গতকাল একাত্তর টিভিতে জোট মহাজোট রাজনীতি নিয়ে টকশোতে কাজি ফিরোজ রশিদ বলেন, আপনারা নিজেকে কী ভাবেন। শহীদ মিনারে দশজনে মোমবাতি জ্বালিয়ে মিডিয়াতে নিউজ করে ভাবেন দেশটা আপনাদের দখলে। টকশোতে ভাল কথা বলতে পারেন। ভাববেন না দেশের সব মানুষ আপনাদের কথাকে সমর্থন করছে। সাধারন মানুষ যে আপনাদের কথা খায় না সেটা কি বুঝেন?
এদেশে যত জঙ্গি ধরা পড়েছে তাদের কয়জন মাদরাসার ছাত্র। মাদরাসার ছাত্ররা জঙ্গি হয় না। তাদের দিকে আপনার আঙ্গুল তুলা লাগবে না। আঙ্গুল তুলুন নিজের দিকে। আজ কাদের সন্তান জঙ্গি হচ্ছে। যারা জঙ্গি ধরা পড়ছে তারা তো ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের আধুনিক ছেলেমেয়ে। আপনাদের সন্তান। "মাদ্রাসায় যাঁরা লেখাপড়া করে তাঁরা ইয়াবা খায় না।তাঁদের রক্তে ১০০% ফিওরেটির গ্যারান্টি পাবেন তাঁরা একটা আদর্শ নিয়ে লেখাপড়া করে। তাদের রক্ত ফিওর। একটি মাদরাসার ছেলে মাদকাসিক্ত তা দেখাতে পারবেন না। কিন্তু ইংলিশ মিডিয়ামের ছেলেদের রক্ত পরিক্ষা কররে পাওয়া যাবা নেশার সংমিশ্রন। মাদকের ছোবল। ধুষিত রক্ত। এইডসের থাবা। কিন্তু মাদরাসার ছেলেরা সেসব মুক্ত। তারা একটি সৎ জীবনের চর্চা করে।
মাদরাসার এই বিশাল জনশক্তিকে বাদ দিয়ে দেশের সত্যকারের উন্নায়ন সম্ভব নয়। তাদেরকে উন্নায়নে সহযোগী বানাতে হবে। যারা তাদের কল্যান চায় না। তারা এদেশের ভাল চায় না। আপনি সাংবাদিক হয়ে রাজনীতি করতে পারেন, ব্যবসা করতে পারবেন। দুনিয়াদারি করতে পারবেন আর হুজুররা কিছুই করতে পারবে না। আর হুজুররা কিছুই করতে পারবেন না। এটা কোন নীতি? কেমন অবিচার। সমাজের রাজনৈতিক অর্থনীতি সব জায়গায় তাদের অবদান আছে । ইতিহাস কোঁজে দেখুন। এসব চাপাবাজি আমার সামনে চলবে না। আমি তো সব জানি। সবার অবস্থা বুঝি। আমার সামনে বাস্তবতা স্বীকির করেই কথা বলতে হবে। সব সময় চাপবাজি করে চলা যাবে না।
মাদরেসার ছাত্ররা এদেশের নাগরিক। এদেশের ভোটার। তারা রাজনীতি করবে এদেশে আপনি বাঁধা দেবার কে? একটি ছেলে ১৮বছর হলেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। ২৫বছর হলে সে নির্বাচনে দাড়াতে পারবে। রাজনীতি করতে পারবে এটা তাদের নাগরিক অধিকার। এনিয়ে আপনি কথা বলার কে। আপনারা খালি চান, তারা মাথায় পাগড়ি বেধে চলুক। তারাকী কী শুধু মাথায় পাগড়ী পরবে?ওই পাগড়ী যদি মাজায় বাঁধে,তাহলে কিন্তু খবর আছে। এখন তাদের সে সময় এসেছে। তারা ঘুরে দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছেন।
.
আপনারা টাকা আর বিশ হাজার প্যাকেট খিচুড়ী দিয়ে মাত্র পাঁচ হাজার লোক দ্বারা শাহবাগে মেলা জমাইলেন।
কিন্তু মাওলানা আহমদ শফীকে কেউ দেয়নি।মাত্র ডাক দিয়েছেন,আর দশ লক্ষ মানুষ জমা হয়ে গেছে।দশ টাকাও খরচ করেনি।এটা হলো ঈমানী জোর। এটা তাদের শক্তি। এই শক্তিকে অস্বীকার করে এদেশে ঠিকে থাকা যাবে না। আপনি একটি বড় দলকে দেন না বিশ কোটি টাকা। বলুন ৫০লক্ষ লোককে ঢাকায় জমায়েত করতে। তারা পারবে না। সেটা মানুষের ভালবাসায় বঙ্গবন্ধু পেরেছিলেন। তার ডাকে রেসকোর্স ময়দানে লক্ষ লক্ষ মানুষ জড়ো হয়েছে। আর এটা পেরেছেন আল্লামা শফি সাহেব।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৩৮