somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পিকনিক ট্যূর! চৈতন্য শাহের আস্তানায় (চেতনা ঠান্ডাকারী পিকনিকের ঘটনা দুই পর্বে সমাপ্য)

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাবারে বাবা, হেঁইও!
ওরে বাবা, হেঁইও!
আরো জোড়ে, হেঁইও!
মার ঠেলা, হেঁইও!
ওরে বাবা থাম! হেঁইও!
সবাইকে থামতে বলছি, হেঁইও!
গর্দভেরা সবাই থাম, তোমরা শুধু ঠেলতেই শিখলে একবার ঠেলা শুরু করলে আর থামতে পার না?

পিকনিক দলের প্রবীণ সদস্যের এমন বিশ্রী মন্তব্যে, হুশ ফিরে পেয়ে, পাহাড়ের ঢালু রাস্তা মাঝেই গাড়ীতে জ্যাক লাগিয়ে সবাই থামল, অমনি বুঝতে পারল ব্যাপার খানা।

কি দুর্গন্ধরে বাবা! এত বিশ্রী গন্ধ আসছে কোত্থেকে? শরীরটা আঠা আঠা লাগছে কেন? আচ্ছা তোমার গায়েও কি গরম আঠার মত অনুভব হচ্ছে? একে অপরকে প্রশ্ন করতে লাগল। বিদঘুটে দুর্গন্ধে চারিদিক একাকার আর এই অদ্ভুত দুর্গন্ধ কোথা থেকে আসছে এই প্রশ্ন পিকনিক দলের প্রবীণ সদস্যের প্রতি। তিনি ইশারায় উপরে গাছের দিকে ইঙ্গিত করলেন। যেই মাত্র সবাই উপরে তাকাতে গেল, মুর্হতে ঝর্ণার আকারে গরম পানি বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল!

হঠাৎ সিদ্ধান্তে সবাই লাফ দিয়ে নিরাপদ দূরত্বে সরে এসে চিৎকার করে বলল, সর্বনাশ! গরম পানি তো এরাই ছিটাচ্ছে। সবাই জলদি ভাগ! এদের ছিটানো গরম পানি, চোখে-মুখে পড়লে বিপদ অনিবার্য, নির্ঘাত বমি করতে করতে কাহিল হয়ে পড়তে হবে।

একজন বলে উঠল, দুঃচিন্তার দরকার নাই, আমাদের শরীরের গরম আঠা তাদের মূত্রের কারণেই হয়েছে। এখন ভালোয় ভালো তাদের উত্তেজিত না করে, ভদ্রলোকের মত সরে যাবার চিন্তা কর।

ফটিকছড়ি, বাংলাদেশের বৃহত্তম উপজেলার মধ্যে অন্যতম। এটি আয়তনের দিক থেকে মেহেরপুর ও ফেনী জেলার চাইতেও বড়। দৈর্ঘ্য-প্রস্থে বিশাল আয়তন নিয়ে এ উপজেলা বাংলাদেশের মানচিত্রের একটি বিরাট জায়গা জুড়ে বসে আছে। এ উপজেলার ঠিক বুকের উপর দিয়ে বয়ে গেছে ভারত থেকে প্রবাহিত নদী ‘হালদা’। হালদা নদী বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হালদার মোহনায় বিভিন্ন মাছ ডিম পারে, সে ডিমের পোনা বিরাট এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। চট্টগ্রাম বন্দরে হালদার অবদান অনেক, হালদার দুই পাশে রয়েছে বিশাল আয়তনের পর্বতরাজি। পূর্ব পার্শ্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের দিগন্ত বিস্তৃত পর্বতমালা। পশ্চিমে রয়েছে আরেকটি পর্বত শ্রেণী, যেটি চট্টগ্রাম শহর থেকে শুরু করে সোজা উত্তরে ফেনী খালের পার্শ্ব দিয়ে ভারতে ঢুকে পড়েছে। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও রেল লাইন এই পর্বতশ্রেণীর কোল ঘেঁষেই চলে গেছে ঢাকায়। তার ঠিক অপর পারেই ফটিকছড়ির অবস্থান। এপার থেকে মনে হয় পূর্বপাড়ে শুধু পাহাড় আর পাহাড়। অথচ সেখানে রয়েছে বিশাল এক সমতল ভূমি, প্রায় সকল প্রকারের খাদ্য-সবজি উৎপন্ন হয় এখানে। এই দুই পাহাড় শ্রেণীর নির্গত সুস্বাদু ও মিষ্টি পানি বিভিন্ন ছড়া ও খালের মাধ্যমে হালদা নদীতে গিয়ে পড়েছে। হালদার পানির বিরাট একটি উৎস ফটিকছড়ির এই পর্বতশ্রেণী। তাছাড়াও বিস্তীর্ণ অঞ্চলে হালদার বয়ে আনা পলি, এখানকার মাটিকে রাখে উর্বর, এলাকাকে করেছে সমৃদ্ধ।

