somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হযরত আলী (রাঃ) হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সংক্ষিপ্ত বিবরণ

০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


হয়রত আলি কুরায়িশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। এই বংশ ছিলেন পবিত্র কাবা শরিফের রক্ষক। এই বংশের সেরা শাখাটির নাম হচ্ছে হাশেমি। হযরত আলি এর মাতা এবং পিতা উভয়েই হাশেমি ছিলেন। তার পিতার নাম আবু তালিব এবং মাতার নাম ফাতিমা বিনতে আসাদ। আরব দেশে পুত্রের নামের সাথে মিলিয়ে পিতার নাম ডাকা হয়।আলি ইবনে আবু তালিব ইসলামের চতুর্থ ও খুলাফায়ে রাশেদিন-এর শেষ খলিফা।হযরত আলি (রাঃ) শিশু বয়স থেকেই তিনি ইসলামের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে লালিত পালিত হন। ইসলামের ইতিহাসে তিনি পুরুষদের মধ্যে সর্বপ্রথম যিনি নবী মুহাম্মদ(সাঃ)এর সাথে নামাজ আদায় করতেন। বালকদের মধ্যে এবং পুরুষদের তিনি সর্ব প্রথম নবুয়তের ডাকে সাড়া দিয়ে মাত্র ১০ বছর বয়সে ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন অকুতোভয় যোদ্ধা। বদর যুদ্ধে বিশেষ বীরত্বের জন্য মুহাম্মদ(সাঃ) তাকে জুলফিকার নামক তরবারি উপহার দিয়েছিলেন। খাইবারের সুরক্ষিত কামুস দুর্গ জয় করলে মহানবী তাকে আসাদুল্লাহ বা আল্লাহর সিংহ উপাধি দেন। তিনি খুলাফায়ে রাশেদিন এর একজন।


আলী ইবনে আবি তালিবকে, ইসলামে চতুর্থ খোলাফায়ে রাশেদীন, ইবনে মুলজিম নামে একজন খারেজী ৬৬১ সালের ২৬শে জানুয়ারীতে বর্তমান ইরাকে অবস্থিত কুফার শাহী মসজিদে হত্যা্ করেন।৬৬১ সালের ২৬শে জানুয়ারী ইবনে মুজলিম বিষাক্ত বিষে মাখা একটি তলোয়ার দিয়ে হযরত আলীর মাথায় আঘাত করেন এবং এই আঘাতের কারণেই ঘটনার দুইদিন পর ২৮শে জানুয়ারী ৬২ বা ৬৩ বছর বয়সে হযরত আলী শাহাদাত বরণ করেন। হযরত উমর এবং হযরত উসমানের পর তৃতীয় খলিফা হিসেবে তিনি হত্যাকান্ডের শিকার হন। ৬৫৬ সালে হযরত উসমানের হত্যাকান্ডের পর হযরত আলী খলিফা হিসেবে নিযুক্ত পান। খলিফা হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই মুয়াবিয়া ১ সহ বিভিন্ন গোত্র তার বিরোধিতা করতে থাকে। ইসলামী শাসনের প্রাথমিক পর্যায়ে প্রথম ফিতনা নামে একটি সামরিক যুদ্ধ সংগঠিত হয় যা খোলাফায়ে রাশেদীনদের শাসনের ইতি ঘটায় এবং উমাইয়া শাসনের গোড়াপত্তন ঘটায়। ৬৫৬ সালে খলিফা উসমান ইবনে আফফানের হত্যাকান্ডের পর এটি শুরু হয় এবং হযরত আলীর খেলাফতের চার বছরকাল ধরে যুদ্ধটি চলতে থাকে। সিফফিনের যুদ্ধে হযরত আলী মুয়াবিয়া ১ এর সাথে মধ্যস্থতা করতে রাজী হলে তার দলের কিছু সৈন্য তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে পরবর্তীতে তারা হযরত আলীকে ত্যাগ করেছিল এবং খারেজী নামে পরিচিতি হয়েছিল। তারা হযরত আলীর কিছু সমর্থককে হত্যা করে তবে ৬৫৮ সালে জুলাইয়ে সংগঠিত নাহরাওয়ান যুদ্ধে হযরত আলী (রাঃ) এর সৈন্যরা তাদের ধ্বংস করে দেন ।


