somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কেন শিক্ষার্থদের নিয়ে জুয়া খেলা হচ্ছে?

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বর্তমান সমাজে আমি পাস করা মনে গোল্ডেন এ+ কে বুঝি আর ফেল করা হলো এ+।
০১. স্কুল জীবন : প্রতিটা স্কুল পাশের হার থাকতে হবে ৭০% তাই ৭০% পাস করাতে হলে শিক্ষককেই না হয় শিক্ষর্থীর খাতায় লিখে দিতে হয়। এবং তাই হচ্ছে প্রতিটা স্কুলে। তাই জীবনের শুরুতেই একজন শিক্ষার্থীর মেধাকে এভাবেই ধ্বংস করা হচ্ছে।
০২. পাশের হারই ক্ষমতা: প্রতিটা সরকারের আমলে পূর্বের সরকার থেকে পাশের হার বাড়াতে হবে তাই পাসের হার বাড়াতে প্রয়োজন পরে প্রশ্নপত্র ফাসের বা সুপার সাজেশনের। তা নাহলে রাজনৈতিক দলগুলোর শিক্ষার্থীদের মনে স্থান নেওয়া সম্ভব নয়। পাশের হার বাড়ছে, মেধাবিদের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে বাড়ছে বেকার সমস্যা, বাড়ছে সন্ত্রাস।
০৩. বোর্ড হেল্প: বোর্ড হেল্প শব্দটা নতুন নয়। বর্তমানে বিভিন্ন স্কুল কলেজ নিয়ে থাকেন বোর্ড হেল্প। ঐ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়লে কেউ ফেল করবে না ১০০% গ্যারান্টি দিচ্ছেন প্রতিষ্ঠানের মালিকগন। বোর্ড হেল্প হচ্ছে , স্কুল বা কলেজের সাথে বোর্ডের ভালো সম্পর্ক, বোর্ড থেকে পাশের বেপারে তারা হেল্প করেন। যে কোন স্টুডেন্টকে এ+ দেওয়ার ক্ষমতা তারা রাখেন। তারজন্য প্রতিমাসে প্রতিটা স্কুল কলেজকে গুনতে হয় মোটা অংক। প্রতিটা অবিভাবকই এ বেপারে অবগত অথচ সবাই চুপ। পাশের বাড়ির লোকদের দেখাতে হবে তো তার ছেলে এ+ পেয়েছে।
০৪. পরীক্ষাকেন্দ্র নিয়ন্ত্রন: কেন্দ্রে পরীক্ষা দিবে শিক্ষার্থীরা, বন্ধুরা পাশা পাশি বসে পরীক্ষা দিতে পারবে, একজনের খাতায় আর একজন লিখে দিতে পারবেন, অর্থৎ গ্রুপ স্টাডি করার সকল সুযোগ পাওয়া যাবে । যারা পরীক্ষায় গার্ড দিবেন তারা চেয়ারে বসে পেপার পড়বেন। পাশের হার এমনিতেই বাড়বে কোন চিন্তা করতে হবে না।
০৫. ভর্তি: মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় তো এ+ পেলেন এবার ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে হবে । বাবার টাকা আছে তো যে কোন ইউনিভার্সিটিতে ভতি হতে পারবেন। আর যাদের টাকা নেই তারা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে হলে কলম চিবিয়ে বের হয়ে আসে। ভর্তি হয় বেসরকারী ইউনিভার্সিটিতে। বড় বড় সার্টিফিকেট নিয়ে পাশ করে শিক্ষার্থীরা।
০৬. পাঠ্যবই: মাঝে মাঝে মনে হয় যারা পাঠ্য বইগুলো লেখেন তারা প্রচুর পরিমান এলকোহলে আশক্ত। এলকোহল সেবন করেই বইগুলো লিখতে বসেন। কোন প্রুভ রিডারের দরকার হয় না। বই ছাপলেই হলো। সরকারী প্রতিটা বইয়ের মনে হয় প্রতি পাতাতেই কম বেশি ভুল থাকে। ছাপার ভুল, হিসেব ভুল। হাজার হাজার ভুল, কে দেখে কার ভুল। জীবন চলছে এমন ভাবেই।
০৭. চাকরী: চাকরীর বাজার খুব খারাপ, দেশে চাকরী নেই, মামা চাচা ছাড়া চাকরী হয় না। এমন কথা আমরা প্রায়ই শুনি। আপনার কাছে বড় বড় সার্টিফিকেটের তখন আর কোন দাম থাকে না। সার্টিফিকেট আছে অথচ মেধা নেই চাকরী কি করে হবে? অকর্মা অপদার্থ কাউকে দিয়েতো আর প্রতিষ্ঠান চলে না। সব প্রতিষ্ঠানই চায় মেধাবী কাউকে কিন্তু কোথায় পাবে? দিনে দিনে সার্টিফিকেট বাড়ছে কর্মসংস্থা তো বাড়ছে না। একটা পদের পিছনে আবেদন পরছে হাজার হাজার। যার ভিতর মেধা আছে সে অবস্থাই তার জায়গা করে নিচ্ছে। তাই তো কথায় আছে "যদি করো চালাকি পরে বুঝবা জালা কি" । প্রতিটা শীক্ষার্থী এখানে এসেই আসল ধরাটা খায়।
০৮. পরিনাম: যেমনটা হওয়ার কথা ঠিক তেমনটা। কেউ অংশ নেয় রাজনীতিতে, কেউ হয় সন্ত্রসী, কেউ মাদকাশক্ত, কেউ অংশ নেয় প্রতারনা মূলক ব্যবসায়, কেউ মানুষ ঠকানোর ধান্দায়, কেউ পতিতা। টাকা তো একভাবে না একভাবে উপার্জন করতে হবে তা না হলে পেট চলবে কি করে? আর সেই মূর্লবান টাকার পিছনে ছুটতে গিয়ে বেছে নেয় যে কোন পথ।
জাতীকে আমরা ইচ্ছা করে ধ্বংশ করছি, এর জন্য বাইরের কেউ দায়ী নয়,
দেশের ক্ষমতশালী মানুষদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। আপনারা নিজেদের স্বার্থে দেশের সম্পদ নষ্ট করবেন না। পাসের সংখ্যা না বাড়িয়ে মেধাবির সংখ্যা বাড়ান। শীক্ষাব্যবস্থা এতো সহজ না করে আরো কঠিন করা হোক যাতে প্রতিটা শীক্ষার্থকে মেধা দিয়ে পাস করতে হয়। প্রতিটা স্কুল কলেজ বোর্ডে কড়া নজর রাখা হোক। অন্তত দেশের সম্পদ মেধা নিয়ে যেন খেলা না হয়।

বিদ্র: বিনামূল্যে রক্ত পেতে ও রক্ত দাতাদের তালিকায় নিজের নাম অন্তর্ভক্ত করতে ভিজিট করুন: http://www.blooddonors24.com
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৪৫
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×