পিনাকী ভট্টাচার্য্য হেফাজতিদের রেসপেক্টিড লিডারস বলেছেন!ভট্টাচার্য্য মহানুভবতা থাকা ভাল।এই হেফাজতিদের যাদের নিজেদের কোন রেসপেক্টিড কারেক্টার নেই তারা কিভাবে রেসপেক্টিড হয়ে উঠল সেটাই বুঝা গেলনা।সবলোকাল জাতীয় রাজনীতিকরা মিলে এই হেফাজত তৈরি করেছিল একধরনের ভয় থেকে!এই ভয় ক্ষমতা হারানোর।সেইভয় আওয়ামীলীগ থেকে শুরু করে বিএনপি বা মূলধারার সব লুটেরা রাজনীতিকরা সবাই পেয়েছিল।মুভমেন্টের মৌলিকতা রক্ষার্থে শুরুতে গণজাগরণ মঞ্চ রাজনীতিকদের সুযোগ দেয়নি,তাদের থেকে মাইক কেড়ে নেয়া হয়েছিল যখন সহমর্মিতা প্রকাশ করতে গিয়েছিল।যদিও তাদেরকে পেশাদার ধুর্ত রাজনীতিকদের কাছে করুন পরাজয় মেনে নিতে হয়েছে।কেননা একদিন এইরকম একজাগরণ সবকিছু উল্টেদিতে পারে এই ভয়ে!কিন্তু সেটা হয়নি।সনাতনী রাজনীতির ধারা জয়ী হয়েগেছে তা অন্যান্যবারের মতই।আজকাল দেশের ভেতরে নেগোশিয়েবল গোষ্ঠীর কোন অভাব নেই।চিরাচরিত ধারার চোর-ডাকাত,মাদকসম্রাট,পাচারকারী,সুশীল কতরকম যে এই নেগোশিয়েবল গোষ্ঠীর নাম আছে তার কোন ইয়ত্তা নেই।হেফাজত ও তাই।হেফাজতকে বিএনপি জামাত ঢাকায় নিয়ে গিয়ে শাপলা চত্বরে কিছু একটা করার যেকথা প্রচার হয়েছে সেটা সর্বাংশে সত্য নয়।এর সাথে আওয়ামীলীগ লোকাল ও জাতীয় নেতার অনেকেই জড়িয়ে ছিল।কেন জড়িয়ে ছিল ওই যে বললাম আশংকার কথা ক্ষমতা হারানোর কথা!তাই আওয়ামীলীগকে হেফাজতের বিরোধী বলে যারা ভেবেছে তারা ভুলকরেছে এটা এখন খাঁটি প্রমাণিত।নাস্তিকতার মতো নতুন সিম্পটম এদেশে তৈরি করে একদিকে তাকির্ক মানুষদের হত্যা করার মতো জঘন্য পথ এইসব মোল্লাদের সাথে নিয়ে মূলধারার রাজনীতিকরা এই খেলাটা খেলেছিল!অন্যদিকে বড় নেগোশিয়েবল গোষ্ঠীর মতো প্রভাব বিস্তার করার পথ তৈরি হয়েছিল এইসব হেফাজতিদের মতোন গোষ্ঠীর ভেতর থেকে।যারা জাতীয় সংগীত পড়ে না,বাংলা পড়ে না,দেশের সামাজিক সাংস্কৃতিক উত্তরায়নকে মানেনা তারাই এখন প্রভাববিস্তারকারী গোষ্ঠী!!হেফাজত তাদের শুরুর প্রক্রিয়ার দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে তারা আওয়ামী বিরোধিতা করেছে,নাস্তিকদের নির্মূল করার কথা বলেছে,নারীদের তেঁতুলের সাথে তুলনা করেছে,নারীদের মধ্যযুগীয় ধারার নিয়ে যাওয়ার কথা বলছে,নারী নেতৃত্ব হারাম বলছে।এখন উল্টো আবার আওয়ামীলীগের প্রশংসা করছে,জাতীয়ভাবে সরকার থেকে তাদের নিজেদের ভাগবাটোয়রা বুঝে নিচ্ছে।নারী নেতৃত্বের কাছ থেকে সব আদায় করে নিচ্ছে।