Saw সিনেমাটার নাম প্রথমে শুনেছিলাম সম্ভবত প্রজন্ম ফোরামের আহমাদ মুজতবার মুখে। তখন সবেমাত্র Saw V রিলিজ পেয়েছে। অন্য কোন ভালো সিনেমার লিংক না পাওয়াতে একদিন কি মনে করে সেটাই ডাউনলোড দিয়ে দিলাম। যথাসময়ে ডাউনলোডও হল। দেখতে বসলাম। আগের পর্ব গুলো না দেখায় কাহিনীর মাথামুন্ডু কিছুই বুঝলাম না। বরং কাটাকাটি, রক্তপাত সবমিলিয়ে যে ভয়াবহ দৃশ্য, সেটা দেখে আমার বমি আসার মতো অবস্থা। ইতিমধ্যে একদিন সাইবারক্যাফের সার্ভারে Saw IV টাও পেয়ে গেলাম। সেটা আর পুরাটা দেখার মতো ইচ্ছা বা সাহস কোনটাই হল না। টেনে টেনে দেখলাম। তাতেই আমার অবস্থা কাহিল। এটা স ফাইভের চৈযৈও বিভত্স। এরপর থেকে মুভি দুটো আর দ্বিতীয়বার চালানো তো দূরের কথা, কম্পিউটারের ঐ ফোল্ডারে ঢুকলেই আমার গা গুলিয়ে আসে। আহমাদ মুজতবার নিশ্চয়ই এইসব কাটাকাটি, রক্তপাত নিয়ে অবসেশন আছে, নইলে আবার এগুলো কারো কাছে মজা লাগে?
কয়েকদিন আগে দোকানে ঘাঁটাঘাঁটি করতে করতে হঠাত্ একটা ডিভিডি পেয়ে গেলাম। একই সাথে Saw সিরিজের পাঁচটা এবং Halloween সিরিজের দুইটা মুভি। কি মনে করে কিনেই ফেললাম। দেখার ইচ্ছা ছিল না, তবুও কি মনে করে দেখা শুরু করে দিলাম। এ যেন অনেকটা নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি বা ভয়ের জিনিসের প্রতি রহস্যময় আকর্ষণ। যেহেতু সবগুলোই আছে, তাই সিরিয়াল অনুযায়ী প্রথমেই দেখা শুরু করলাম সিরিজের প্রথম মুভিটা – স (saw)। দেখতে গিয়ে তো আমার আক্কেল গুড়ুম! স ফোর বা ফাইভের মতো বিভত্স বা স্যাডিস্ট তো নয়ই, বরং এটাকে অসাধারণ একটা থ্রিলার বললেও ভুল হবে না। প্রতি মুহূর্তে উত্তেজনা; আগে কি হয়েছিল, পরে কি হয়, জানার কৌতূহল। আর মুভির শেষ মুহূর্তে যে চমকটা দিল, সেটা তো তুলনাহীন! বলা যায় দেখার মতো একটা একটা সিনেমা। তাই ভেবেচিন্তে এটার একটা রিভিউ লিখেই ফেললাম।
এক নজরে স (Saw)
রেটিং :
7.5 – 8.0 (আমার নিজস্ব)
7.7 (IMDB)
পরিচালক : James Wan
মুক্তি : 29 October 2004 (USA)
ক্যাটাগরি : Crime | Horror | Mystery | Thriller
অভিনয়ে :
Leigh Whannell (অ্যাডাম)
Cary Elwes (ডাঃ লরেন্স গর্ডন)
Danny Glover (ডিটেকটিভ ডেভিড ট্যাপ)
Ken Leung (ডিটেকটিভ স্টিভেন সিং)
Michael Emerson (জেপ হিন্ডল)
Shawnee Smith (অ্যামান্ডা)
Makenzie Vega (ডায়ানা গর্ডন)
Monica Potter (অ্যালিসন গর্ডন)
পুরো কাহিনী :
সিনেমা শুরু হয় পানিপূর্ণ একটা বাথটবে ফটোগ্রাফার অ্যাডামের জ্ঞান ফিরে পাওয়ার মাধ্যমে। জ্ঞান ফিরে পেয়ে অ্যাডাম বাথটবে নিমজ্জিত অবস্থাতেই পা দিয়ে টেনে বাথটবের প্লাগটা খুলে দিতে সমর্থ হয়। ফলে পানি নেমে যেতে থাকে। পানির সাথে সাথে নীল রংয়োর ছোট একটা বস্তুকেও এক পলকের জন্য নেমে যেতে দেখা যায়।
বাথটব থেকে উঠে অ্যাডাম আবিষ্কার করে যে, বন্ধ বাথরুমটাতে সে একা নেই। আরেকজন লোক আছে যার নাম ডাঃ লরেন্স গর্ডন। তাদের দুজনকেই পায়ে লোহার শিকল লাগানো অবস্থায় বাথরুমের দুই কোণে আটকে রাখা হয়েছে। তাদের দুজনের মধ্যবর্তী স্থানে, দুজনেরই নাগালের বাইরে একটা মৃত লোক উপুড় হয়ে পড়ে আছে, যার শরীর থেকে বের হওয়া রক্তে ঘর ভেসে যচ্ছে। মৃত লোকটার একহাতে একটা রিভলভার এবং অন্য হাতে একটা ছোট ক্যাসেট প্লেয়ার।
