১৯২২ সালে প্রকাশিত তাজের আনারকলি শিরোনামের বইয়ের চিত্র
সৈয়দ ইমতিয়াজ আলি তাজ তিনি ছিলেন একজন উর্দু ভাষার নাট্যকার। ১৯২২ সালে আনারকলির জীবনের গল্প অবলম্বনে তার রচিত আনারকলি নাটকের জন্য তিনি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছেন। রোমান্টিক, ট্র্যাজিক এই মহাকাব্যটি সহস্রবার যেমন মঞ্চায়িত হয়েছে তেমনি ভারত আর পাকিস্তানের ফিচার চলচ্চিত্রে এর উপস্থিতি দেখা গেছে, ভারতের ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র মুঘল-ই-আজম এর একটি উতকৃষ্ট দৃষ্টান্ত।সৈয়দ ইমতিয়াজ আলি ১৯০০ সালের অক্টোবর মাসের ১৩ তারিখে লাহোরে জন্মগ্রহণ করেন তার বাবা ছিলেন মৌলভি মুমতাজ আলি, যিনি শামস-আল-ওলেমা বা জ্ঞানের সূর্য উপাধি লাভ করেছিলেন উর্দু নাটকে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য।তার পিতামহ ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের সময় দিল্লী ছেড়ে লাহোরে পাড়ি জমান। ইমতিয়াজ আলি লেখালেখি জীবনের শুরুতে তাজ নাম ধারণ করেন, শিক্ষা জীবনেই তিনি বিভিন্ন ইংরেজি নাটক অনুবাদ এবং মঞ্চে নারী চরিত্রে অভিনয় করে ছাত্র জীবনে নিজের প্রতিভার সাক্ষর রাখেন।লাহোরে পড়াশুনা শেষ করে তিনি বাবার প্রকাশনা সংস্থা দার-উল-ইশাত পাঞ্জাবে নিজের কর্মজীবনের আরম্ভ করেন।সেই সময় তিনি ছোটদের সাময়িকী ফুল এবং নারীদের তাহযীব-ই-নিশান এ অবদান রাখতেন, এখানে তিনি ফুলে গোলাম আব্বাস আহ্মদ এবং আহমদ নাদীম কাসিমী এর সাথে যৌথভাবে কাজ করতেন।১৯২২ সালে ইমতিয়াজ আলি রচনা করেন ঐতিহাসিক মহাকাব্য আনারকলি এই গল্পে দেখা যায় আনারকলি একজন রাজপ্রাসাদের নর্তকি, দাসী কন্যা যে শাহজাদা সেলিমের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে, এবং শেষ মুহূর্তে এই পরিণয়ের দরুন তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। তার এই রচনাকে বলা হয়, উর্দু নাটক কাহিনীর ইতিহাসে একটি মাইলফলক।হয়েছে, এর উপর ভিত্তি করে ভারত ও পাকিস্তানে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৫২