somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাশিয়ানদের বিস্ময়কর চিকিৎসা বিজ্ঞান

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"চিকিৎসা বিজ্ঞান" মানুষের আবিস্কৃত সব থেকে পুরাতন বিজ্ঞান। যতটুকু খোঁজ মিলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের সূচনা ঘটে ধ্বংস হয়ে যাওয়া রোমান সম্রাজ্যে, তবে সব থেকে বেশি উন্নত হয় প্রাচীন গ্রীসে। এ সময় গ্লাডিয়েটরদের মৃত দেহ অনেক বড় একটা ভূমিকা পালন করে। তবে স্নায়ু তন্ত্র প্রথম আবিস্কার হয় এই গ্রীসেই। যা হোক আজ এই চিকিৎসা বিজ্ঞানের উৎপত্তি স্থান নিয়ে নয় বরং আজ আলোচনা করব রাশিয়ানদের (সোভিয়েত ইউনিয়ন) চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে। আমি এ লেখায় মোটামুটি তুলে ধরব ১৯৩৭ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের চিকিৎসা বিজ্ঞানের কিছু বিস্ময়কর আবিস্কারের কথা।

শুরু করার আগে শুধু এতটুকু বলে রাখি আমি এখন যে কথা গুলি বলব তা আপনার কাছে সম্পূর্ন কল্পনা জগতের কথার মত মনে হবে। কিন্তু প্রতিটি তথ্যের প্রমান লেখার সাথে দিয়ে যাব। বিশ্বাস করুন এই বাস্তবতা আপনার কল্পনার জগতকেও হার মানাবে। তবে চলুন শুরু করা যাক।



২২শে নভেম্বর, ১৯৪৩ সালঃ আমেরিকার বিখ্যাত "টাইম" (বর্তমানে অনলাইন সংস্করনে পাবেন) পত্রিকায় রিপোর্ট করা হয়, "A thousand U.S. scientists in Manhattan last week saw dead animals brought back to life. It was the first public U.S. showing of a film picturing an experiment by Soviet biologists. They drained the blood from a dog. Fifteen minutes after its heart had stopped beating, they pumped the blood back into its lifeless body with a machine called an autojector, serving as artificial heart and lungs. Soon the dog stirred, began to breathe; its heart began to beat. In twelve hours it was on its feet, wagging its tail, barking, fully recovered."

সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং আমেরিকা যে পারস্পরিক বিরোধি তা জানা নেই এমন কেউ নেই বললেই চলে। কিন্তু এই দুই পরাশক্তি কিন্তু অনেকবার নিজেদের মধ্যে শান্তি স্থাপনের চেষ্টা করেছে তা মনে হয় অনেকেই জানেন না। ১৯৮৩ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ান শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রমান স্বরূপ প্রথমবার আমেরিকার সাথে তাদের চিকিৎসা বিজ্ঞানের তথ্য প্রকাশ করে। মূলত একটি ভিডিও প্রকাশ করে (লেখার শেষ ভাগে ভিডিওটি দেওয়া আছে, তবে লেখা না পড়লে অনেক কিছুই বুঝবেন না), যেখানে দেখা যায় একটি কুকুরের গলার "রগ" বা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় "External Jugular Artery" কেটে প্রথমে তার শরীর থেকে সকল রক্ত একটি পাত্রে সংরক্ষিত করা হয়। ফলে রক্তের অভাবে কুকুরটির হৃদ স্পন্দন বন্ধো হয়ে যায় এবং কুকুরটি কিছু সময়ের মধ্যেই মারা যায়। এভাবে ১৫ মিনিট মৃত থাকার পরে সোভিয়েত কতৃক আবিস্কৃত কৃত্রিম হৃদযন্ত্র "Autojector" মেশিনের মাধ্যমে কুকুরের দেহে পুনরায় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পরিবহন করা হয়। আর অবাক করার বিষয় হচ্ছে রক্ত পরিবহনের কিছু সময়ের মধ্যেই কুকুরটি পুনঃরায় জীবিত হয়ে ওঠে।


Autojector মেশিন

সোভিয়েত ইউনিয়নের চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা তিনটি মৃত কুকুরকে আবার জীবিত করে তোলেন। ১৯৩৮ সালে "নাইগা" নামের একটি কুকুর যে ১৫ মিনিট মৃত ছিল। ১৯৩৯ সালে "বানি" নামের একটি কুকুর যে ৮ মিনিট মৃত ছিল এবং "প্লাটিয়াস" নামের একটি কুকুর যে ১১.৫ মিনিট মৃত ছিল। কুকুর গুলি পরবর্তিতে সম্পূর্ন সুস্থ ভাবেই বেঁচে ছিল এবং পূর্ন জীবনকাল সম্পন্ন করে।