ইবনে মুজলাম মক্কায় আল-বুরাক ইবনে আব্দ আল্লাহ এবং আমর ইবনে বকর আল-তামিমি নামক অন্য দুইজন খারেজীর সাথে সাক্ষাত করেন এবং তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে মুসলমানদের দুর্দশার জন্য আলী, মুয়াবিয়া এবং আমর ইবনে আসই, মিশরের শাসনকর্তা, দায়ী। নাহরাওয়ান যুদ্ধে তাদের সঙ্গীদের মৃত্যুর প্রতিশোধ এবং সে সময়কার শোচনীয় অবস্থা নিরসনের জন্য তারা এই তিনজনকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। হযরত আলীকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ইবনে মুলজাম কুফার পথে রওনা হন। সেখানে তিনি এক মহিলার প্রেমে পড়েন যার পিতা এবং ভাই নাহরাওয়ান যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করেন। মহিলাটি এই শর্তে বিয়ে করতে রাজী হয় যে যদি সে হযরত আলী (রাঃ) কে হত্যা করতে পারে তাহলেই সে ইবনে মুজলামকে বিয়ে করবে। ফলস্বরূপ, কুফা শাহী মসজিদে ইবনে মুজলাম হযরত আলীকে ছুরিকাঘাত করেন। হযরত আলীর শাহাদাতের পর, হাসান ইবনে আলী ইবনে মুজলামকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন।


হযরত মুহাম্মদ (সঃ), ইসলাম ধর্মের শেষ নবী এবং রসুল এর ওফাতের পর মুসলিম সাম্রাজ্য মুহাম্মদের উত্তারাধিকারী নির্বাচনে নিজেদের মধ্যে পৃথক হয়ে পড়ে। হযরত আলীর হত্যাকান্ডের পিছনে এটি অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছিল। বানি সাইদার মজলিশ আবু বকরকে খলিফা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। খেলাফত নিয়ে বিভিন্নমত রয়েছে।কেউ কেউ মনে করেন হযরত মুহাম্মদ (সঃ) খেলাফতের জন্য কোন ব্যক্তিকে মনোনীত করে যাননি।আরেকটি মতানুসারে গদীরখুমের ভাষণে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) হযরত আলীকে তার উত্তারাধিকারী অর্থাৎ আধ্যাত্বিক প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করেন। পরেরটি অনেক বেশী গ্রহণযোগ্য হয়েছে। কারণ হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এরশাদ করেন,
আমি যার মওলা আলীও তার মওলা।
তিনি আরো এরশাদ করেন
আমি জ্ঞানের শহর আর আলী ওই শহরের দরজা।
আবু বকরের মৃত্যুর পর উমর খলিফা হিসেবে নির্বাচিত হন। ৬৪ বছর বয়সে উমর এক আততায়ির হাতে মুত্যুবরণ করেন। উমরের মুত্যুর পর আলী, হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর চাচাত ভাই এবং জামাতা, এবং উসমান খেলাফতে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। উসমান একটি নির্বাচক পরিষদের ভোটে খলিফা হিসেবে নিযুক্ত হন। ৬৫৬ সালে উসমানের হত্যাকান্ডের পর হযরত আলী খলিফা হিসেবে নিযুক্ত হন।
আলীর খেলাফত আর প্রথম ফিতনা সমসাময়িক ছিল।উসমানের মৃত্যুর পাঁচ দিন পর হযরত আলী যদিও চতুর্থ রশিদুন হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি তার শাসনামলে প্রচুর বিরোধীতার সম্মুখীন হন। একদিকে মক্কাতে হযরত আয়শা, তালহা এবং আল-যুবায়ের তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে এবং অন্যদিকে মুয়াবিয়া, পূর্ব-ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের উমাইয়া শাসক, আলীকে নতুন খলিফা হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানান। ফলস্বরূপ খেলাফত লাভের জন্য একটি সামরিক যুদ্ধ সংগঠিত হয়। হযরত আলীর বিরোধিরা উসমানের হত্যাকারীদের শাস্তির জোর দাবি করেছিল। ৬৫৬ সালে সংগঠিত উষ্ট্রের যুদ্ধে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর সহধর্মিনী হযরত বিবি আয়শা এবং অন্যান্য সাহাবাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরতে বাধ্য হন এবং যুদ্ধে জয়লাভ করেন। তারপর ৬৫৭ সালে হযরত আলী মুয়াবিয়ার বিরুদ্ধে সিফফিনের যুদ্ধে অবর্তীণ হন। মুয়াবিয়ার সাথে হযরত আলীর একটি চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধটির অবসান ঘটে।