অর্থাৎ যাদের নিজস্বতা বলতে কিছু নেই,যাদের আর্দশ হলো একমাত্র ধাপ্পাবাজি,যারা ভিক্ষুকের চেয়ে ও অধম জীবনযাপন করেমুঠি চাউল তোলে যারা দিননিপাত করে তারাই পিনাকীর কাছে আর্দশ।তিনি বললেন, শাপলাতো ভাষ্কর্য্য এইরকম ভাষ্কর্য়ে্য নাকি হেফাজতের বিরোধ নেই।তিনি এটাকে শিল্পিত রুপ দিতে চেয়েছেন তাত্ত্বিক ধারা থেকে।কিন্তু এটা এতোটা ক্লাসলেস ও নিচুমান যেখানে সময় অপচয় করা ছাড়া আর কিছু থাকতে পারে না।গ্রীক থেমিককে শাড়ি পড়ানোর ব্যাপারে কলোনিয়াল চিন্তা ধারার বলে সমালোচনা করেছেন।আর তারা যে মধ্যপ্রাচ্যের মুখস্থ অসভ্য ধারার যে বিস্তার এদেশে ঘটাতে চাচ্ছেন সেটাও তো কলোনিয়াল ধারা।কলোনিয়াল মধ্যপ্রাচ্য ধারা থেকে তো পশ্চিমা কলোনিয়াল ধারাতো বেটার।সেখানথেকে যতটুকুন জ্ঞান আহরণ করা যায় তার সিকিভাগতো মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক অসভ্য ধারা থেকে তার কিছুতো শেখা যায় না।এটা মোটেও ঘৃণা চর্চ্চা নয়।হেফাজত একটা ভাড়া করা সংঘটন মাত্র।এদের নিজস্বতা বলে কিছু নেই।তাদেরকে যদি গোনাই ধরে বলি, এসময়ে দেশে যতরকম অরাজক অবস্থা চলছে তার বিরুদ্ধে হেফাজত কিছুই বলেনি।তারা কোনদিন ধর্ষণ,মাদক,পাচারকারী,লুটেরা তাদের বিরুদ্ধে একটা টু কথা বলেনি।তারা পড়ে আছে ধর্ম বানী নিয়ে! ভাড়া করা ধর্মবাণী নিয়ে! গ্রীক থেমিস নিয়ে। পিনাকি প্রধানমন্ত্র্রীর রেফারেন্স টেনেছেন, যেই এখন প্রধানমন্ত্রী তাদের হয়ে কথা বলেন তারা খুব খুশি! কিন্তু তাদেরও মনে রাখা দরকার তিনি প্রধানমন্ত্রী বলে তার কথা সবসময় কাউন্টে আনতে হবে এমন কোন কথা নেই।আজকে প্রধানমন্ত্রী,ক্ষমতা হারালে এইরকম প্রধানমন্ত্রী দেশে কত আসবে আর কত যাবে।তাই বলছি, হেফাজত একটা ফালতু ব্যাপার।একমাত্র স্বার্থনেষী ছাড়া।হেফাজত অনেকটা গ্রাম্য ক্লাবঘরেরও চেয়ে ও নিম্মতর।দেশের দুষ্টরাজনীতিকরাই তাদের নিজেদের স্বার্থে এইসব অশুভ শক্তিকে ব্যবহার করার জন্য জাতীর সামনে নিয়ে আসে!বিমানবন্দরের সামনে লালনের ভাষ্কর্য্য বিরোধিতাকারীরাই হলো নব্য হেফাজত নব্য জেএমবির মতোন।সবাই পৃষ্ঠপোষক পেয়ে নানারুপে মেকাপ করে জাতীর সামনে এসে ক্লাউনের মতো হাজির করা হয়।জামাত যেমন এদেশে ৪৫ বছরে কিছু করতে পারেনি ঠিক তেমনি পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে হেফাজত বা যেনামেই আরো যারা সামনে আসবে এরকম ক্লাউন সেজে তারাও কিছু করতে পারবেনা।এদেশের বিস্তৃত র্আদশিক ভাবনার সাথে সাংঘর্ষিক কোন কিছুই টিকতে পারবে না।শুধু ঝড়ঝাপটা দিয়ে যাবে মাত্র।তাই পিনাকীকে সেকুল্যারিলি জবাব দিলাম।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০৮