এখানে শুধু মাত্র সেই কুকুর গুলির তথ্যই তুলে ধরা হয়েছে যে গুলি সম্পর্কে সোভিয়েত ইউনিয়ন তাদের পরম শত্রু আমেরিকাকে সে সময় জানিয়ে ছিল।

সোভিয়েত চিকিৎসা বিজ্ঞানিরা এই পরীক্ষা গুলি সম্পন্ন করেন "Dr. Serge Bryukhonenko" এর নেতৃত্বে। Dr. Serge Bryukhonenko ছিলেন তৎকালীন সময়ে ছিলেন মস্কোতে অবস্থিত "U.S.S.R. Institute of Experimental Physiology and Therapy" প্রতিষ্ঠানের প্রধান গবেষক।

উপরে আলোচিত "Autojector" কিন্তু খুব সাধারন যন্ত্র মনে হলেও এটির কাজ কিন্তু খুবই জটিল। এই যন্ত্রের মূল কাজ শুধু মাত্র হৃদপিন্ডের মত রক্ত সঞ্চালন করা নয় বরং আমাদের ফুসফুস যে কাজটি করে অর্থাৎ বাতাস থেকে অক্সিজেন নিয়ে তা রক্তে মিশিয়ে দেয় সেই কাজটিও করত। আর বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহন আর প্রবাহিত রক্ত থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহনের জন্য আবার এই যন্ত্রের সাথে লাগানো থাকত আলাদা ফুসফুস। এই যন্ত্রে মূলত যে পাইপ ছিল যার একটি শিরায় এবং অপরটি ধমনিতে সংযুক্ত করে দেওয়া হত। যন্ত্রটি ধমনি হয়ে রক্ত সংগ্রহ করে তাতে অক্সিজেন সংমিশ্রিত করে পরবর্তিতে তা শিরার মধ্যে সঞ্চালিত করে দিত।

এছাড়াও এই Autojector মেশিনের মাধ্যমে দেহের বাইরে হৃদপিন্ডকে সম্পূর্ন সচল রাখাও সম্ভব ছিল। শুধু হৃদপিন্ড নয়, ফুসফুসকেও একই ভাবে সচল রাখা যেত এই যন্ত্রের মাধ্যমে।

তৎকালীন সোভিয়ের ইউনিয়নে যারা এরকম উদ্ভট এবং অনেকটা কাল্পনিক বিজ্ঞান নিয়ে গবেষনা করত তাদের বলা হত "Red Scientists", আর তাদের এই বিজ্ঞানের নাম করন করা হয় "Red Science" নামে। এই Red Scientists-রা ছিল তৎকালীন সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের সব থেকে উঁচু পদমর্যাদা সম্পন্ন ব্যাক্তিবর্গ। তারা সরকারি ভাবে বিশেষ সুবিধা ভোগ করত। আর তাদের নতুন কোন আবিস্কারের জন্য তাদের তৎকালীন সময়ে ২০০,০০০ রুবেল (রাশিয়ান ডলার) পুরস্কার দেওয়া হত। আর সামাজিক ভাবে তারা ছিল সব থেকে সন্মানিত ব্যাক্তিবর্গ।

আসলে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজ্ঞান চর্চা কতটা যে উন্নত ছিল তা বলে শেষ করা যাবে না। তার উদ্ভিদ বিজ্ঞানে যে পরিমান অগ্রসর হয়েছিল তা এখন পর্যন্ত চিন্তাও করা যায় না। যেমনঃ তারা এমন এক ধরনের তুলা গাছ আবিস্কার করেছিল যা -৪০ ডিগ্রী সেঃ তাপমাত্রাতেও বেঁচে থাকতে সক্ষম। এছাড়া রাসায়ন বিজ্ঞান ও পদার্থ বিজ্ঞানেও তাদের সাফল্য অকল্পনীয়। তবে আজ এ নিয়ে নয় বরং জীব বিজ্ঞান নিয়ে তাদের সফলতার কিছু দিক শুধু তুলে ধরব।



১৭ই জানুয়ারি, ১৯৫৫ সালঃ আমেরিকার বিখ্যাত "টাইম" (বর্তমানে অনলাইন সংস্করনে পাবেন) পত্রিকায় রিপোর্ট করা হয়, "In the Soviet Ogonek, Georgi Blok describes a sensational exhibit at a recent meeting of the Moscow Surgical Society. On the platform close to the guests of honor stood a large white dog, wagging its tail. From one side of its neck protruded the head of a small brown puppy. As the surgeons watched, the puppy's head bit the nearest white ear. The white head snarled."



