somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আইএস বনাম কুর্দি নারীযোদ্ধা

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইরাক ও সিরিয়ায় পুরুষের পাশাপাশি লড়াইয়ে নেমেছেন নারীরাও। সুšিæ বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইসলামিক ¯েদ্বটের (আইএস) হয়ে লড়ছেন অনেক বিদেশি নারীও। তারা গঠন করেছেন আল-খানসা ব্রিগেড। অন্যদিকে আইএসকে ঠেকাতে কুর্দি নারীদের নিয়েও গঠিত হয়েছে সশ¯স্ল ব্রিগেড।
আইএসের নারী ব্রিগেড আল-খানসা
উম্মে খাতাব একজন ভোজনরসিক। অনলাইনেও নিজের ভোজনপ্রিয়তার প্রচার চালান। রেসিপি দেন ভিয়েতনামি গ্রিলড চিকেনের। তার বয়সী অন্য বšুব্দদের সঙ্গে মেতে ওঠেন নানা গালগল্পে।
উম্মে খাতাবের পো¯েদ্ব শুধু মুরগির রেসিপি নয়, আরও কিছু আছে। দেখবেন একটা কোরআনের ছবি এবং তারপরে একটা একে-৪৭। মাথা চান ব্রিটিশ প্রধানমšস্লী ডেভিড ক্যামেরনের। আপনাকে স্বাগতম আইএসের নারীদের অনলাইন ভুবনে।
অনলাইনে উম্মে খাতাব নিজের পরিচয় দিয়েছেন একজন আইএস। আইএস ইরাক আর সিরিয়ার একটি বিরাট অংশে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন বিরোধী শক্তি হিসেবে। তারা নিজেদের নিয়šিস্লত স্থানগুলো নিয়ে একটা ইসলামিক খেলাফতের ঘোষণা দিয়েছেন। দ্য টেরোরিজম রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস কনসোর্টিয়াম (ট্র্যাক) অনুমান করছে, আইএসের নারী রিত্র“ক্রটদের ১৫ ভাগই হলো বিদেশি। মোট সংখ্যা সম্ভবত ২০০। তারা এসেছে ১৪টি ভিšæ ভিšæ দেশ থেকে।
জিহাদিদের মধ্যে এই প্রথম যে নারীরা যোগ দিয়েছেন তা নয়। তবে এবারই প্রথমবারের মতো এত বেশি সংখ্যক নারীকে আইএসে রিত্র“ক্রট দেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ ত্রাণকর্মী ডেভিড হেইন্সের মুণ্ডুচ্ছেদের ভিডিও প্রকাশের পরদিনই ফের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে এই ছবি ছড়িয়ে পড়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ব্রিটেনের গোয়েন্দা সহৃত্র জানিয়েছে, টুইটারে নিজেকে মুজাহিদা বিনতে উসামা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণী ডাক্তারি পড়ছেন। আইএসআইএসে (ইসলামিক ¯েদ্বট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া) যোগ দিতে সম্প্র্রতি দেশ ছেড়েছেন তিনি। টুইটার অ্যাকাউন্টে নিজেকে আল-খানসা বাহিনীর চিকিৎসক বলে উলে­খ করেছেন উসামা।
উসামা বর্তমানে সিরিয়ার রাকায় রয়েছেন। ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় মতা দখলের যুদ্ধে আইএস আল-খানসা ব্রিগেড নামে একটি নারী জিহাদি বাহিনী তৈরি করেছে। তাদের কাজ নারীদের ওপর নজর রাখা, যাতে ধর্মীয় অনুশাসনের বাইরে এক পাও না বাড়াতে পারেন গৃহবন্দি নারীরা।
এই নারী বাহিনীর শীর্ষসারির নেত্রীরা কেউই সিরিয়া বা ইরাকের বাসিন্দা নন। বেশিরভাগই ব্রিটেনের নাগরিক। লন্ডনের কিংস কলেজ সহৃত্রে এ খবরের সত্যতা স্বীকারও করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, এখন পর্যšø ৬০ ব্রিটিশ নারী সিরিয়ায় জিহাদিদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। সবারই বয়স ১৮ থেকে ২৪। তাদের কারও স্কুল-কলেজের হদিস মেলেনি। অনলাইন অ্যাকাউন্ট থেকে শনাক্ত করা ওই জিহাদিরা সবাই বাড়িতে পড়াশোনা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। সিরিয়ার জঙ্গি-রাজধানী রাকা এবং পাশের এলাকায় কেউ পশ্চিমি জীবন-যাপন করছে কি-না, তার ওপরও নজর রাখছে খানসা বাহিনী। উসামা এ বাহিনীর একজন শীর্ষ নেত্রী বলে দাবি করছেন গোয়েন্দারা।
