দুবাইয়ের কোন এক শপিংমলের সামনে প্রায় বিশ বছর বয়্সী একটি ছেলেকে ঘিরে জটলা বেধেছে। ছেলেটির পায়ে NIKE ব্রান্ডের জুতো। পড়নের শার্ট প্যান্ট গুলোও নামিদামী কোন ব্রান্ডের পণ্য। কিন্তু ছেলেটি তার চোখের চশমাটি বিক্রি করতে চায়। আর সেটি কিনতেই দাম হাঁকাচ্ছে রাস্তার শ্রমিকেরা। কেউ দশ, কেউ বার দিনার দাম দিতে চায়। আর ছেলেটি সত্তরের নিচে আসতেই নারাজ।
এই ব্যপারটি চোখে পড়ল শপিং মলের এক আরব ব্যবসায়ীর। সে ছেলেটির কাছে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলো কেন সে চোখের চশমা বিক্রি করতে চায়। ছেলেটি দুই দিন ধরে কিছু খায়নি। সে ক্ষুধার্ত। তাই সে চোখের চশমা বিক্রি করে কিছু খেতে চায়। কিন্তু ভিক্ষে করে খেতে চায়না। ব্যবসায়ীটি বেশ কয়েক বার বলার পরেও সে তার সাথে খেতে রাজি হয়না। সে নিজের টাকায় খেতে চায়। কেন জানেন?
সিরীয়ার অধিবাসীরা ভিক্ষে করতে জানতনা। ওরা ছিল জাত ব্যবসায়ী, জাত যোদ্ধা নয়। সৌদী আরব ও ইরানের ছায়াযুদ্ধের কবলে পরে ওরা শেষ। ওরা বেঁচে যেত যদিনা আবার ওবামা ও মিসেস ক্লিন্টনের তৌরী আইএস সাথে যুক্ত না হত। লাদেনের মৃতুয়র পরে মুসলিমদের গনহারে সন্ত্রাসী তাকমা দেবার কোন মওকা পাচ্ছিলনা তারা। এই সুযোগে সারা পৃথিবীতে আবার এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিল। আর অতি আবেগি মুসলিমেরা সে ফাঁদে পা দিল। আইএস ধবংসের নামে রাশিয়া যেই ধ্বংসযজ্ঞ চালাল তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হল এই সিরীয়ার মানুষেরাই।
সিরীয়াতে আমেরিকা ও রাশিয়ার ছায়াযুদ্ধ শেষ হতনা যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় না আসত। মিসেস ক্লিন্টন ও ওবামা একই ক্যটাগরীর। তারা ধরি মাছ না ছুঁই পানি। মিসেস ক্ষমতায় এলে ছায়া যুদ্ধ আরো বেড়ে যেত। মুখে হাসি আর মিষ্টি কথা দিয়ে সারা পৃথীবিকে মাতিয়ে রাখত। আর তলে তলে গাছ কাটত সমূলে। সে হিসেবে ট্রাম্প অনেক ভাল। সে যা বলে এসেছে সে তাই করছে। সে যা বলছে সে তাই করবে। কেউ তার শত্রু হলে তাও প্রকাশ্যে। কেউ তার মিত্র হলে তাও প্রকাশ্যে। কোন লুকোছাপা, গুটিবাজি নেই। সে মুসলিমদের সম্পর্কে আমেরিকানদের চিন্তাধারা স্পষ্ট করে দিয়েছে। সে কি করতে চায় তাও বলে দিয়েছে। এমন শত্রু পৃথিবীতে আর একটাও নাই। এমন উপকারী শত্রু মুসলিমরা কবে পেয়েছে কে জানে। সে একজন ভাল অমুসলিম। সে একজন স্পষ্টভাষী শত্রু। কেউ যদি সাবধান হতে চায়, মুসলিমরা যদি বুদ্ধি খাটায় তাহলে বুঝতে পারবে ট্রাম্প তাদের কত উপকার করছে। কয়েকটি মুসলিম দেশকে সে নিষিদ্ধ করেছে। কৈ বাংলাদেশ , মালয়েশিয়াকে তো নিষিদ্ধ করেনি। কারন আমরা যুদ্ধবাজ না।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪০