ব্লগে অনেক ব্লগার এমনকি সিনিয়র ব্লগার প্রবাসী চাঁদগাজী ভাইও রোহিঙ্গা নিয়ে অনেক চিন্তিত!!! রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে বার্মিজ লুঙ্গি, স্যান্ডেল এবং আচারের ছোট ছোট ফ্যাক্টরি স্থাপনের আইডিয়া!!! বাংলাদেশ-সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে বার্মিজ লুঙ্গি, স্যান্ডেল এবং আচারের আলাদা কদর আছে !!! - বাংলাদেশ বাদে বিশ্বের কোন কোন দেশে বার্মিজ লুঙ্গি-আচার-স্যান্ডেল আছে বা পাওয়া যায় আজ পর্যন্ত আমার চোখে পরেনি? যদি রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোকে ঘিরে এসব প্রডাক্টের ফ্যাক্টরী গড়ে তোলা যায়, তাহলে বাংলাদেশ হয়তো নিজের অর্থনীতিতে আরো কয়েক কোটি ডলার যোগ করতে পারতো !!! কয়েক কোটি ডলার !!!??? এই মুহুর্তে বাংলাদেশের সকল ব্যাবসায়ীর উচিত রোহিঙ্গাদের উপর ঝাপিয়ে পরা। অসম্ভবকে সম্ভব করা অনন্ত জলিলের কাজ আমার ধারণা তিনিও এই ব্যাপারে নাক গলাবেন না।
***এই মুহুর্তে বার্মার সাথে বাংলাদেশর অস্থিতিশীল পরিবেশ কাজ করছে, সকল প্রকার আমদানী রপ্তানী বাংলাদেশ-বার্মা-বাংলাদেশ এখন বন্ধ আছে, যার অন্যতম কারণ রোহিঙ্গা। বার্মা থেকে বাংলাদেশ যা আমদানী হতো তার মধ্যে অন্যতম ছিলো - কাঠ, সাইজ করা কাটা গাছ, মাছ, চাল ও কোরবানীর গরু মহিষ। কোনো কালে লুঙ্গি, গামছা, বিছানার চাদর, স্যান্ডেল, আচার আমদানী হয়েছে তা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা।
রোহিঙ্গা HIV AIDS এর বাহক
রোহিঙ্গা HBSAg+ ভাইরাসের বাহক
বাংলাদেশের মানুষ যৌনসংস্পর্শে HIV AIDS & HBSAg+ ভাইরাসে আক্রান্ত হবে এমন শুধু নয়। আপনার/ আপনাদের জানা নেই হয়তো - HIV AIDS & HBSAg+ বাহক চায় তার এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে, কারণ সে প্রকৃতির প্রতি ও মানুষের প্রতি ঘৃণা লালন করে। বাংলাদেশে HIV AIDS & HBSAg+ ছড়িয়ে দিতে শুধু পতিতা হওয়ার প্রয়োজন নেই, ব্লাড ব্যাংকে রক্ত দিয়ে আসলেই হবে। তাছাড়া আরো বড় সমস্যা হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ যৌনাসক্ত - যার প্রমাণ আমার প্রতিনিয়ত পাচ্ছি, প্রতিদিন ধর্ষণ, গণধর্ষণ, ধর্ষণ শেষে হত্যা সহ আরো আছে পরকীয়া আসক্ত - যেই কারণে বাংলাদেশের মতো দেশে HIV AIDS & HBSAg+ ভাইরাস ব্যাপক হারে ছড়িয়ে যাবে যা সমগ্র পৃথীবির ইতিহাসে রেকর্ড ব্রেক করবে।
***যেখানে বাংলাদেশের হাতুড়ে ডাক্তার ডেঙ্গু সমস্যার হাল ধরতে পারেনি, ডেঙ্গু সমস্যার হাল ধরতে পারেনি প্রশাসন ও সরকার। সেখানে তাদের কাছে আমরা কিভাবে আশা করতে পারি তারা হাল ধরবে বা বিহিত করতে পারবে HIV AIDS এর মতো মরণঘাতী ভাইরাসের আর HBSAg+ এর মতো জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির লাভা !!! তাদের নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের যে কোনো ধরেণের ব্যাবসায়ীক ও সামাজিক প্লান - তা হবে আত্মঘাতী !!! রোহিঙ্গা নিয়ে বাংলাদেশের কোনো কাজ নেই, তারা বিদেশের টাকা খাচ্ছে খাক। রিফিউজি ক্যাম্পে আছে থাকুক। রোহিঙ্গাদের সম্ভব হলে কারাগারে রাখা উচিত ছিলো। রোহিঙ্গা পৃথিবীর নর্দমা।
রোহিঙ্গা কখনো বাংলাদেশের কোনো উপকারে আসবে না বরং ক্ষতেই হবে। বাংলাদেশে পাওয়া বার্মিজ নামে পণ্য বার্মা থেকে আমদানী করা না, আর না কখনো রোহিঙ্গা দ্বারা প্রস্তুত করা হয়েছে !!!