মেলানি স্মিথ নামে কিংস কলেজের এক গবেষকের কথায়, ‘খানসা ব্রিগেড ফরাসি এবং ব্রিটিশ নারীদের নিয়েই তৈরি হয়েছে। তবে সেখানে ব্রিটিশরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ।’ তিনি আরও জানিয়েছেন, নারীবাহিনী ছাড়াও প্রায় ৫০০ ব্রিটিশ নাগরিক এরই মধ্যে সিরিয়ায় গিয়ে আইএসআইএসে যোগ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে আছেন ২০ বছরের গ্লাসগোর আকশা মাহমুদ, ম্যানচে¯দ্বারের ১৬ বছরের যমজ দুই বোন জাহরা এবং সালমা হালেন, ২২ বছরের খাদিজা দারেরা। রয়েছেন স্যালি জোন্স নামে ৪৫ বছরের এক নারীও। রয়েছেন অ¯িদ্ব্রয়ার দুই তরুণী সাবিনা সেলিমোভিচ ও সামরা কেসিনোভিচ।
আকসা তার ব্লগে লিখেছেন, ‘সিরিয়ানদের চোখে হিজাব হলো পুরোটাই একটা কৌতুক। হিজাব বা আবায়াগুলো শরীরের সঙ্গে আঁটসাঁট, আর তাদের নেকাব হলো কপাল থেকে নাকের আগা পর্যšø। কিন্তু আকসার উচ্চাশায় কিছুটা হতাশা নেমে এসেছে। আইএস নারীদের ব্যাপারে যেরকম কঠোর নিয়ম-কানুন চালু করেছে, তাতে তার ফদ্ধন্টলাইনে থেকে কাজ করা এক কথায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।
কুর্দি নারীরা
সিরিয়ান কুর্দিরা গড়ে তুলেছে পিপলস প্রটেকশন ইউনিট বা ওয়াইপিজি। এটি কুর্দি¯øান ওয়ার্কার্স পার্টির একটি শাখা। সিরিয়ান কুর্দিস ফোর্সের এক-তৃতীয়াংশ গঠিত হয়েছে কুর্দি নারী নিয়ে। কুর্দি পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আইএসকে মোকাবেলা করেন তারাও। একটি আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কারে বসে ১৯ বছর বয়সী যোদ্ধা দিরেন বললেন, ‘মেয়েরা দারুণ লড়াই করে। তারা ভীষণ সাহসী। কোনো কিছুতেই ভয় পায় না।’
শুকনো রুটি, পনির আর তরমুজই হলো তাদের প্রধান খাবার। তা খেয়েই দিনের পর দিন শত্র“র মোকাবেলা করেন তারা। দিরেন বলেন, ‘আমরা কিছুকে ভয় করি না। আমরা শেষ পর্যšø লড়াই করে যাব। আইএসের হাতে নিজেদের তুলে দেওয়ার আগে তাদের নিশ্চিহক্র করব। ওরা আমাদের মানুষ মনে করে না। কেবল নারী মনে করে।’
কুর্দি¯øানের নারী যোদ্ধারাও ইরাকের উত্তরে জিহাদিদের মোকাবেলা করছেন। ইসলামিক ¯েদ্বটের বিদ্রোহীদের কবল থেকে উত্তর ইরাকের মাউন্ট মাখমুর পুনর্দখলের উদ্দেশ্যে কুর্দি পুরুষ যোদ্ধার পাশাপাশি যুদ্ধ করছেন তারাও। নারীর প্রতি ইসলামিক ¯েদ্বট যোদ্ধাদের অসদাচরণের কারণে কুর্দি নারীরাও নিজেদের সম্ভ্রম ও স্বাধীনতা রায় প্রতিরোধ বহ্যৃহ গড়ে তোলার জন্য অ¯স্ল হাতে নেমেছেন।
ইসলামিক ¯েদ্বট ইরাকের অর্ধেকেরও বেশি এলাকা নিজেদের নিয়šস্লণে রেখেছে। ওদিকে সিরিয়ার সীমাšø এলাকায় নিজেদের প্রভাব বি¯øার করেছে তারা। তারা উভয় দেশের সাধারণ মানুষের ওপর ইসলামী আইন প্রয়োগের নামে অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছে।
তেকোশিন নামের ২৭ বছর বয়সী এক নারী যোদ্ধা জানান, তিনি এবং অন্য নারীরা ইসলামিক ¯েদ্বটের বিরুদ্ধে লড়ছেন। এর কারণ তারা শুধু কুর্দি¯øানই দখল করতে চায় না; তারা এমনকি নারীর স্বাধীনতায়ও হ¯øপে করতে চায়। তিনি বলেন, ‘তারা নিজেদের নিয়šস্লণাধীন এলাকায় মেয়েদের হাটবাজারে যাওয়া পর্যšø নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে এ জন্যই লড়ছি, যেন তারা তাদের বিকৃত চিšøা মেয়েদের ওপর চাপিয়ে দিতে না পারে।’
পিকেকের পুরুষ যোদ্ধাদের পাশাপাশি ৫০ নারী যোদ্ধা পার্বত্য মাখমুর শহরের প্রবেশমুখে ইসলামিক ¯েদ্বটের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। আইএস যোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করতে গিয়ে প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ে। তেকোশিন বলেন, ‘আমরা সাধারণ চারজন দল নিয়ে যুদ্ধ করি। আমি নিজে একটা দলের নেতৃত্ব দিচ্ছি। যখন লড়াই শুরু হয়, আমরা পুরুষদের পাশে গিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলি এবং আক্রমণ চালাই।’ খবর :বিবিসি, সিএনএন, রয়টার্স, ডেইলি মেইল, বিজনেস টাইমস।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×