দেহ থেকে আলাদ করে রাখা জীবন্ত কুকুরের মাথা

সোভিয়েত কতৃক প্রকাশিত ভিডিওটির একটি অংশে দেখা যায় যে, দেহ থেকে একটি সাদা কুকুরের মাথাকে কেটে সম্পূর্ন আলাদা করে একটি টেবিলের উপর রাখা হয়, এরপরে মৃত মাথায় সোভিয়েন বিজ্ঞানীদের আবিস্কৃত "Autojector" যন্ত্রের মাধ্যমে পুনঃরায় রক্ত সঞ্চালন করা হয়। আর কিছু সময় পরেই দেখা যায় যে মৃত কাঁটা মাথাটি জীবিত হয়ে উঠেছে। শুধু যে জীবিত হয়ে উঠেছে তা নয় এর সংবেদন তন্ত্র সম্পূর্ন ভাবে সচল রয়েছে। যেমনঃ এর দৃষ্টি শক্তি, স্বাদ নেবার ক্ষমতা এবং শব্দ শোনার ক্ষমতা। এ যেন এক কল্পকথা মনে হচ্ছে তাই না। কাঁটা মৃত মাথা কেমন ভাবে জীবিত হবে? কিন্তু হয়েছে, আর এটাই বাস্তবতা।

এবার চলুন দেখে নেই সোভিয়েত ইউনিয়ন কতৃক তৈরি ভিডিওটি। ভিডিওটি ছাড়া হয় ১৯৪৩ সালে,


ভিডিওটি VIMEO তে তাই লিংক দিলামঃ লিংক

ডেমিকভের দু'মাথায়ালা কুকুরঃ "হ্যারি পর্টার" সিনেমায় কিন্তু দু'মাথায়ালা কুকুর দেখেছিলেন খেয়াল আছে? কিন্তু সেটাতো শুধু কল্প কথা তাই না? কিন্তু এখন আপনাদের যে কুকুরের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব সে কিন্তু কোন কল্পকথাও না আর জন্মগত ভাবে ত্রুটি নিয়ে দু'মাথা নিয়েও জন্মায় নাই। বরং "Surgeon Vladimir Petrovich Demikhov" এর গবেষনার ফল এই দু'মাথায়ালা কুকুর।



"Surgeon Vladimir Petrovich Demikhov" ছিলেন "Soviet Academy of Medical Sciences" এর "Organ Transplanting Laboratory" শাখার প্রধান। Dr. Demikhov এর ভাষ্য মতে, তিনি প্রথমে ছোট ছোট অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে তার গবেষনা শুরু করেন। প্রথম দিকে তিনি "Autojector" এর মাধ্যমে যান্ত্রিক ভাবে হৃদপিন্ডে রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে দেহের বাইরে হৃদপিন্ডকে সচল করেন। এরপরে তিনি এক কুকুরের মধ্যে দু'টি হৃদপিন্ড বসিয়ে দেন। অবশ্য এর জন্য কুকুরের ফুসফুসের কিছু অংশ কেটে ফেলা হয়, ২য় হৃদপিন্ডের জায়গার জন্য। তার স্থাপিত ২য় হৃদপিন্ডটি নিজ থেকেই স্বাধীন ভাবে স্পন্দন করতে থাকে। এটি ছিল মানব ইতিহাসে সর্ব প্রথম হৃদপিন্ড প্রতিস্থাপনের অপারেশন।

এরপরে তিনি বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করতে করতে এক সময় তিনি মাথা প্রতিস্থাপন করা শুরু করেন এবং ১৯৫৪ সালে তিনি সর্বপ্রথম তার গবেষনার ফল দু'মাথায়ালা কুকুর সকলের সামনে উপস্থাপন করেন যেখানে তিনি একটি জার্মান সেফার্ড এর ঘাড়ের কাছে আরেকটি বাচ্চা কুকুরের সামনের পা সহ দেহের কিছু অংশ সফল ভাবে বসাতে সক্ষম হন।

এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা দু'টি কুকুরকে আলাদা ভাবে দুধ খেতে দেখেন এবং তারা যে একই দেহে দু'টি আত্মার মেলবন্ধন গড়েছেন Dr. Demikhov তা তারা সহজেই বুঝতে পারেন।



যদিও এই মাথা প্রতিস্থাপন সম্পূর্ন ভাবে সফল ছিল না। কেননা Dr. Demikhov কোন ভাবেই এই দু'মাথায়ালা কুকুরকে ২.৫ মাসের বেশি বাঁচিয়ে রাখতে পারতেন না। আর এর মূল কারন ছিল কুকুরের দেহের হৃদপিন্ড হঠাত করে স্পন্দন থামিয়ে দিত। কেননা দুটি দেহে রক্ত সঞ্চালনের জন্য যে শক্তি প্রয়োজন ছিল হৃদপিন্ডের তা একটি হৃদপিন্ডের ছিল না।

কিন্তু একই দেহে দু'টি হৃদপিন্ড প্রতিস্থাপনের পরীক্ষায় সফলতার জেড় ধরে Dr. Demikhov দু'টি পন্থায় পুনঃরায় গবেষনা শুরু করেন।

প্রথমত, তিনি একটি বৃহৎ আকৃতির কুকুরের দেহে একটি বাচ্চা কুকুরের দেহের বেশির ভাগ অংশ ফেলে দিয়ে তা ঐ বড় দেহের কুকুরের দেহের সাথে লাগিয়ে দেন। এর ফলে হৃদপিন্ডের উপর কম চাপ পরায় তা দুটি দেহেই প্রয়োজনীয় রক্ত দিতে সক্ষম হয় আর এর ফলে দু'মাথায়ালা কুকুর গুলিও দীর্ঘজীবি হয়ে উঠতে থাকে।

দ্বিতীয়ত, তিনি দু'টি হৃদপিন্ড বসিয়ে দেন। ফলে একটি হৃদপিন্ডের উপর সমস্ত চাপ এসে পরে না। ফলে দু'মাথায়ালা কুকুর গুলি দীর্ঘজীবি হয়ে উঠতে থাকে।

Dr. Demikhov এর করা গবেষনা মূলক এই অপারেশনের পরবর্তি সম্পর্কে তিনি বলেন, অপারেশনে পরে যখন কুকুর গুলির জ্ঞান ফিরে আসে তখন বড় কুকুরটি মাথা ঝাকিয়ে তার ঘাড়ের সাথে লেগে থাকা আরেকটি কুকুরকে ফেলে দেবার চেষ্টা করে। কিন্তু আলাদা মাথার সাথে তার খাপ খাইয়ে নিতে খুব একটা বেশি সময় লাগেনি। আর যে বাচ্চা কুকুরের দেহের বেশির ভাগ অংশ ফেলে দিয়ে ঘাড়ের উপর লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে অন্যান্য বাচ্চা কুকুরের মতই বেশ খেলায় মেতে থাকত। সে যার শরীরের উপর লেগে থাকত তাকে মাঝে মাঝে আদর করে দিত আর মাথায় কামড়ে ধরে খেলা করত। এরা নিজেদের শরীরের সাথে একে অপরকে এতটাই মানিয়ে নিয়েছিল যে বাচ্চা কুকুরের পানি পিপাসা লাগলে বড় কুকুর পানির পাত্রের কাছে চলে যেত আর রুম গরম হয়ে গেলে দু'জনেই জিব্বা বের করে বসে থাকত। অর্থাৎ তাদের স্নায়ু তন্ত্র প্রায় একই সাথে কাজ করত।

এই দুই কুকুরের সক্ষতা হলেও তাদের এই সক্ষতার স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৬ দিন। এরপরে দুজনে একসাথে মারা যায়।



Dr. Demikhov তার ১৫ বছরের কর্মজীবনে মোট ২০টি দু'মাথায়ালা কুকুর তৈরি করেছিলেন। কোনটাই বেশি দিন বেঁচে ছিল না। এর প্রথম কারন দূর্বল হৃদপিন্ড হলেও Dr. Demikhov সে সমস্যার সমাধান পেয়েছিলেন। কিন্তু যে সমস্যার সমাধান পাননি তা হল "টিস্যু প্রত্যাক্ষান" (Tissue Rejection) সমস্যার সমাধান। এমনকি বর্তমানেও চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর কোন সমাধান নেই। তবে তিনি সর্বোচ্চ দুই মাস পর্যন্ত এই দু'মাথায়ালা কুকুরকে বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছিলেন।

Dr. Demikhov বলেন, তার এই গবেষনার মূল উদ্দেশ্য ছিল কিভাবে এক দেহের অংগ অন্য দেহে প্রতিস্থাপন করা যায় সেই পদ্ধতি আবিস্কার করা। আর এই কাজে কি কি বাঁধা আছে তা আবিস্কার করা। তার মূল উদ্দেশ্য হৃদপিন্ড আর ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা।

