হাজিয়া সোফিয়া হল মধ্যযুগের রোম স্রামাজ্যের সাবেক রাজধানী ইস্তাম্বুলের এবং বর্তমান “তুরস্ক” প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি মসজিদ যেটি আদিতে বা আগে গির্জা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।এটি স্থাপন করা হয়েছিল মূলত অর্থোডক্স গির্জা হিসেবে। এই স্থাপনাটি অর্থোডক্স গির্জা হিসেবে স্থাপনের পর থেকে ১২০৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়। এর এটিকে ক্যাথলি গির্জায় রুপান্তর করা হয় ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে, যা ১২৬১ সাল পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়। তারপর এটি পুনরায় অর্থোডক্স গির্জায় রূপান্তর করা হয়, যার মেয়াদকাল ১২৬১-১৪৫৩ সাল পর্যন্ত।
গম্বুজের অন্তর্ভাগের পুনঃরুদ্ধার কাজ
ইম্পিরিয়াল গ্যলারীর মোজাইক
মার্বেল পাথরের দরজা
কিন্তু এর পর মানে পঞ্চদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি তুরস্ক মুসলিম সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। ফলে এই স্থাপনাটিকে মসজিদে রুপান্তর করা হয়। যার নতুন নামকরণ হয় "ইম্পিরিয়াল মসজিদ" আর তা প্রায় ৫০০ বছর স্থায়ী হয়। বর্তমানে তুরস্কের প্রধান মসজিদ সুলতান আহমেদ মসজিদ, যা ব্লু মসজিদ নামেও অনেকের কাছে পরিচিত। যা স্থাপিত হয় ১৬১৬ সালে। কিন্তু এই মসজিদ স্থাপনের পূর্বে ইম্পিরিয়াল মসজিদই ছিল তুরস্কের প্রধান মসজিদ।
ইম্পিরিয়াল তোরণ
ইস্পাতের কোটেড পাথরের একটি স্তম্ভ
এরপর এই স্থাপনাটি ১৯৩৫ সালে আধুনিক তুরস্কের স্থপতি ও স্বাধীন তুরস্কের প্রথম রাষ্ট্রপতি মুস্তফা কামাল আতার্তুক যাদুঘরে রূপান্তর করেন। যা বর্তমানেও বিদ্যমান।মসজিদে রূপান্তরের পর এর দেয়ালে মার্বেল পাথরে অঙ্কিত যীশু খ্রিস্টের অনেক গুলো ছবি সিমেন্ট দিয়ে মুছে দেওয়া হয়। ছবিগুলো প্রায় ৫০০ বছরের জন্য সিমেন্টের নিমে চাপা পড়ে। কিন্তু এই স্থাপনাটিকে যাদুঘরে রূপান্তরের পর ছবিগুলো পুনরুদ্ধার করা হয়। ফলে যীশুখ্রিস্টের ছবিগুলো অনেকটা অস্পষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে অঙ্কিত "আল্লাহু ও মুহাম্মদ (সঃ)" এর আরবিতে অঙ্কিত মার্বেল পাথরও এর পাশাপাশি সংরক্ষিত হয়। তাই এই নামগুলোর পাথর অনেক বেশি উজ্জ্বল থাকে।
অভ্যন্তরের প্যানোরামা
মসজিদের মেহরাব
হাজিয়া সোফিয়ার ভেতর, প্রধান গম্বুজে ইসলামিক ঐতিহাসিক জিনিস সংরক্ষিত
তারপর থেকে এই স্থাপনায় নতুন নিয়ম প্রবর্তন হয়। প্রধান নিয়মটি হল,এই স্থাপনার মূল অংশ বা হলরুম ধর্মীয় কাজে ব্যবহার করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ, সেটি মুসলিম অথবা খ্রিস্টান ধর্ম উভয়ের জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু এই স্থাপনার উভয় ধর্মের জন্য আলাদা আলাদা সংরক্ষিত জায়গা রয়েছে। অর্থাৎ এই কমপ্লেক্ষটিতে একটি মসজিদ এবং একটি গির্জা নির্মাণ করা হয়।
ইশ্বরের মেষ খচিত বাসিলিকা পাথরের ধ্বংসাবশেষ
১৯ শতকের চিহ্ন
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট ।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৮