বাঙালি স্বাস্থ্য প্রিয় জাতি।তার দেহমনের ওপর কন্ট্রোল সে খুবভালভাবে আরোপ করতে পারে।এ্যালোর চেয়ে হোমিও,হোমিওর চেয়ে ভেষজ চিকিৎসার ব্যাপারে মন আরো উদার।ছোটকালে পেটে কৃমি হলে আছার পাতার রস খাওয়াই দিত চিনি দিয়া,অল্পস্বল্প হাত কেটে গেল আসাম পাতার রস লাগায় দিলেই হতো।আমাশয় হলে ডাগুরগুলা,আনাজি কলা কষা করে খাওয়াই দিত।এরকম প্রাকৃতিক মেডিক্যাল প্রত্যেকের ঘরে ঘরে চলত,এখনো চলে- এই পদ্ধতির ব্যাপারে কারো বিরাগ থাকার কথা না [অবশ্য অর্থ একটা বড় ব্যাপার]।।জ্বরটর,সর্দি কাশি এগুলো কোন বিষয়ই না।আধুনিক ডাক্তার বলতে যা বোঝায় দুই-তিনদশক আগেওতো তেমন ছিল না।কর্মাস,আর্টস বিভাগের ডাক্তারদের প্রাধান্যই ছিল বেশি।অবশ্য এটও ঠিক এরকম অনেক শল্যবিদদের কমনসেন্স আধুনিক ডাক্তারদের চেয়ে কোন অংশে কমছিলনা।সবাই এলোপ্যাথ নিয়ে বর্তমান সময়ে কি হাহাকার শুরু করে দিছে।ডাক্তার, ক্লিনিক,ল্যাবে শুধু টাকা আর টাকা।কত গোস্বা,ভাঙচুর,যে যারে পারে তেমনি মধ্যমা আঙুল দেখায় দিচ্ছে। এ তুলনায় এই যে শহরে,মফস্বলে যে হারে প্রাকৃতিক ভেষজ ডাক্তার ও তাদের ক্লিনিক আর বিজ্ঞাপন দেখা যাচ্ছে তাতে মাথা চক্কর দিবে না তা কেমনে হয়!শরীর বলতে পুরো শরীর নয় এখন বিশেষ বিশেষ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ব্যাপারে তাদের জ্ঞান বেশ আধুনিক।স্লিম,স্তন,লিঙ্গ মোটাতাজাকরণের জন্য আধুনিক পথ্যসেবার কাছাকাছি প্রাকৃতিক পথ্যসেবাও এদেশের এসব ভেষজ ডাক্তাররা আবিষ্কার করে ফেলেছে। তারাও বা ইউরোপ আমেরিকাকে আর তেমন পাত্তা দিচ্ছে না।কত সহজ ব্যাপারে এক ডাক্তারে এক পেসক্রিপশন দিয়া এইডস,ক্যান্সার থেকে জ্বরসর্দিকাশি,মোটা তাজা সব সারতেছে! এটা কিন্তু চাট্টিখানি কথা না।নোবেলে স্বীকৃতি না পাইলেও বাঙালি সমাজে ভেষজ ডাক্তারদের স্বীকৃতি বেশ পুরনো।কত রকম অ্যালকেমি তাদের পথ্যবিদ্যায়- কেঁচোর রস,জোকের রস,গরুর বদা,ব্যাঙের ছা,সাপ,কুইচ্চা,লেদাপোকা,মাটিরনীচের শেকড়,গাছের বাকল,মাটির ওপরের মঙ্গলের বালি,পাথর আর কতকি!কি দারুণ তাদের স্বাস্থ্য এক একজন যেমন গ্রীকিয়ান।এরকম বাঙালি গ্রীকমানুষ যখন স্বাস্থ্যবটিকায় পুরো জাতির উপকার করছে জাতিরে বোঝাচ্ছে সে জাতির স্বাস্থ্যের উন্নতি সময়ের সাথে সাথেই হবে।উন্নত জাতি,স্বাস্থ্যময় জাতি খুব দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২৩