somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চীনে অবস্থিত মাকাও টাওয়ার এর ইতিহাস

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অকল্যান্ডের একটি ভ্রমণে হংকং ক্যাসিনো কোটিপতি স্ট্যানলি হো হং-সান অকল্যান্ডের আকাশ মিনার দেখে এতটাই ভাবতে ছিলেন যে তিনি মাকাওতে একই ধরনের একটি নির্মাণ করবেন।টাওয়ারটি নিউজিল্যান্ডের প্রকৌশল সংস্থা বেকা গ্রুপ এবং গর্ডন মোলার অফ মোলার আর্কিটেক্ট ফর সসিয়াদেড ডি টেরিসমো ই ডিভারসিস ডি ম্যাকাও দ্বারা পরিকল্পিত।মিনারটির নির্মাণ কাজ ১৯৯৮ সালে শুরু হয়েছিল এবং টাওয়ারটি ২০০১সালের ১৯ ডিসেম্বর তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে খোলা হয়।মিনারটি ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৩৮ মিটার বা ১,১০৯ ফুট উঁচু। এটিতে রেস্তোরাঁ, থিয়েটার, শপিং মল এবং স্কাইওয়াক এক্স, বহিপরিধি ঘিরে একটি রোমাঞ্চকর পদব্রজে সফরসহ সামগ্রিক দৃশ্যযুক্ত পর্যবেক্ষণ ডেকও আছে। এখান থেকে ম্যাকাওয়ের সেরা দৃশ্য উপলব্ধ এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এটি বিভিন্ন দুঃসাহসিক কার্যক্রমের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। ম্যাকাও টাওয়ারের বাইরের রিম থেকে ২৩৩ মিটার উচ্চতায় এ জে হাকেট দ্বারা স্কাই জাম্প এবং বাঞ্জী জাম্প বিশ্বের সর্বোচ্চ বাণিজ্যিক স্কাই জাম্প যা ২৩৩ মিটার এবং ২৫২ মিটার উচ্চতার সর্বোচ্চ বাণিজ্যিক ডিসেলেটর অবতরন সুবিধাসম্পন্ন, ভেগাস 'স্ট্রাটস্ফিয়ার স্কাই জাম্পের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বাণিজ্যিক ডিসেলেটর অবতরন সুবিধাসম্পন্ন মান্যতা প্রাপ্ত মলার আর্কিটেক্টের আর্কিটেকচার ফার্ম দ্বারা এই টাওয়ার নির্মিত হয়েছিল। এই মিনারটি বিশ্বের বিখ্যাত মিনারগুলির বিশ্ব ফেডারেশনের সদস্য। পর্যবেক্ষণ এবং বিনোদনের জন্য ব্যবহৃত ছাড়াও মিনারটি টেলিযোগাযোগ এবং সম্প্রচারের জন্য ব্যবহার করা হয়।গ্র্যান্ড লিসবোয়া হোটেলটি ম্যাকাউ স্কাইন্যাইনের সবচেয়ে স্বীকৃত প্রাপ্ত স্থান।


২০০৬ সালের ১৭ই ডিসেম্বর সমসাময়িক বাঙ্গি জাম্পিংয়ের জনক এ জে হাকেট এবং জনপ্রিয় শিল্পী এডিসন চেন ম্যাকু টাওয়ারে দুটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ভাঙেন। এ জে হাকেট আইফেল টাওয়ার থেকে ১৯৮৭ সালে অর্জন করা একটি বিল্ডিং থেকে সর্বোচ্চ বাঞ্জি জাম্প তার নিজের গিনেস বিশ্ব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েন।এডিসন চেন বিশ্বের সর্বোচ্চ বাঞ্জি জাম্প সুবিধা"র জন্য নিলামে উদ্বোধনী লাফে ম্যাকাও টাওয়ারের প্রতিনিধিত্ব করেন ।


ম্যাকু টাওয়ার কনভেনশন অ্যান্ড এন্টারটেনমেন্ট সেন্টার এবং ম্যাকাউ টাওয়ার এক সাথে সংযুক্ত বা একটি সংযুক্ত ফ্লোর হিসাবে বেসমেন্ট। মোট পাঁচটি ভূগর্ভস্থ বেসমেন্টের সাথে ম্যাকাউ টাওয়ার কনভেনশন এবং প্রদর্শনী কেন্দ্র। ৪র্থ তম তল কফি ক্যাফে,আর ৫০০ আসনের থিয়েটার, শিল্প পারফরমেন্স এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে উপরন্তু এই ফ্লোরে আটটি রুম, গ্রেট হল যা সম্মেলন এবং ভোজন এবং অন্যান্য কাজের জন্য ১৮০০ মানুষ যেতে পারে, বিশেষ একটি খোলা এয়ার প্ল্যাটফর্ম, ককটেল দল এবং সমাবেশের জন্য ঘর তৃতীয় তলায়, একটি চীনা ঐতিহ্যবাহী হুয়ানাইং রন্ধনপ্রণালী সমন্বিত নুনু মিংজু চীনা রেস্তোরাঁ রয়েছে।ভোকেশনাল ব্যবহারের জন্য ১,৯৬০ মিঃ বা ২১,০৯৭ ফুট এর মোট এলাকার সাথে ব্যানার হল নামক আরেকটি আটটি রুম আছে, একটি মাল্টি উদ্দেশ্য ভবন প্রদর্শনী হল, প্রায় ১০০ বুথ ধরানো যায় বা অন্য কাজে সুষ্ঠু এবং প্রদর্শনীর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। আউটডোর তাছাড়াও লোটাস প্লাজা এবং বহিরঙ্গন স্কোয়ার আছে যেখানে ১০০০ মানুষ এবং ককটেল দল এবং অন্যান্য উদ্দেশ্যে মিলিত হতে পারে।


বহিরাগত প্লাজার মধ্যে রয়েছে মোটরসাইকেলে ভ্রমণ ও জলদস্যু জাহাজ।বেসমেন্টের তলদেশে ওয়াং স্লট বিনোদন কেন্দ্র, প্রদর্শনী হল এবং খুচরা দোকান রয়েছে।

তথ্যসূত্রঃ http://www.architects-ldl.co.nz/
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×