বুক অফ গেটস বা দরজারগুলোর বইটি হলো নতুন রাজ্যের সময়কালীন বিষয় প্রসঙ্গ অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রাচীন মিশরীয় অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার গ্রন্থ।এই গ্রন্থটিতে সাধারণত একটি সম্প্রতিক মৃত আত্মার পরবর্তী জীবনের যাত্রার কথা, কিছু নিয়ম এবং রাত্রিতে সূর্য দেবতার পাতাল অতিক্রম এবং সেখানে খারাপ শক্তিসমূহ তার মধ্যে রয়েছে আপোপিস সাপ তাকে সকালে উঠে বাধা দেয়, এর বিরুদ্ধে তার লড়াইের কথা বর্ণনা করে। মৃত আত্মাকে যাত্রাপথে অনেকগুলো দরজা অতিক্রম করতে হয়। প্রত্যেক দরজা একেকটি ভিন্ন ভিন্ন দেবীর সঙ্গে সংযুক্ত করা হয় এবং মৃত আত্মাকে সেই বিশেষ চরিত্রের দেবীদেরকে চিনতে হয়। এই গ্রন্থে ইঙ্গিত করে যে কিছু লোকেরা এই যাত্রায় সহ্মম হয় কিন্তু যারা সহ্মম না হয় তাদেরকে একটি অগ্নির হ্রদে ফালানো হবে বা হয় যেখানে তারা দৈহিক তীব্র যন্ত্রণায় ভুগবে।বুক অফ গেটস বইটি প্রতীয়মান হয় XVIII রাজবংশের শেষের দিকে এবং একে সাধারণভাবে লেখা হয়েছে অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার ঘড়ে অথবা অনেক কবরের প্রথম ঘড়ের স্তম্ভগুলোতে। যদিও বইটি XX রাজবংশ থেকে XXVI রাজবংশ পর্যন্ত কাঠের শবধার লিপিখাচিত করা হয়।
বুক অফ গেটসের সর্বাপেক্ষা বিখ্যাত প্রসঙ্গটি হচ্ছে মিশরীয়দের মনুষ্যত্বের জাতি ভেদ করন তারা রীতিসম্মত চারটি শ্রেণীতে ভাগ করেছেন,১। মিশরীয় ২। এশিয়াটিক ৩। লিবিয়ান ৪। নুবিয়ান। এ গুলো ফুটিয়ে তুলে ধরে পরবর্তী জীবনে ঢুকতে।নতুন রাজ্যের অনেক কবরসহ হোরেমহেব থেকে রামসেস VII ফেরাউনদের কবর গুলোতেও গ্রন্থটি এবং চিত্রটি দেখতে পাওয়া যায়। এগুলো সেননেডজেম এর কবরেও দেখতে পাওয়া যায়। সে ছিল দেইর এল-মেদিনা গ্রামের একজন শ্রমিক, চিত্রশিল্পি এবং কারিগর, যে নতুন রাজ্যের ফেরাউনদের কবর গুলো তৈরি করেছে।
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২২