somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার ২৫টি বীভৎস পন্থা (৪র্থ পর্ব)

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মৃত্যু দন্ড, অপরাধির জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি। যদিও পৃথিবীর অনেক দেশ আছে, যেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যু দন্ড দেওয়া হয় না, কিন্তু বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে মৃত্যু দন্ড দেবার বিধান রয়েছে। এই শাস্তির বিধান পৃথিবীতে যত গুলি আইনি শাস্তি রয়েছে, তার মধ্যে সব থেকে পুরাতন। তাই সময়ের সাথে এই মৃত্যু দন্ড কার্যকর করার পদ্ধতি একেক সময়ে একেক পন্থায় হয়েছে। আজ আমি আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব এমন বীভৎস কিছু পন্থার সাথে যা সম্পর্কে জানলে আপনারও ভয় লাগবে, শুধু একবার চিন্তা করুন আসামির জায়গায় আপনি। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক মৃত্যু দন্ড কার্যকর করার ২৫টি বীভৎস পন্থা সম্পর্কে,



স্প্যানিসদের সুড়সুড়িঃ
স্প্যানিসদের সুড়সুড়ি যন্ত্র (The Spanish Tickler) নামটা শুনেই নিশ্চয়ই কোন এক সময়ের সুড়সড়ি কথা মনে পরে গেল? কিন্তু এর সুড়সুড়ি খেলে আপনাকে আর খেখ খেখ করে হাসা লাগবে না। যা হোক এগুলার আরেকটি প্রচলিত নাম "বিড়ালের থাবা" (Cat's Paw)। কিন্তু স্প্যানিসে উতপত্তি আর এদের দ্বারাই ব্যাবহৃত হবার কারনে স্প্যানিসদের সুড়সুড় যন্ত্র নামেই বেশি পরিচিত। কোন ব্যাক্তির মৃত্যুদন্ড দেওয়া হলে তাকে শক্ত করে বেঁধে রাখা হত শহরের জনবহুল এলাকায়। এরপরে জল্লাদ এই সুরসুরি দেবার যন্ত্র পরে নিজের ইচ্ছা মত আসামির গায়ে আচড় দিত। এই আচর যেনতেন আচড় না। একদম চামড়া শরির থেকে আলাদা হয়ে যেত। কিন্তু আসামি মরত না এত সহজে কিন্তু যন্ত্রনা ভোগ করতে হত। আসামির মৃত্যু হত মূলত রক্তক্ষরন এবং কাঁটা জায়গায় ইনফেকশনের কারনে।



খুটির সাথে পোড়ানোঃ
খুটির সাথে পোড়ানো (Burning at the Steak) ইতিহাসের সব থেকে জনপ্রিয় পন্থা মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার জন্য। মৃত্যদন্ড প্রাপ্ত আসামিরা খুশি হত যদি একই সাথে অনেককে খুটির সাথে বেঁধে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার রায় হত। অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন খুশি হতে বললাম কেন? আসলে অনেককে এক সাথে বেঁধে পোড়াতে গেলে অনেক বেশি বড় করে আগুন ধরানোর ব্যাবস্থা করা হত, ফলে আগুনে পুড়ে নয় বরং আগুনের ফলে উৎপন্ন কার্বোন মনোক্সাইডের কারনে মৃত্যু হত আর আসামি একা থাকলে কম আগুন আর সত্যিকার অর্থেই আগুনে ঝলসে মৃত্যু ঘটত। এখন বোঝেন তাহলে কোনটা ভাল?!



বাঁশঃ
বাঁশ দিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার পদ্ধতি চালু ছিল এশিয়াতে। বলা চলে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার এক অভিনব আর খুবই কষ্টোদায়ক পদ্ধতি এটি। এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামিকে বাঁশের গোরার সাথে শক্ত করে বেঁধে রাখা হত। যেহেতু বাঁশ গাছ অনেক তারাতারি বৃদ্ধি পায় (দৈনিক সর্বোচ্চ ১ ফুটের মত), তাই ধীরে ধীরে ছোট ছোট বাঁশ আসামির দেহ ফুটা করে বের হয়ে যেত। এটি বেশ ধীরে হত বলে আসামি অমানবিক কষ্টো পেত।



জীবিত কবরঃ
জীবিত কবর পদ্ধতিতে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার পদ্ধতি ইতিহাসে অনেক সরকার গ্রহন করেছিলেন। সাধারনত বিদ্রহিদের এবং একাধিক হত্যাকারি বা ধর্ষনকারিদের এই ভাবে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হত। তথ্যমতে সর্বশেষ এরকম কবর দেয় জাপানিরা যখন তারা চীনে হামলা করেছিল, তখন অনেক চাইনিজদের এই ভাবে মৃত্যদন্ড কার্যকর করা হয়।



লিং চিঃ
লিং চি (Ling Chi) পদ্ধতি চালু ছিল চায়নায়। এই পদ্ধতিতে মৃত্যুদড কার্যকরা বন্ধো হয়েছে বেশি দিন হয়নি। ২০ সহস্রাব্দের শুরুতে এই পদ্ধতি নিষিদ্ধ হয়েছে চায়নায়। এই পদ্ধতিতে আসামিকে জনসম্মুখে বেঁধে জল্লাদ বিশেষ ছুড়ি দিয়ে আসামির বিভিন্ন অঙ্গ তার দেহ থেকে ধীরে ধীরে আলাদা করত। আর জল্লাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকত যেন আসামিকে সর্বাধিক সময়ে বাঁচিয়ে রাখা যায়। আসামির সর্বাধিক কষ্টো নিশ্চিত করা ছিল জল্লাদের পরম দ্বায়িত্য।

পূর্বের পর্বঃ মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার ২৫টি বীভৎস পন্থা (৩য় পর্ব)
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৭
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×