অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম লিখব, আবার ভাবছিলাম না লিখে কি হবে? দেশে আসলে হচ্ছে টা কি? বাড়ি ভাড়া দিব, বাজার করব, বিদ্যুত বিল দিব, টাকা নাই, গতকাল দুপুরবেলা সাইকেল নিয়ে বুথের দিকে যাচ্ছিলাম, আর একটু সামনে বুথ দেখা যাচ্ছে, বুম!!বুম! আওয়াজ করে ককটেল এর শব্দ, সাইকেল টা কোনমতে ঘুরে মারলাম দৌড় বাসার দিকে করে, আবার অপেক্ষা করলাম সন্ধ্যা পযর্ন্ত এবার রিকশা নিয়ে বুথের সামনে উপস্হিত কিন্তু সিকিউরিটি কে পাচ্ছি না বুথ তালা মারা, একটু দুরে সিকিউরিটি কে পাওয়া গেল কিন্তু সে কোনভাবেই বুথ খুলবে না ! ম্যানেজার স্যার এর নিষেধ আছে, বলেই সে খালাশ। আমিও নাছোরবান্দা টাকা না নিয়ে যাচ্ছি না, আমার পকেট, বাসা সব মিলে ২০০ টাকা আছে, আমি খাব কি? তখন পাশ থেকে আমার সহকর্মী বলল তোমার না ব্যাংকে একজন কে পরিচিত আছে? আমি বলললাম ভাল কথা, দেখি একটা ফোন করে কাজ হয় কিনা? ফোন দিয়ে সিকিউরিটিকে বলার পর সে রাজি হল বুথ খুলতে।তারপর টাকা নিয়ে বাসা আসলাম । এখন কথা হচ্ছে এভাবে কতদিন চলবে, গাড়িতে অফিস এ যেতে পারি না, সাইকেল কিনলাম, কিন্তু বোমা থেকে বাচার জন্য বুলেট প্রুফ জ্যাকেট কই পাব? সরকার এর কাছে অফিসিয়ালি আবেদন করা যেতে পারে, যদি কিছু জ্যাকেট আর বন্দুক দিত , কারন সরকার তো আমার নিরাপত্তা দিতে পারছে না, তাহলে আমার নিরাপত্তা আমাকে নিচ্চিত করতে হবে, সরকার কে প্রতি বছর আমার কষ্টার্জিত বেতন থেকে ট্যাক্স দিচ্ছি, তাই বলে সরকার জামাত-শিবিরের বসে বসে তামাশা দেখবে, আর বগল বাজাবে এই জন্য নয়।আমার কথা বাদ দিলাম মাস শেষে বেতন পাচ্ছি, কিন্তু যারা দিন এনে দিন খায় এদের তো শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়া কেউ তো একবেলা খোজ নিচ্ছে না, তারা কি ভাবে চলছে..।জামাত-শিবির এর ক্যাডাররা একের পর এক হামলা চালাচ্ছে আর আমাদের পুলিশ, সরকার চুপ করে বাসায় বসে টিভিতে দেখছে আর একটা বিবৃতি দিয়ে খালাশ। নিরাপত্তা দিতে না পারলে সাধারন মানুষের হাতে বন্দুক তুলে দিন, তারাই জানে কিভাবে জামাত শিবির এর হাত থেকে তাদের জান-মাল রক্ষা করবে। আর না হলে এই মুহুর্তে সেনা মোতায়েন করে সাধারন মানুষের নিরাপত্তা নিচ্শিত করুন।
আর কত অপেক্ষা? আর কত দিন এভাবে চলবে....?????
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ
মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(
আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।
ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )
যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন
কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন