচ্যুত হবার পরও মোহন শামসের সিংহ দরবারে ছিলেন কিন্তু ১৯৫৩ সালে সিংহ দরবার জাতীয় সম্পত্তি হিসেবে পরিগণিত হওয়ায় তাকে সিংহ দরবার ছেড়ে যাবার জন্য সরকারিভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়।


বংশগত প্ৰধানমন্ত্ৰী পদ্ধতির অবসান ঘটার পর নেপাল সরকার এই প্রাসাদটিকে সরকারি কাৰ্যালয় গৃহ হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করেছিল। প্রাসাদটিকে নেপাল সংসদের প্ৰতিনিধি সভা এবং রাষ্ট্ৰীয় সভার দ্বারা দখল করা হয়েছিল। এতে ২০ টি মন্ত্ৰণালয় এবং সরকারি কাৰ্যালয় রাখা হয়েছে। সিংহ দরবার রেডিও নেপাল এবং নেপাল দূরদর্শন এর প্ৰধান কাৰ্যালয়ও।১৯৭৩ সালের ৯ জুলাই সোমবার সিংহ প্রাসাদে ভয়ানক অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল যার ফলস্রুতিতে সিংহ প্রাসাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে নেপালে সংঘটিত ভূমিকম্পেও সিংহ প্রাসাদ মারাত্মকভাবে ক্ষতি হয়েছিল ।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:১৮
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×