১: বার্মিজ লুঙ্গি: - রোহিঙ্গা বার্মিজ লুঙ্গী তৈরি করেনা কোনো কালে তাদের দ্বারা এই লুঙ্গী তৈরি হয়নি, বার্মিজ লুঙ্গি বাংলাদেশের ক্ষুদ্র কুটির শিল্পে তৈরি হয় যা বার্মিজ ভাষায় ষ্টিকার দিয়ে কক্সবাজার ভ্রমণকৃত বেকুব বাংলাদেশীর কাছে বিক্রি হয়। এই লুঙ্গি ঢাকায় মিরপুর ১ ও ১১ নম্বর, ইসলামপুর, টঙ্গি বাজার, ভুলতা গাউছিয়া-১ ও ২ সহ সমগ্র বাংলাদেশে সস্তায় বিক্রি হয়। - এগুলো বার্মিজ পণ্য নয় এবং রোহিঙ্গা দ্বারাও প্রস্তুত নয়।
২: বার্মিজ স্যান্ডেল: - বার্মিজ স্যান্ডেলের ফেক্টোরী ও কারখানা “গাজীপুর, সাভার, নারায়নগঞ্জ, কুমিল্লা সহ সমগ্র বাংলাদেশে এমনকি আমাদের প্রবাসী আদমের জেলা ব্রাক্ষণবাড়ীয়াতেও আছে। যা ঢাকা সহ সমগ্র বাংলাদেশের ফুটপাতে বিক্রি হয়। - এগুলো বার্মিজ পণ্য নয় এবং রোহিঙ্গা দ্বারাও প্রস্তুত নয়।
৩। বার্মিজ আচার: - ঢাকা মিরপুর, পুরান ঢাকা সহ কেরানীগঞ্জ যেমন বাসা বাড়ীর ভেতর ডুল্পিকেট ট্রিপলিকেট খাদ্যদ্রব্য তৈরি হয় তেমনি চট্টগ্রামের গলি তস্য গলিতে বাসা বাড়ীর নিচতলায় এসব আন-হাইজেনিক আচারের কারখানা আছে যা বার্মিজ ভাষায় ছাপা প্যাকেটে কক্সবাজার চট্টগ্রামে ভ্রমণকৃত বেকুব বাংলাদেশীর কাছে বিক্রি হয়। - এগুলো বার্মিজ পণ্য নয় এবং রোহিঙ্গা দ্বারাও প্রস্তুত নয়।
ভেবেছিলাম মানবতাবাদী মানবদরদী রোহিঙ্গাপ্রেমী এ্যাঞ্জেলিনা জলি রোহিঙ্গাদের সুখে দুঃখে তাদের সাথে রোহিঙ্গা শিবিরে থেকে যাবেন, কিন্তু তিনি টাটা বাই বাই করে চলে গেলেন।
মানব পাচার: - রোহিঙ্গা তাদের জন্মভূমী বার্মাকে কখনো নিজ দেশ মনে করেনি, সেখানে বাংলাদেশ তাদের কাছে কি? রোহিঙ্গা যদি বার্মাকে নিজ দেশ মনে করতো তাহলে এই বৃহৎ জনগোষ্টি বার্মাতে দিনের পর দিন এতো ঝামেলা আর জঙ্গি উৎপাদন সহ জঙ্গি তৎপরতা করতো না। - এক হাতে তালি বাজে না। অসংখ্যবার ট্রলার ভর্তি সাগরপথে মালয়েশিয়া অস্ট্রেলিয়া যাত্রারত রোহিঙ্গা গ্রেফতার করে রোহিঙ্গা শিবিরে প্রত্যাবর্তন করেছে বাংলাদেশ কোষ্টগার্ড ও নৌ পুলিশ, বার্মাতেও রোহিঙ্গারা মানব পাচারে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে সব সময়।
সমস্যা সমাধানে সম্ভবনা: - এই মুহুর্তে রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে বিশ্বে একটি মাত্র দেশ বাংলাদেশের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলে এই সমস্যার নিরসন হয় বলে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানের ধারণা। আর সেই দেশের নাম মিয়ানমার তথা বার্মা, বার্মার সাথে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কই পারে এই একমাত্র সমস্যার সহজ সমাধান।
উপসংহার: - রোহিঙ্গা নিয়ে ব্যাবসা ও কর্মসংস্থান কার্যক্রম করতে হলে তাদের নিয়ে পাইলট প্রজেক্ট করে ট্রেইনিং এর ব্যাবস্থা করতে হবে, যেখানে তারা ঘরে বসে রেশন পাচ্ছে তারা কেনো কষ্ট করে কাজ করে খাবে??? রোহিঙ্গা দ্বারা উৎপাদন হবে গ্যাস, তারা প্রতিদিন দেদার খাচ্ছে আর দেদারসে বাথরুম করছে তা দিয়ে বিদেশী এনজিও বায়োগ্যাস তৈরির প্লান্ট করছে, আরো হবে।
ছবি: - গুগল
কৃতজ্ঞতা:- সামহোয়্যারইন ব্লগ, বিনে পয়শায় লিখছি, বাৎসরিক ১০০ ডলার করে মেম্বারশীপ চার্জ সহ প্রতিটি পোষ্টে পাঁচ ডলার করে চার্জ করা হলে বোঝা যেতো আমরা কতো বড় ব্লগার আর কতো বড় লেখক?