বিপন্ন অন্ধকার//
সন্ধ্যা,বাড়ি ফেরার তাড়াছিল-ঊনমুখো হয়ে বটের হলুদ গোটার দিকে চেয়েছিলাম।দেখেছিলাম আধখানা চাঁদ।নগরের আলোর ভেতর-তমসা আলো।অসংখ্য লোকেদের ভীড়ে দাঁড়িয়েছিলাম।বাদুড় উড়িতেছিল,ফুটেছিল তারাফুল।কতো লোক হন্য হয়ে দৌঁড়িতেছে ইঞ্জিনে সাধ দিতে দিতে।একখানা পরিচ্ছন্ন নগরের তেষ্টায় ঘুম হয়না মেয়রের!গড়ে উঠিতেছে নানা আলোর চারা।আর কতো আলো লাগালে বসন্ত আসিবে কে জানে?-পূর্বেই শীতের মহড়া!রাতের ঘাসে জমিতেছে শিশির-পা জানে;চোখের পাতা কাঁপিতেছে সীমফুলের মতোন অনবরত।মনে আসিতেছে না কোন পরিচিত মুখ।আলো-অন্ধকারের তাসের খেলায় জ্বলিতেছে দেবদারুর পাতা, খুব ক্লান্ত হয়ে আসিতেছে-তাদের ছায়ায় বাসা বুনেছে হয়ত কোন এক গুপ্ত পাখি।পথিক ফুরায়ে গেলে-বিষাদ নদী নিয়ে নগরো ঘুমাতে যায়।উড়োজাহাজের ছিন্ন আলোয় কুয়াশা জড়ানো অদ্ভূত ওভারপাস বাড়ি।জানি এই বটের ফল আবারো খেতে আসিবে পাখিরা।
পায়রা//
আমাদের কিছু অন্ধকার দিতে পারেন?তিন লিটার অন্ধকার প্রতিদিন পান করি।শুনেছি প্রচুর আলোর তেষ্টা আপনার?জানেন না,অতি আলোতে নগরো মরতে পারে না।
কূপ//
ডিজেল,পেট্রোল,সিএনজির আলাদা কোন বাড়ি নাই।আমার বাড়ি-ছাতিম তলায়।হেমন্ত পাড়ায়।
ওই দরোজায় ঢুকলে কেউ ফেরত আসতে পারে নাই।
সময় ও বন্ধুত্ব//
এই নগরের দেয়ালগুলো বন্ধুবিহীন।কেউ গ্রাফিতি আঁকে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৫৬