somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যে কারণ বালাকোটের বিপর্যয় ঘটেছিল

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সৈয়দ আহমদ বেরেলভি শহীদ বর্তমান পাকিস্তানের যেসব জায়গায় ঘুরেছিলেন সেসব জায়গা এখনো আছে। পেশোয়ার, সোয়াত তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য।সাইয়েদ আহমাদ ১৭৮৬ সালের ২৯শে নভেম্বর ভারতের অযোধ্যা জেলায়জন্মগ্রহণ করেন । পরে বড় হয়ে তিনি অবশ্য দিল্লি, বাংলা, মক্কা-মদিনা প্রভৃতি শহর ও এলাকা সফর করেন এবং তার প্রভাব ছড়িয়ে দেন।
সৈয়দ সাহেব ও তার অনুসারীদের অমুসলিমরা ‘ওয়াহাবি’ বলে প্রচারণা চালায়, যেমনভাবে তারা সব মুসলিমকে ‘মোহামেডান’, ইসলাম ধর্মকে ‘মোহামেডান ধর্ম’ বলে প্রচার করত। না আরবের আবদুল ওয়াহাব নিজের ইসলামি কার্যক্রমকে ওয়াহাবি বলেছিলেন, না তথাকথিত ওয়াহাবি কার্যক্রম মূলত ইসলামবিরোধী ছিল। আবদুল ওয়াহাব ইসলামের সেবা করেছেন, যদিও কেউ কেউ তার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেন। দ্বিমত থাকতেই পারেÑ মৌলিক বিষয়ে না হলেই হলো।
যাই হোক অ্যাবোটাবাদ-কাকুল শহর পেরিয়ে ছোট্ট একটা পাহাড়ি নদীর পশ্চিম পাড় ধরে বালাকোটে পৌঁছি। ছোট্ট একটা পাহাড়ি শহর এটি। বাজারের এক পাশে নদীর ধারে একটা মাজার। মানুষেরা সেখানে যায় দোয়া করতে। এটাই সৈয়দ সাহেবের মাজার নামে মশহুর। এ নিয়ে মতভেদও আছে, জানালেন স্থানীয়রা আমাকে। আসলে সৈয়দ আহমদের কর্তিত শির নদীর পানিতে বাহিত হয়ে বালাকোটের দক্ষিণে গরহি হাবিবুল্লাহ গ্রামে পৌঁছলে সেখানে তা দাফন করা হয়। সেখানে মাজার আছে নদীর ধারে। বালাকোটেও আছে মাজার। মনে হয়, বালাকোটের মাজারটা তার দেহের অবশিষ্টাংশের। মানুষ দুই জায়গাতেই যায় দোয়া-দুরূ পড়তে।
বালাকোটের উত্তরে একটা ছোট ঝিল পার হয়ে বালাকোটের কয়েকজন প্রখ্যাত শহীদের কবর আছে। তন্মধ্যে শাহ মাওলানা ইসমাইল শহীদের কবর অন্যতম। কবরের নামফলকে তার নাম স্পষ্ট দেখলাম। ১৮৩১ সালের ৬ মে বালাকোটের বিপর্যয়ে উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিরাট ক্ষতি হয়েছিল। বালাকোট বিপর্যয় না হলে ইংরেজদের হয়তো তথাকথিত সিপাহি বিদ্রোহের আগেই উপমহাদেশ ছাড়তে হতো।
সৈয়দ সাহেব সরাসরি ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদ না করে শিখ অধিকৃত এলাকায় কেন জিহাদ শুরু করলেন? যতটুকু বুঝতে পেরেছি তা হলো, এই উপমহাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে ইংরেজ হানাদারদের বের করতে হলে পশ্চিমের মুসলিম উপজাতিদের সাহায্য প্রয়োজন ছিল। অথচ এ সময় শিখরা সেখানে ক্ষমতায়। তারা আবার স্থানীয় মুসলিমদের ওপর, এমনকি নারীদের ওপরও জুলুম করছিল। অন্য দিকে তারা ইংরেজদের মিত্র। এ জন্যই হয়তো সৈয়দ আহমদ পশ্চিমে তার শিবির স্থাপন করেছিলেন। কিছুটা কাজও হয়েছিল। পেশোয়ারকেন্দ্রিক ইসলামি স্বাধীন প্রশাসন তিনি শুরুও করেছিলেন; কিন্তু স্থানীয় মুসলমানদের কিছু লোক শিখ ও ইংরেজদের ফাঁদে পড়ে সৈয়দ সাহেবের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। পরে ইংরেজরা শিখদের সেই মিত্রতার ‘প্রতিদান’ দেয় শিখ রাজ্যটাই দখলে নিয়ে। সৈয়দ সাহেবের ইচ্ছা ছিল মুসলিম উপজাতিদের নিয়ে শিখ ও ইংরেজদের মোকাবেলা করা; কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছাই চূড়ান্ত। বালাকোটের বিপর্যয়ের পরও ঈমানদার মুসলমানরা ১৮৫৭ সালে সশস্ত্র সংগ্রাম করেন। এর পরও ইংরেজরা না যাওয়া পর্যন্ত খোরাসানিরা শেষ পর্যন্ত সশস্ত্র যুদ্ধ করেছিল। সীমান্তের ইপির ফকিরের ব্রিটিশবিরোধী জিহাদের কথা কে না জানে।
আল্লাহ কুরআনে বলেন : ‘যুদ্ধে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার পরও যারা আল্লাহ ও রাসূলের আদেশ মান্য করেছে তাদের মধ্যকার পুণ্যাত্মা ও মুত্তাকিদের মহাপুরস্কার রয়েছে।’ (৩ সূরা, আলে ইমরান : ১৭২ আয়াত)। বালাকোটের ‘আঘাত’ পাওয়ার পরও মুমিন মুসলমানেরা ব্রিটিশ দখলদারবিরোধী লড়াই চালিয়ে গেছে।
ইসলাম জয়-পরাজয়কে কমই গুরুত্ব দেয়। দায়িত্ব পালনে আল্লাহ নিয়ত দেখবেন। তাই বালাকোটের পরাজয়কে পরাজয় বলা যেতে পারে না। ওহুদ ও কারবালাকে কি পরাজয় বলা হবে? আল্লাহ কুরআনে বলেন : ‘পরকালের মুক্তির বিনিময়ে যারা পার্থিব জীবন বিক্রয় করে, তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করুক, যে আল্লাহর পথে জিহাদ করে নিহত অথবা হয় বিজয়ী, সর্ব অবস্থায়ই আমি তাকে মহাপুরস্কার প্রদান করব।’ (৪, সূরা নিসা; ৭৪ আয়াত)। ‘বলো, তোমরা অপেক্ষা করতে থাকো আমাদের দু’টি মহলের (শহীদ বা গাজী) একটির জন্য।’ (৯, সূরা তাওবাহ : ৫২ আয়াত)। ‘মুসলমানদের কতক আল্লাহর সাথে তাদের কৃত ওয়াদা পূরণ করেছে, ওদের কেউ শহীদ হয়েছে, কেউ প্রতীক্ষায় আছে; কিন্তু তারা তাদের লক্ষ্য পরিবর্তন করেনি।’ (৩৩, সূরা আহজাব : ২৩ আয়াত)। ‘তোমাদের আঘাত লেগে থাকলে অনুরূপ আঘাত তো ওদেরও লেগেছিল, মানুষের মাঝে এ দিনগুলো আমিই ক্রমান্বয়ে আবর্তন করাই, যাতে আল্লাহ জানতে পারেন বিশ্বাসীগণকে এবং রাখতে পারেন তোমাদের কতককে সাক্ষী (শহীদ); জালেমদের আল্লাহ ভালোবাসেন না।’ (৩, সূরা আলে ইমরান : ১৪০ আয়াত)।
সৈয়দ আহমদের আন্দোলন সাময়িকভাবে ব্যর্থ হলেও তা সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলা যায় না। বালাকোটের পরও মুসলমানেরা চুপ থাকেনি। পরে জেলজুলুম, ফাঁসি, দ্বীপান্তর, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, জঘন্য নিত্য নির্যাতন ইত্যাদি তাদের ঈমানকে টলাতে পারেনি। তাই না শেষ পর্যন্ত হানাদার ইংরেজকে চলে যেতে হয়। তবুও আমরা বালাকোটের পরাজয়ের কারণগুলো বিশ্লেষণ করব।

