শিশির কার বাচ্চা জানে হৈমন্তি
বন্ধুরা এসব দেখলে মাতাল হয়ে উঠে।
জানতে চাইতে পারে: কিরে কতদিন হলো পূর্ণিমা দেখেছিস?
মাস বা বছরতো নয়-এমনটা হবেনা তারা জানে।
কয় বছর হলো আকাশের দিকে তাকিয়েছিস-এরকম কখনো জিজ্ঞাসাই করবে না?
বায়োগ্রাফি বড় বাজে জিনিস—পেন্ডুলাম ঠিক নিজের দিকে রাখে
ফোঁসফোঁস করি…
সীমানা নগর পাড়া ঘরদোর সম্বন্ধিরগন্ধ
এলইডি বাতিকে তারা চানের সাথে তুলনা করে।
বাঁক নেয়া পথে গেছি সেই কবে
দেখার আয়োজন পাল্টেছে--
রেললাইনে জনাজন পার হতে দেখি,কাটা পড়তে দেখি
বিষন্ন বিমর্ষ বিপন্ন কাতরতা
কুকুরের উমনিয়ে বালিকার ঘুমপাতা দেখি
পলিথিনের বাড়িতে সংসারপাতা
গুলি খাওয়া লাশ
প্রতিদিন কত জনাজনের বিপন্নতার খবর শুনতে শুনতে
ভুলে গেছি হৈমন্তি কে? কি ছিলো?
একটা পাতা সবুজ আলো নিয়ে ঝরে যাচ্ছে
ফটোগ্রাফারের তোলা নানারকম মিথ
শিকড় নামক পথ্য- যা খেলে বড় রকম বেঁচে থাকার সম্ভাবনা মিইয়ে আসে
প্রবেশ করবে ধীরে ধীরে চুষে নেবে সমস্ত রস—
দাগপড়া চোখ এসব দেখে - দেখি।
নগরের দেয়ালে নানা পোস্টার-প্রতিবাদ প্রতিরোধের হাঁকডাক
নানা বাণিজ্যের বাণী
প্যন্ডেলে ভেতর কি কি হতে পারে সেসব ভাবি
আর একা একা হাঁটি
সঙ্গী নিয়ে হাঁটার বিপন্নতা বোধ করি।
বাসে বসে বসে শুধু বাহিরের দিকে তাকায় থাকি কখনো দশ-সাত-তিন নম্বর
নতুন দেয়ালে সাদা চুনকাম চলে এই ঋতুতে—নিশ্চয় লেখা থাকবে ’এখানে দেয়াল লিখন নিষেধ’।
লালসবুজ দোল
দাঁড়ায় আছে জনক জননী—
বন্ধুরা পুরনো কবিতার লাইন আওড়ায়
মূলতঃ ফাঁদপাতে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