ফটিকছড়ি শব্দের অর্থ ‘স্বচ্ছ পানির ঝর্ণা’। ফটিকছড়ি নামক একটি স্বচ্ছ পানির ছড়া বা খাল প্রবাহিত হয়ে হালদা নদীর সাথে মিশে গেছে। যার উৎপত্তি স্থল, গভীর অরণ্যের পর্বতমালার সর্বোচ্চ পাহাড়ের শীর্ষদেশে। শীতকালে ফটিকছড়ি খাল খুবই শান্ত, মাঘ মাসের কনকনে শীতেও ফটিকছড়ি খালের পানি উষ্ণ, তবে বর্ষাকালে এটি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। তীব্র গতিসম্পন্ন স্রোতের তোড়ে ভেসে আসে বিভিন্ন আকৃতির পাথরের টুকরা ও গাছের বড় বড় ডাল। এগুলোর আঘাতে মৃত্যু তো বটেই, কখনও লাশও পাওয়া যায়না। এটি হালদার একটি মোহনা হলেও, হালদা নদীতে যত মানুষ মরেছে, ফটিকছড়ি খালে মরেছে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশী!

এই ফটিকছড়ি খালের উৎপত্তি যে পাহাড়ের চূড়ায়, সে পাহাড়ের কোল ঘেঁষে তৈরি হয়েছে একটি মেঠো পথ। দুর্গম পাহাড়ের বিপদসংকুল এই মেঠো পথটি ফটিকছড়ি ও মিরেশ্বরাইয়ের মানুষের মধ্যে তৈরি করেছে সেতু-বন্ধন। মানুষের পক্ষে এই পথ তৈরি সম্ভব নয়, এটি আল্লাহর এক অপূর্ব কারিগরি। মানুষ তা শুধু আবিষ্কার করেছে মাত্র। কেননা এই পথ দিয়ে মিরেশ্বরাই থেকে সোজা পূর্বদিকে গহীন অরণ্য প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ, তা পাড়ি দিলেই ফটিকছড়ির নারায়ণ হাটের অবস্থান। নারায়ণ হাটের অবস্থান আরো ভৌগলিক, সোজা উত্তরে গেলে রামগড়-ফেনী, দক্ষিণে গেলে চট্টগ্রাম শহর, পশ্চিমে মিরশ্বরাই, সোজা পূর্বে আবারো গভীর বনভূমি, তবে সেখানেও তৈরি হয়েছে রাস্তা; এটা পার হলেই মান রাজার বাড়ী, মানিকছড়ি, খাগড়াছড়ি, ভারত ইত্যাদি। ফটিকছড়িতে প্রচুর চা বাগান রয়েছে, দেশের বৃহত্তম রাবার বাগানের একটি এখানে অবস্থিত। এছাড়া রয়েছে প্রচুর বনজ সম্পদ, খনিজ সম্পদ, পাথর, গ্যাস ও তেল।

এখানেই রয়েছে বাংলাদেশের সেরা সুফি দরবেশদের অন্যতম দুজন আউলিয়া যথাক্রমে আহমেদ উল্লাহ (রহঃ) ও গোলামুর রহমান মাইজভাণ্ডারী (রহঃ), যারা ভক্তদের কাছে বাবা ভাণ্ডারী হিসেবে পরিচিত। কথিত আছে ঈসা খাঁ মোগল সম্রাটদের তাড়া খেয়ে এই মাইজ ভাণ্ডারে ঘাঁটি গেড়েছিলেন। তারও বহুপরে এখানে বাবা ভাণ্ডারীরা আসেন। ঈসা খাঁর সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন অফিসারের নামানুসারে এই অঞ্চলের বহু জায়গার নাম হয়েছে। ইব্রাহীম পুর, ঈসা পুর, মুসা পুর, আজিম পুর সহ, আরো অসংখ্য পুর। ফটিকছড়ির জনপদের নাম গুলো এভাবে ‘পুর’ দিয়ে ভরপুর। ঈশা খাঁর সাথে আসা বিভিন্ন জায়গার মানুষ এখানে বসবাস শুরু করে। সে হিসেবে মাইজভান্ডারের পাশের গ্রামের নাম পাঠান পাড়া, যারা ছিল আফগানী। ‘মালদার’ পাড়া যারা ভারতের মালদহ থেকে এসেছিল। প্রচলিত এই ব্যাখ্যার সাথে অনেকে অন্য ব্যাখ্যাও দিয়ে থাকেন।