সিফফিনের যুদ্ধে মুয়াবিয়ার সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তির বিরোধিতা করতে থাকে। তারা ধর্মের ব্যাপারে মানুষের বিচারের বিরোধিতা করে এবং বিচার শুধুমাত্রই আল্লাহর একার এই স্লোগানটি প্রচার করতে থাকে। ৬৫৮ খ্রিস্টাব্দে তারা তাদের চুক্তির শপথ ভঙ্গ করে বিদ্রোহ শুরু করে এবং জনসম্মুখে হুমকি দিতে থাকে যে যারা তাদের সাথে যোগদান করবে না তারা তাদেরকে হত্যা করবে। হযরত আলী তাদেরকে নাহরাওয়ান যুদ্ধে পরাজিত করেন। খারেজীদের হত্যাকান্ড ছিল হযরত আলীর খেলাফতের সবচেয়ে সমস্যাপূর্ণ ঘটনা, কারণ মুয়াবিয়ার বিরুদ্ধে সংহঠিত যুদ্ধে খারেজিরা বলিষ্ঠভাবে অংশগ্রহণ করে।:ইবনে মুজলাম অন্য দুই খারেজী, আল বুরাক ইবনে আব্দ আল্লাহ এবং আমর ইবনে বকর আল-তামিমি, যারা প্রত্যেকেই কিন্দার অধিবাসী ছিলেন বলে মনে করা হয়, মক্কায় স্বাক্ষাত করেন এবং হজ্বব্রতের শেষে তারা একটি দীর্ঘ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, মুসলিম সাম্রাজ্যের এই পরিস্থিতির জন্য হযরত আলী, মুয়াবিয়া এবং আমর ইবনে আস্ই, মিশরের শাসনকর্তা, দায়ী এবং নাহরাওয়ান যুদ্ধে তাদের সঙ্গীদের মৃত্যুর প্রতিশোধ হিসেবে তাদেরকে হত্যা করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে তলোয়ার উঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তারা হত্যাকান্ডের জন্য তারিখ নির্ধারণ করেন এবং পছন্দ অনুযায়ী প্রত্যেকে তাদের শত্রুকে বেছে নেয়।আলী ইবনে আবি তালিবকে ইবনে মুলজিম নামে একজন খারেজী ৬৬১ সালের ২৬ জানুয়ারীতে বর্তমান ইরাকে অবস্থিত কুফার শাহী মসজিদে হত্যা্ করেন। ইবনে মুজলাম পিতার বংশের দিক থেকে হিমিয়ার রাজ্যের অধিবাসী ছিলেন কিন্ত তার মায়ের বংশের জন্য তাকে মুরাদ হিসেবে গণ্য করা হত এবং কিন্দাহের বনী জবলের সাথের তার সর্ম্পক ছিল। নহরওয়ানের যুদ্ধে নিহত খারেজী নেতাদের হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য হযরত আলীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মুজলাম কুফায় প্রবেশ করেছিল।
কুফায়, তায়েম আল-রিবাব উপজাতির একদল তার উপর আক্রমণ চালায় যারা নরওয়ানের যুদ্ধে নিহত তাদের উপজাতির দশ সদস্যের জন্য আহাজারি করছিল। তাদের মধ্যে এক নারীর নাম ছিল কুত্তাম। আলী আল-সাল্লাবী নামে এক খ্রিস্টান যাজকের মতে কুত্তামকে দেখার সাথে সাথে মুলজাম হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এবং কুফায় তার আগমের মূল কারণ ভুলে যায় এবং সে তাকে বিবাহের প্রস্তাব দিয়ে দেয়। কুত্তাম বলল যে সে তাকে বিবাহ করতে পারে যদি সে তাকে যৌতুক হিসেবে তিন হাজার দিনার মুদ্রা বিশেষ আর একটি কুড়েঁঘর ও একজন পুরষ দাস দিতে পারে এবং আলীকে হত্যা করতে পারে।কুত্তাম আলীর উপর প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল কারণ নরওয়ানের যুদ্ধে আলীর সৈন্যবাহিনী তার পিতা এবং ভাইকে হত্যা করেছিল। মুজলাম আলীর হত্যাকাণ্ডে তাকে সহযোগিতা করার জন্য শুবাইব নামে এক ব্যাক্তিকে প্ররোচিত করেছিলেন। শুবাইবের পাশাপাশি শাবিব ইবনে বুজরা, ওয়ার্দান ইবনে মুজালিদ মুজলামের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিলেন। ষড়যন্ত্রকারীরা হযরত আলী যে দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারেন তার বিপরীত দিকে নিজেদের অবস্থান নিয়েছিলেন।
শুক্রবার ১৭ বা ১৯ রমজান, আলী ফজরের সালাত আদায় করার উদ্দেশ্যে কুফা মসজিদে প্রবেশ করেন। হযরত আলী সালাত আদায়রত অবস্থায় সালাতের অংশ হিসেবে সূরা আল আনবিয়া পড়া শেষ করলেন তখন বা যখন তিনি মসজিদে প্রবেশ করছিলেন তখন ইবনে মুজলাম বিষমাখা তলোয়ার দিয়ে হযরত আলীর মাথায় আঘাত করল। শাবিবের তলোয়ার আলীকে আঘাত করতে পারেনি এবং এর পরিবর্তে দরজার কাঠের ফ্রেমে বা ধনুকাকৃতির খিলানে আঘাত করে। সে সেখান থেকে পালিয়ে যায় এবং কিন্দার মূল ফটকের নিকটে সে ধরা পড়ে কিন্তু অবশেষে সে ভিড়ের মাঝে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ওয়ার্দান তার বাড়িতে দৌড়ে পালিয়ে যায় এবং সেখানে সে হত্যাকান্ডের তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলে তার এক আত্মীয়, আব্দ আল্লাহ বিন নাজাবা বিন ওবায়েদ , তাকে হত্যা করে। ইবনে মুজলামকে হাশীমী আল-মুঘলরা ইবনে নাওফাল ইবনে আল হারিছ বন্দি করেন।


