”দেহদান”-এটা খুব বড় কাজ নয়।
কিন্তু মেডিকেলে এমন সিস্টেম করে রেখেছে কেউ চাইলে সহজে দেহদান করতে পারবে না।এ নীতিমালা সংশোধন করে দেহদানের ব্যাপারে উৎসাহ দেয়ার সময় এসেছে।আমি অনেক আগেই এই ছোটকাজটা করতে পারতাম।কিন্তু মেডিকেলের নীতিমালার জন্য করতে পারছি না।আমাদের পরিবার সমাজ এতোটাই ধর্মান্ধ এখানে ও ধর্ম খোঁজে!
মেডিকেল পড়া শিক্ষার্থীরা এই দেহদানের ব্যাপারে ধর্মীয় বিধিনিষেধকে বড় করে দেখেন।অথচ কতো মানুষ প্রতিদিন খুন হচ্ছে,বেওয়ারিশ লাশ হিসাবে দাফন হচ্ছে অথবা মেডিকেলের লোকজন মানবদেহ বিক্রির ব্যবসা করছে সেগুলার ব্যাপারে তাদের অবস্থান নরম।আরেকধাপ বাড়িয়ে দেহদানকে তারা নাস্তিকের কাজ বলে মনে করে!
যে মানুষ রক্ত দিতে পারে অন্যজনকে সেতো দেহদানটাই স্বাভাবিক ভাবে করতে পারে।প্রতিদিন দেশে অনেক মানুষ নানা দূর্ঘটনায় পড়ে অঙ্গহানিতে পড়ে।যদি দেহদান প্রচলিত ভাবে আমাদের দেশে থাকত খুব কম খরচে দূর্ঘটনায় পড়া মানুষগুলোকে অঙ্গসংস্থাপনে বা জোড়া লাগিয়ে তাকে আবারো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ দেয়া যেতে পারত।সিস্টেম এমন অনেক সময় কিছু দিতে চাইলেও সহজে নিতে পারে না।আমরা যা পায় তা সহজে চায় না,যা পায়না তা খুব দূর্মল্যভাবে চেয়ে থাকি!
দেহদানের ব্যাপারে নিজেদের স্বার্থটাই এদেশের মানুষ বোঝে না।দেহদানের নীতিমালা একেবারে সহজ করুন।যে ব্যক্তির ইচ্ছা হবে কারো অনুমতি ব্যতিরেকে সে দেহদান করতে পারবে – এমন নীতিমালা করুন।দেশে দূর্ঘটনায় পড়া মানুষের পাশে এভাবে ও দাঁড়ানো যায়।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১২