এলাকার কিছু কলেজ ছাত্র ও সমমনা বন্ধু মিলে পিকনিক ট্যুরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্থান নির্ধারণ করা হল ‘চৈতন্য শাহের আস্তানায়’। দুর্গম গিরি-খন্দক পাড়ি দিয়ে যেতে হয় এই আস্তানায়। কিছু দিন আগেও সেখানে পিকনিক করতে যাওয়াতো দূরের কথা, হাতে একটি থলে নিয়ে হেঁটে যাওয়াটাও কঠিন ছিল। পাহাড়ের একটি সরু পথ বেয়ে উপরের দিকে যেতে হয়, বিপরীত দিক থেকে আসা একজন মানুষকে পথ দিতে হলে একজনকে রাস্তা থেকে সড়ে দাঁড়াতে হবেই। পা পিছলে কেউ যদি পাহাড় থেকে নীচে পড়ে, তাহলে মৃত্যু অবধারিত, তার লাশ উদ্ধার করাও সম্ভব হবেনা। নীচের দিকে তাকালে দেখা যায়, অনেক বড় বড় গাছের মাথা। কিছু গাছের মাথায় বিভিন্ন প্রাণীর হাড়-গোড় আটকে আছে।

২৫ বছর আগে লিখক নিজেও দেখেছেন, এক মৃত কাঠুরিয়ার হাড়, লুঙ্গি সমেত গাছের মগডালে ঝুলে আছে। এ পথের লতা-পাতা গায়ে লাগাও বিপদজনক, খানিকটা অপেক্ষা করলেই লতা-পাতা থেকে কিলবিল করা জোঁক লিকলিকিয়ে কাঁধে, কানে, পিটে ভর করে। তাছাড়া আছে লক্ষ লক্ষ আঠালীর জটলা যা গরু, মহিষ, শুকুরের গায়ে থাকে। তিলের চাইতেও আকারে অতি ক্ষুদ্র একটি মাত্র আঠালীর চুম্বনে ভয়ানক ব্যথা ও বিষের জ্বালায়, একজন পালোয়ানকেও কাবু করে দেবে।

আরো আছে দানবাকৃতির বিচ্ছু-কেন্নো, যার পাঁচ-ছটিকে পাল্লায় তূললে এক কেজির উপরে হবে, দেখতে বড়-সড় চিংড়ী মাছের সমান! যার এক কামড়ে একটি গরু নিপাত যাবে, এই বিচ্ছুগুলো ইঁদুর ধরে খায়। হনুমান আর বানরের উৎপীড়নের সম্ভাবনা তো আছেই। দল বাঁধা উল্লুক, ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে কোরাস ধরে এক সাথে মানুষের মাথায় প্রস্রাব করে দেবার ঘটনাতো নিত্য নৈমত্যিক ব্যাপার! আছে ভালুক, সজারু, কেঁদো বাঘ, দল বদ্ধ শৃগাল, জোট বদ্ধ হিংস্র প্রকৃতির রাম কুকুর এবং অসংখ্য শুকর। কদাচিৎ জোঁক, আঠালীর উপদ্রব থেকে বাঁচতে এ রাস্তার পথিকেরা গায়ে কেরোসিন মেখে চলাচল করে। লেখকও এই পদ্ধতি অনুসরণ করে সে এলাকায় কয়েকবার ভ্রমণ ও শিকারে গেছেন।

চৈতন্য শাহের আস্তানায় আগে মানুষ হেঁটে আসত, ইতিপূর্বে কেউ পিকনিক করতে এখানে আসেনি, আসা সম্ভবও ছিলনা। ভূ-পৃষ্ট থেকে হাজার হাজার ফুট উচ্চতায় এর অবস্থান, যেখানে দাঁড়ালে ৬০ কিলোমিটার দূরের চট্টগ্রাম শহরকে আবছা আবছা দেখা যায়। বঙ্গোপসাগরের বুকে অবস্থিত অনেক দূরের সন্দ্বীপ, হাতিয়া স্পষ্ট নজরে আসে। ভূপৃষ্ঠ থেকে এত উপরে অবস্থান হলেও, এখানে খুবই সুমিষ্ট পানির একটি নহর আছে। সে পানির নহর জলপ্রপাতের মত আওয়াজ করে নীচের অজানা গহ্বরে আছড়ে পড়ছে। পাহাড় বেয়ে উঠা ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত ও ক্ষুধার্ত পথিকের দল এখানে একটু জিরিয়ে নেয় এবং নিজেদের আনিত খানা খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করেন।