১ । উপমহাদেশের মূল ভূখণ্ড বাংলা, বিহার, মধ্যপ্রদেশ প্রভৃতি অঞ্চল থেকে এক থেকে দুই হাজার অনুসারী সৈয়দ সাহেবের সাথে পশ্চিম সীমান্তে যায়। তারা ইসলামি চেতনাসম্পন্ন ছিল। স্থানীয় পাঠানরা তিন লাখ লোক দিয়ে সহায়তা করলেও এরা সরদার বা গোত্রীয় শাসকের দ্বারা প্রভাবিত ছিল। এই সরদার ও শাসকদের অনেককেই শিখ ও ইংরেজ কর্তৃপক্ষ ‘কিনে ফেলে’। ফলে দরিদ্র ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন পাঠান সিপাহিরাও বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে শত্রুর মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে।

২। আধুনিক রণকৌশলের প্রশিক্ষণ তেমন ছিল না মুজাহিদ বাহিনীর।

৩। সৈয়দ সাহেব পাঠান নেতা সুলতান মুহাম্মদ খাঁ ও তার ভাইদের বিশ্বাস করে সুলতানকে পেশোয়ারের প্রশাসক বানান। সে বিশ্বাসঘাতকতা করে কয়েক শ’ উঁচুস্তরের মুজাহিদকে এক রাতে শহীদ করেছিল। ফলে পেশোয়ার হাতছাড়া হয়ে যায় সৈয়দ সাহেবের।

৪।কিছু পাঠান জিহাদ করার চেয়ে লুটপাটে বেশি আগ্রহী ছিল।

৫। পাঠানেরা অনেক ক্ষেত্রে শরিয়তি আইনের চেয়ে স্থানীয় কবিলার প্রচলিত আইন পালন করত বেশি। যেমনÑ গরিব পাঠানেরা মেয়েকে বিয়ে দিত যা অনেকটা মেয়ে বেচার মতো, বলপূর্বক বিয়েও সেখানে ছিল, কেউ কেউ চারের অধিক বিবি রাখত, মৃতের ওয়ারিশানের মধ্যে বিধবাদের বাটোয়ারা করত ইত্যাদি। সৈয়দ আহমদ এগুলো সম্পর্কে শরিয়তের আলোকে ফয়সালা দিলেন, যা পাঠানদের মনঃপূত হলো না। এ দিকে ওশর (ফসলের দশমাংশ ও জাকাত শতকরা আড়াই ভাগ বায়তুলমালে দিতে বলা হলে পাঠানেরা রাজি হলো না। পাঠানেরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কমই মানত। সৈয়দ আহমদ সংস্কারমূলক আইনগুলো একসাথে সব বাস্তবায়ন না করে ধীরে ধীরে করলে হয়তো প্রতিক্রিয়া এত উগ্র হতো না।

৬। সৈয়দ সাহেবকে আসলেই মোকাবেলা করতে হয়েছে যদিও পরোক্ষভাবে ইউরোপীয়দের, যাদের সূর্য সেই সময় মধ্যগগনে। প্রায় সমগ্র বিশ্বকে তারা কবজা করে ফেলেছিল। সেখানে ছিল স্বার্থপর, কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং বিশ্বাসঘাতক সরদার ও তাদের অনুসারীরা।

হজরত শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দেস দেহলভী এবং তার চার ছেলে ও ভ্রাতুষ্পুত্র শাহ মাওলানা ইসমাইল প্রমুখসহ প্রায় ত্রিশ লাখ মুজাহিদ উপমহাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে নানা মহলে কাজ করছিলেন। মাওলানা আসাদ মাদানীর তথ্যানুযায়ী, সেই সময়ে প্রায় দুই লাখ মুসলিম শহীদ হন জিহাদে, যার ভেতর সাড়ে সাতান্ন হাজার ছিলেন আলেম (বরাত গোলাম আহমদ মোর্তজা, ইতিহাসের ইতিহাস পৃষ্ঠা ২৫৪।হান্টার তার দি ইন্ডিয়ান মুসলমানস বইয়ে মুসলমানদের প্রতি কিছু মেকি দরদ দেখালেও মুজাহিদদের ইংরেজ বৈরিতা দেখে অবাক হয়েছেন। তিনি লিখেছেন, সব সময় জিহাদিরা সীমান্তের আদি বাসিন্দাদের ব্যস্ত রেখেছিল ব্রিটিশ শক্তির সাথে বিরামহীন সংগ্রাম সংঘর্ষে। ১৮৫০ থেকে ১৮৬৩ সালের মধ্যে আমরা ষোলোবার যুদ্ধ চালাতে বাধ্য হয়েছি। এ জন্য তেত্রিশ হাজার সৈন্যের দরকার হয়েছে। আর ১৮৫০ থেকে ১৮৬৩ সালের মধ্যে এই যুদ্ধ হলো ২০ বার। তার জন্য দরকার হয়েছে ষাট হাজার স্থায়ী সৈন্যের। তা ছাড়া অস্থায়ী সৈনিক ও পুলিশ তো আছেই। হিংসার বশবর্তী হয়ে কেমন করে বিপ্লবীরা যুদ্ধের চ্যালেঞ্জ জানাতে সাহসী হতে পারে এটি মোটেই কঠিন ব্যাপার নয়; কিন্তু এটি বোঝা খুবই শক্ত যে একটা সুসভ্য দেশের ইংল্যান্ডের সেনাবাহিনীর সুকৌশল ও সমরনীতির বিরুদ্ধে কিভাবে তারা বহু যুগ ধরে টিকে থাকতে পারে।;দি ইন্ডিয়ান মুসলমানস।হান্টারের কথাই প্রমাণ যে সীমান্তে সৈয়দ আহমদ শহীদের জ্বালানো প্রদীপ জ্বলছিলই। একটা ‘সুপিরিয়র সুসজ্জিত ইউরোপীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে কোনো বিরতি না দিয়ে সীমান্তে জিহাদ চলতেই থাকে। কাজেই বালাকোট একেবারে ব্যর্থ হয়নি।
তথ্যসূত্রঃ
২০১৪সালের ৮ই জুলাই নয়া দিগন্ত
লেখকঃ ইতিহাসবিদ এবং গবেষক,,
ড. মুহাম্মাদ সিদ্দিক
আরো বিভিন্ন ওয়েব সাইটেও এসব তথ্য পাওয়া যায়।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×