যদিও Dr. Demikhov তার গবেষনায় সফল হয়েছিলেন কিন্তু তার কপাল খারাপ কেননা ১৯৬৭ সালে "Dr. Christian Baarnard" তুলনা মুলক সহজ এবং সফল পদ্ধতি আবিস্কার করে ফেলেন হৃদপিন্ড আর ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য। যদিও Dr. Demikhov ইতিহাসে প্রতিস্থাপনের এই পদ্ধতির জন্য পরিচিতি পাবেন না, তবে তার এই সকল উদ্ভট গবেষনা বাদে যে এগুলি অর্জন করা সম্ভব ছিল না তা আজ পর্যন্ত কেউ অস্বীকার করে নাই আর করবেও না।

এতক্ষন আপনাদের সাথে অনেক ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করলাম। যার অনেকটাই কল্পকথার মত মনে হলেও এগুলি কিন্তু বাস্তব। কিন্তু এখন আপনাদের আরো যা জানাবো তা আপনাকে কিন্তু আরো অনেক বেশি অবাক করবে।

আচ্ছা একবার ভাবুন, মৃত দেহকে পুনঃরায় জীবিত করে তোলা, মৃত কাঁটা মাথাকে পুনঃরায় জীবিত করে তোলা আবার দেহের অঙ্গকে প্রতিস্থাপন করার গবেষনার জন্য বিপুল অর্থ ব্যায় করা হত এর যোগান তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন কি শুধু মাত্র চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি তথা মানব সমাজের উন্নতির জন্য করেছে? তাও আবার যুদ্ধকালীন সময়ে? নাকি এর মধ্যে লুকিয়ে আছে অন্য কোন পরিকল্পনা?

এবার চলুন সোভিয়েত ইউনিয়নের কিছু নথি দেখে নেই প্রথমে, এরপরে না হয় সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে,









উপরের ছবি গুলি যদি মন দিয়ে না দেখে থাকেন তাহলে অনুরোধ থাকবে, আরেকবার ভাল মত দেখে আসুন, কেননা এর মধ্যে লুকিয়ে আছে অনেক না বলা কথা।

উপরের ছবি গুলি দেখে আপনার কি মনে হয় তা আর জিজ্ঞাসা করব না। মানুষের কল্পনা করার ক্ষমতা অসীম, আর আপনার এই অসীম ক্ষমতাকে কোন ভাবেই সীমার মধ্যে আটকে দিতে চাই না। তবে আমার ধারনা বা কল্পনা গুলি আপনাদের সামনে অবশ্যই তুলে ধরব। এই ছবি গুলির কোন ব্যাখ্যা কোথাও দেওয়া হয় নাই, তাই কল্পনাই এক মাত্র সম্বল।

উপরের ছবি গুলি যদি আপনারা একটু ভাল মত খেয়াল করে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন,

# তারা (সোভিয়েত ইউনিয়ন) কুকুরের মাথাকে দেহ থেকে আলাদা করে বাঁচিয়ে রাখার যন্ত্র বানাতে আগ্রহী ছিল।
# কুকুরের জন্য তারা একটি ধাতুর তৈরি দেহ বানাতে আগ্রহী ছিল।
# এবং শেষের দু'টি ছবি দেখলে স্পষ্ট ভাবে বোঝা যায় যে তারা ধাতুর তৈরি দেহ বানাতে সক্ষম ছিল এবং বানিয়েছিল।



এখন ধরুন তারা কুকুরের উপর পরীক্ষা করে সব গবেষনায় সফল হয়েছে, এবং এবার পালা মানুষের উপর গবেষনা চালানো। তাহলে তাদের দ্বারা কি কি অর্জন করা সম্ভব ছিল?

# মৃত ব্যাক্তিকে পুনঃরায় জীবিত করা।
# যন্ত্রের মাধ্যমে কোন মানুষকে অমরত্ব প্রদান করা।
# ধাতুর দেহের মাধ্যমে "RoboCop" এর মত "ধাতু মানব" তৈরি করা।
# ধাতু মানবের বিশাল সেনা বাহিনী গড়ে তোলা।
# নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যাক্তিদের অসীম সময়কাল পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখা।
# দেহের কোন অংশ ক্ষতি গ্রস্ত্ব হলে তা বদলে ফেলা।

উপরে সম্ভাবনা গুলি শুধু আমার কল্পনা। তবে এর থেকেও অনেক কিছু হতে পারত বা হয়েছে। কিন্তু সে তথ্য জানা আমাদের পক্ষে কোন দিন সম্ভব নয়। আর বাদবাকি সম্ভাবনা নির্ভর করে আপনার কল্পনার ক্ষমতার উপর।

লেখকঃ জানা অজানার পথিক AKA নহে মিথ্যা।

উৎসঃ Russian Bizarre Medical Science
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:২৪
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×