দুই কূলের মানুষের কাছে এই জায়গাটি খুবই মূল্যবান কেননা যাতায়াতের দূরত্বের ঠিক মাঝখানে এই জায়গার অবস্থান। সাথে পানি আনার দরকার পড়েনা, গোসল করা, পান করা, নামাজ পড়া সবই এই পানি দিয়ে সম্ভব। এক বৃদ্ধ প্রতিদিন সকালে চিনি, চা-পাতা, মুড়ি ও বিস্কুট নিয়ে ৮ কিলোমিটার দুর্গম পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে এখানে আসেন। স্থলভাগের দামে তিনি সব বিক্রি করে সন্ধ্যায় আবার ফিরে যান। বহু বছর তিনি এ পথের একজন নীরব প্রহরী! কিছু মানুষের আজব খাসিয়তের দ্বারা এভাবে মানবজাতি ক্ষেত্র বিশেষে উপকৃত হয়ে থাকে। এই জায়গা টির নাম ‘চৈতন্য শাহের আস্তানা’, নামখানা তিনিই দিয়েছেন। কেউ বলেন চেতনা শাহ, কেউবা বলেন চৈতন্য শাহ। সর্বোপরি এটাই হল সে ঐতিহাসিক ফটিকছড়ি খালের উৎপত্তিস্থল এবং ফটিকছড়ি নামটি এই পাহাড়ি ঝর্ণার বদান্যতায় সৃষ্টি।

সম্ভবত ১৯৯৪ সালের দিকে সরকার এ পথটিকে কেটে গাড়ী যাওয়ার মত রাস্তা বানিয়েছে, জিপ মীরশ্বরাই থেতে ফটিকছড়ির নারায়ণ হাট পর্যন্ত যেতে পারে। নতুন এডভেঞ্চার হিসেবে তরুণেরা এখানেই পিকনিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেই ভাবা সেই কাজ। গাড়ী ঠিক হল, মাইকের ব্যবস্থা হল, ক্যামরা থাকল, তরি-তরকারী, চাউল, ডাল, ছাগল, মুরগী সবই হল। পানি ও লাকড়ি নেবার দরকার নাই, তা সেখানে পাওয়া যায়। সংক্ষিপ্ত ভাবে সবই সুন্দরভাবে হয়ে গেল।

পিকনিকে নতুনত্ব আনতে, পথিমধ্যে পাইন্যা ডোবায় তথা চলার পথে মাছে ভরপুর এক জলাধারে বরশী ফেলা হল। পাইন্যা ডোবায় বরশী ফেলা মাত্রই ‘চেং’ মাছ দিয়ে উদ্বোধন হল! স্থানীয় ভাষায় ‘চেং’ মাছ দেখতে ঠিক টাকি মাছের মত, সবাই এ মাছ খায়না, আকারে টাকি মাছের চেয়ে বড় হয়, তবে ফ্রাইয়ের জন্য খুবই উপযুক্ত। পরপর চারটি বরশী ফেলা হল, কিছুক্ষণের মধ্যেই চারটি বরশীতেই টান পড়ল। প্রথম বরশীর মাছ অসম্ভব শক্তিশালী মনে হল, জোড়ে টানা টানির পর বরশীই সুতাই ছিঁড়ে গেল! দ্বিতীয় বরশীর একই দশা, তিনজনের টানাটানিতে অবশেষে ইয়া বড় এক ‘বাইন’ মাছ তুলল। এত বড় বাইন মাছ ইতিপূর্বে কেউ দেখেনি! হঠাৎ মাছটি উল্টো সাপের মত কামড়াতে আসল! একজনের পেন্টের কাপড় কামড়িয়ে ধরল। ভুল ভাঙ্গল সবার, আসলে এটা মাছ নয়! দানবাকৃতির কুঁইচ্ছা (স্থানীয় নাম) ইংরেজিতে ‘ঈল’! বৃহদাকায় কিছু কুইচ্ছায় ইলেকট্রিক শর্ক তৈরী করে, কাউকে আহত করতে পারে, এটাতে ছিলনা, ভাগ্যিস বাঁচা গেল। বাকী দুটি বরশীতে মাছের কপালে ছাই মেরে, দুটি কচ্ছপ পাওয়া গেল। সবাই গোস্বায় সেগুলোকে পিটিয়ে হত্যা করল, কয়েকজন নিজেদের বল পরীক্ষাপূর্বক মৃত প্রাণীগুলোকে পাহাড়ের পাদদেশে কতদূরে নিক্ষেপ করা যায়, প্রচেষ্টায় মত্ত হল! যাত্রাটা মোটামুটি ভাগ্য বিড়ম্বিত বিদঘুটে পরিবেশে শুরু হল! কেউ কেউ দুষ্টামি করে বলল, যাত্রা গণনায় ভাল ঠেকছে না, আনন্দ মাটি হবার লক্ষণ।

আগামী পর্বে সমাপ্য................
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিব নারায়ণ দাস নামটাতেই কি আমাদের অ্যালার্জি?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭


অভিমান কতোটা প্রকট হয় দেখেছিলাম শিবনারায়ণ দাসের কাছে গিয়ে।
.
গত বছরের জুন মাসের শুরুর দিকের কথা। এক সকালে হঠাৎ মনে হলো যদি জাতীয় পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাসের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×