somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্রিটিশদের পুঁজিবাদী লুণ্ঠনে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ ভারতবর্ষ বা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ কিভাবে গরিব দেশে পরিণত হলো ?

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্রিটিশদের পুঁজিবাদী লুণ্ঠনে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ ভারতবর্ষ বা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ কিভাবে গরিব দেশে পরিণত হলো ?
এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আমাদের একুশে পদকপ্রাপ্ত সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন-এর ইংরেজি ভাষায় রচিত ১৯৮২ সালে প্রকাশিত গ্রন্থটা পড়তে হবে। এই গ্রন্থটি বিশ্বের অন্যতম প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান রাউটলেজ এন্ড কেগানপল গ্রন্থটি প্রকাশ করেছেন।এই গ্রন্থে লেখক ব্রিটিশদের পুঁজিবাদে লুণ্ঠনে কিভাবে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী দেশ ভারতবর্ষ বা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ গরিব দেশে পরিণত হলো তার
তথ্য এবং তত্ত্বের বিশাল সমাহার তুলে ধরেছেন।


অনুপম সেনের প্রকাশিত গ্রন্থ ও গবেষণাকর্মঃ
দি পলিটিক্যাল ইথিকস অব পাকিস্তান : দেয়্যার রুল ইন পাকিস্তানস ডিসইন্টিগ্রেশন, (The Political Elites of Pakistan: Their Role in Pakistan's Disintegration) (১৯৮২)
বাংলাদেশ : রাষ্ট্র ও সমাজ; ঢাকা: অবসর (১৯৮৮/১৯৯৯)
ব্যক্তি ও রাষ্ট্র : সমাজ-বিন্যাস ও সমাজ-দর্শনের আলোকে; ঢাকা: অবসর (২০০৭/২০০৮)
আদি-অন্ত বাঙালি : বাঙালি সত্তার ভূত-ভবিষ্যৎ; ঢাকা: অবসর (২০১১)
বাংলাদেশ : ভাবাদর্শগত ভিত্তি ও মুক্তির স্বপ্ন; ঢাকা: অবসর (২০১১)
কবি-সমালোচক শশাঙ্ক মোহন সেন; ঢাকা: অবসর (২০১৩)
বাংলাদেশ : ভাবাদর্শগত ভিত্তি ও মুক্তির স্বপ্ন;
বিলসিত শব্দগুচ্ছ (প্রতীচী ও প্রাচ্যের কয়েকটি কালজয়ী কবিতার অনুবাদ); ঢাকা: অবসর (২০০২)
জীবনের পথে প্রান্তরে; চট্টগ্রাম: বলাকা (২০১১)
সুন্দরের বিচার সভাতে; ঢাকা: অবসর (২০০৮)
ইতিহাসে অবিনশ্বর; চট্টগ্রাম: বলাকা (২০১৬)
বাংলাদেশ ও বাঙালি : রেনেসাঁস, স্বাধীনতা-চিন্তা ও আত্মানুসন্ধান; ঢাকা: অবসর (২০০২, ২০১১)
বাঙালি-মনন, বাঙালি-সংস্কৃতি : সাতটি বক্তৃতা; ঢাকা: প্রতীক(২০১৪)
বিচিত ভাবনা; চট্টগ্রাম: বলাকা (২০০৭, ২০১৭)
দি স্টেট, ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন এন্ড ক্লাশ ফরমেশনস ইন ইন্ডিয়া গ্রন্থটির লেখক ডঃ অনুপম সেন বলেছেন
স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে ১৯৭৫-এর ১৫ই আগস্ট এক সামরিক অভ্যুত্থানে সপরিবারে নিহত হন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার অন্তর্ধানে স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভূলুণ্ঠিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিল। সেই সময় ডঃ সেনের নজরে এলো পৃথিবী বিখ্যাত সমাজতত্ত্ববিদ ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটির তখনকার অধ্যাপক হামজা আলভীর একটি তত্ত্ব। আলভী তার একটি গ্রন্থে বলতে চাইলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দুটি দেশ, বিশেষ করে পাকিস্তান ও বাংলাদেশে বারবার সামরিক অভ্যুত্থান এবং সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের মূল কারণ হলো দেশ দুটিতে রাষ্ট্রের সোশ্যাল ক্লাস আন্ডার ডেভেলপ্ড আর রাষ্ট্র-যন্ত্র যেমন আর্মি, পুলিশ বিশেষত আমলাতন্ত্র ওভার ডেভেলপড। আর এটা করে গেছে ব্রিটিশরা।ভারতবর্ষ বা বর্তমান বাংলাদেশে হাজার বছর ধরে চলমান ছিল গ্রামভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থা। গ্রামের একটি বড় শ্রেণি ছিল কৃষক। তাদের জমির মালিকানা ছিল। আবার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শ্রেণি ছিল কারিগর। যেমন কামার, কুমোর, ধোপা, স্বর্ণকার। তাদেরও কিছু জমি ছিল। গ্রামের মানুষ স্বনির্ভর ছিল। তারা অন্য কারও কাছে নির্ভরশীল ছিল না। মোগল আমল থেকে শুরু করে সব আমলেই জমিদার ছিল তবে তাদের কাছে জমির মালিকানা ছিল না। তারা শুধু রাজার হয়ে খাজনা আদায় করত। কিন্তু ব্রিটিশরা জমিদারদের জমির মালিকানা দিয়ে দিল। আর তাতে কৃষকরা জমি থেকে উচ্ছেদ হলো। ফলে গ্রামভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থা ভেঙে গেল। আর তাতে করে কারিগর শ্রেণি বিলুপ্ত হয়ে গেল। তার ফল ভোগ করল ব্রিটিশরা। তারা এই দেশ থেকে সহজে সম্পদ লুণ্ঠন করতে লাগল। ব্রিটিশদের আগমনের পরেও আমাদের বস্ত্রশিল্প ইংল্যান্ডের চেয়ে উন্নত ছিল। ব্রিটিশরা আমাদের পাট নিয়ে ড্যান্ডিতে জুট মিল করল। ব্রিটিশদের ১৯০ বছরের শাসনের সময় এই ভারতবর্ষ তথা বর্তমানের বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্য ধনী দেশ থেকে গরিব দেশে পরিণত হলো। ব্রিটিশরা আসার অর্ধশতাব্দীর মধ্যে তখনকার ৫০০ কোটি পাউন্ড লুণ্ঠন করে এই দেশ থেকে। সেই অর্থ যদি আমাদের দেশে থাকত তাহলে আজ আমাদের মাথাপিছু আয় ব্রিটিশদের চেয়ে বেশি হতো।
তথ্যসূত্র ইন্টারনেট


সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২২
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×