আল মাহমুদ ১৯৩৬ সালের ১১ই জুলাই ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার মোড়াইল নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ।তিনি কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার সাধনা হাই স্কুল এবং পরে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড হাই স্কুলের পড়াশোনা করেন। মূলত তখন থেকেই তার লেখালেখির শুরু হয়। । আল মাহমুদ বেড়ে উঠেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। আজীবন আত্মপ্রত্যয়ী কবি ঢাকায় আসার পর কাব্য সাধনা করে একের পর এক সাফল্য লাভ করেন।আল মাহমুদ ছিলেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। তিনি একাধারে একজন কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিকও ছিলেন।বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়াংশে সক্রিয় থেকে তিনি আধুনিক বাংলা কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে, চেতনায় এবং বাক্ভঙ্গীতে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছেন। তিনি ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশ নিয়েছেন। তিনি ততকালীন সরকার বিরোধী দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন।
কবি আল মাহমুদ এর প্রকাশিত গ্রন্থ হলঃ
লোক লোকান্তর
কালের কলস
সোনালী কাবিন
মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো
আরব্য রজনীর রাজহাঁস
বখতিয়ারের ঘোড়া
অদৃশ্যবাদীদের রান্নাবান্না
Al Mahmud In English
দিনযাপন
দ্বিতীয় ভাঙ্গন
একটি পাখি লেজ ঝোলা
পাখির কাছে ফুলের কাছে
আল মাহমুদের গল্প
গল্পসমগ্র
প্রেমের গল্প
যেভাবে বেড়ে উঠি
কিশোর সমগ্র
কবির আত্নবিশ্বাস
কবিতাসমগ্র
কবিতাসমগ্র-২
পানকৌড়ির রক্ত
সৌরভের কাছে পরাজিত
গন্ধ বণিক
ময়ূরীর মুখ
না কোন শূন্যতা মানি না
নদীর ভেতরের নদী
পাখির কাছে , ফুলের কাছে
প্রেম ও ভালোবাসার কবিতা
প্রেম প্রকৃতির দ্রোহ আর প্রার্থনা কবিতা
প্রেমের কবিতা সমগ্র
উপমহাদেশ
বিচূর্ণ আয়নায় কবির মুখ
উপন্যাস সমগ্র-১
উপন্যাস সমগ্র-২
উপন্যাস সমগ্র-৩
তোমার গন্ধে ফুল ফুটেছে
ছায়ায় ঢাকা মায়ার পাহাড় (রূপকথা)
ত্রিশের
উড়াল কাব্য
কবি আল মাহমুদ সংবাদপত্রে লেখালেখির সূত্র ধরে ঢাকা আসেন ১৯৫৪ সালে। সমকালীন বাংলা সাপ্তাহিক পত্র পত্রিকার মধ্যে কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী সম্পাদিত এবং নাজমুল হক প্রকাশিত সাপ্তাহিক কাফেলায় লেখালেখি শুরু করেন। তার পাশাপাশি তিনি দৈনিক মিল্লাত পত্রিকায় প্রুফ রিডার হিসেবে সাংবাদিকতা জগতে পদচারণা শুরু করেন। ১৯৫৫ সাল কবি আব্দুর রশীদ ওয়াসেকপুরী কাফেলার চাকরি ছেড়ে দিলে কবি আল মাহমুদ সেখানে সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। কাব্যগ্রন্থ লোক লোকান্তর সর্বপ্রথম তাকে স্বনামধন্য কবিদের সারিতে জায়গা করে দেয়। তারপর কালের কলস,সোনালি কাবিন, মায়াবী পর্দা দুলে উঠো কাব্যগ্রন্থগুলো কবি আল মাহমুদকে প্রথম সারির কবি হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর তিনি গল্প লেখার দিকে মনোযোগী দেন। ১৯৭৫ সালে তার প্রথম ছোটগল্প গ্রন্থ পানকৌড়ির রক্ত প্রকাশিত হয়। ১৯৯৩ সালে বের হয় তার প্রথম উপন্যাস কবি ও কোলাহল।কবি আল মাহমুদ সাংবাদিক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এবং যুদ্ধের পরে দৈনিক গণকণ্ঠ নামক পত্রিকায় সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। সেই পত্রিকায় সামসুদ্দিন পেয়ারা, মরহুম আসফউদ দৌলা, ফজলুল বারী আরো অনেকে রিপোর্টার হিসাবে কাজ করেন। তিনি স্বাধীনতা পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এক বছরের জন্য একবার জেল খাটেন । পরে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু তাকে শিল্পকলা একাডেমীর গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের সহপরিচালক পদে নিয়োগ দেন। দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের পর তিনি পরিচালক হন। পরিচালক হিসেবে ১৯৯৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন। আজ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদ এর শুভ জন্মদিন।কবিকে শুভেচ্ছা জানাই।
তথ্যসূত্রঃ
ইন্টারনেট।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