আল-আশ’আথ কায়েস কুফার কিন্দাহ গোত্রের প্রধান ছিলেন। উইলফ্রেড মেডেলাং এর মতে, আলীর শাসনের শেষ সময়ে মুয়াবিয়ার প্রতি সে বিশেষভাবে অনুরক্ত হয়ে পড়ে এবং মুয়াবিয়ার বিরুদ্ধে আলীর যুদ্ধ ঘোষণার প্রতি অনীহা প্রকাশের জন্য অর্থ লাভের প্রলোভন দেখানো চিঠিও পান মুয়াবিয়ার পক্ষ থেকে। কিছু কিছু সূত্র দাবি আল-আশ’আথকে এই বলে দোষী করে যে আলীর হত্যাকাণ্ডের জায়গার ব্যাপারে আল-আশ’আথ কায়েস আগে থেকেই জানতেন। আল-ইয়াকুবির মতে, ইবনে মুজলাম যখন তার তলোয়ার তৈরীর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সে সময় আল-আশ’আথ কায়েস ইবনে মুজলামকে একমাসের জন্য তার ঘরে জায়গা দেন। ইবনে সা’দ এর আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয় যে, আল-আশ’আথ ইবনে মুজলামকে পরামর্শ দেয়ার জন্য সে রাতে মসজিদে অবস্থান করেছিলেন এবং "সকাল উদিত হয়েছে" বলে হত্যার চেষ্টা করার সময়ের সংকেত দিয়েছিলেন।অধিকাংশ সূত্ আশ-আশ’আথের একটি দ্ব্যর্থক ভাষা বর্ণনা কর যা হল : "তোমাদের জন্য সূর্য উদিত হয়েছে" এবং যারা শিয়া অনুসারী তারা এটিকে ইবনে মুজলামের জন্য একটি সুস্পষ্ট উৎসাহব্যাঞ্জক বাক্য: "মুক্তি! মুক্তি! তোমাদের জন্য সূর্য উদিত হয়েছে"। হত্যাকাণ্ডের পর, হুজুর ইবনে’ আদি তাকে আলী হত্যার জন্য অভিযুক্ত করেন। এমন একটি প্রতিবেদন রয়েছে যেখানে বলা হয়েছে তিনি হযরত আলীকে ইবনে মুজলামের ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। লাউরা ভেচ্চিয়া ভাগলিয়েরির মতে, সূত্রগুলো আশ-আশ’আথের দুষ্কর্মে সহযোগিতা করার ব্যাপারে এবং এমনকি তার বিশ্বাস্ততার ব্যাপারটির প্রত্যক্ষ অভিযোগের বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন বিভিন্ন মত প্রকাশ করেছে।

http://referenceworks.brillonline.com/entries/encyclopaedia-of-islam-2/ali-b-abi-talib-COM_0046
http://referenceworks.brillonline.com/entries/encyclopaedia-of-islam-2/ibn-muldjam-COM_0339
http://www.sunypress.edu/p-4408-the-charismatic-community.aspx
http://www.cambridge.org/us/academic/subjects/history/regional-and-world-history-general-interest/new-cambridge-history-islam
বাংলা পিডিয়া
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×