অ্যাডাম এবং গর্ডন দুজনেই তাদের পকেটে একটা করে ছোট ক্যাসেট আবিষ্কার করে। ক্যাসেটের সাথে গর্ডনের পকেটে একটা বুলেট এবং চাবিও পাওয়া যায় কিন্তু সেই চাবি দুজনেরই শিকলের তালা খুলতে ব্যর্থ গয়। অ্যাডাম তার শার্ট খুলে সেটা দিয়ে মৃত লোকটার হাতের ক্যাসেট প্লেয়ারটা টেনে সেটাতে ক্যাসেট দুটো চালায় এবং উভয়েই ক্যাসেটের কন্ঠস্বরের মাধ্যমে জানতে পারে যে, ভোর ছয়টার আগেই যদি ডাঃ গর্ডন অ্যাডামকে খুন করতে না পারে, তাহলে তার স্ত্রী-কন্যাকেও মেরে ফেলা হবে এবং তাদেরকে এই বাথরুমে চিরকালের জন্য আটকা পড়ে থাকতে হবে।
ক্যাসেটের কন্ঠস্বর তাদেরকে কিছু রহস্যময় হিন্ট দিয়েছিল, যার মাধ্যমে গর্ডনের বুদ্ধি অনুযায়ী অ্যাডাম কমোডের পেছন থেকে দুটো করাত উদ্ধার করে। কিন্তু কিছুক্ষণ চেষ্টা করে দুজনেই বুঝতে পারে সেগুলো দিয়ে মোটা লোহার শিকল কাটা সম্ভব নয়। ডাঃ গর্ডন শেষ পর্যন্ত উপলদ্ধি করে যে, হ্যাক-স গুলো আসলে শিকল কাটার জন্য দেওয়া হয় নি, ওগুলো দেওয়া হয়েছে তাদের পা কাটার জন্য।
এই সময় ডাঃ গর্ডনের পুরানো কথা মনে পড়ে যায়। সে বুঝতে পারে তাদেকে যে বন্দী করেছে, সে আসলে মিডিয়াতে বহুল আলোচিত ভয়ংকর খুনী দ্যা জিগ-স কিলার; যে নিজ হাতে খুন করে না, বরং খুন করার পরিস্থিতি তৈরি করে। এই খুনী বিভিন্ন ধরনের অপরাধীদেরকে বন্দী করে তাদের উপর এক ধরনের পরীক্ষা চালায়। সে তাদেরকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কিছু ভয়ংকর কাজ করার নির্দেশ দেয়। মাথা ঠান্ডা রেখে বুদ্ধি খাটিয়ে সেগুলো ঠিকমতো করতে পারলে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসা যায়। আর না পারলে নিশ্চিত মৃত্যু। তার মতে অধিকাংশ মানুষই বেঁচে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না। তাই সে এ ধরনের অকৃতজ্ঞদেরকে একটা পরীক্ষার সম্মুখীন করে, যেন যদি তারা বাঁচতে পারে তাহলে যেন সেই জীবনের জন্য কৃতজ্ঞতা অনুভব করে।
এদিকে অ্যাডামের সাহায্যে গর্ডন একটা বক্স খুঁজে পায় যেটাতে দুইটা সিগারেট, একটা লাইটার এবং একটা চিরকুট পাওয়া যায়। চিরকুটটা পড়ে গর্ডন বুঝতে পারে যে, অ্যাডমকে খুন করার জন্য কোন অস্ত্রের দরকার নেই। মেঝেতে যেই লোকটা খুন হয়ে পড়ে আছে, তার রক্তে যে বিষ আছে, সিগারেটটা সেটাতে একটু ভিজিয়ে অ্যাডামকে খেতে দিলেই অ্যাডাম বিষক্রিয়ায় মারা যাবে। গর্ডন লাইট বন্ধ করে দিয়ে অন্ধকারে ফিসফিস করে অ্যাডামের সাথে ষড়যন্ত্র করে, যেন ভিডিও ক্যামেরার মাধ্যমে নজর রাখা খুনী কিছু বুঝতে না পারে। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী অ্যাডাম সিগারেট খেয়ে মারা যাওয়ার ভান করে। কিন্তু হঠাত্ করেই লোহার শিকলের মাধ্যমে তড়িত্ প্রবাহ এসে তার ভান ফাঁস করে দেয়। তারা বুঝতে পারে এই খুনীকে ধোঁকা দেওয়ার কোন উপায় নেই।
গর্ডনের খুঁজে পাওয়া বক্সে একটা মোবাইল ফোনও ছিল, যেটা দিয়ে কোন কল করা যায় না শুধু রিসিভ করা যায়। হঠাত্ ফোনটা বেজে উঠে এবং গর্ডন তার স্ত্রী অ্যালিসনের কাছ থেকে জানতে পারে যে তারাও বন্দী। তার স্ত্রী তাকে এটাও জানায় যে, অ্যাডাম ভান করছে, সে আসলে গর্ডনকে চিনে। অ্যাডাম ব্যাখ্যা করে যে, একজন লোক তাকে গর্ডনের গতিবিধির উপর নজর রাখার জন্য এবং তার ছবি তোলার জন্য তাকে টাকা দিত। গর্ডন বুঝতে পারে, লোকটা হচ্ছে ইন্সপেক্টর ট্যাপ, যে জিগ-স কিলারের আগের খুনের জায়গায় গর্ডনের হাতের ছাপযুক্ত কলম পাওয়ায় গর্ডনকেই খুনী বলে সন্দেহ করছিল।
অ্যাডাম তার তোলা ছবিগুলো গর্ডনের দিকে ছুঁড়ে দিতে গিয়ে লক্ষ করে যে, গর্ডনের বাড়ির জানালায় আরেকটা লোকের আবছা অবয়ব দেখা যাচ্ছে। ছবিটা দেখেই গর্ডন লোকটাকে চিনে ফেলে। সে বুঝতে পারে খুনী কে। কিন্তু ততোক্ষণে তার টাইমলাইন শেষ হয়ে গেছে। ছয়টা বেজে গেছে।
===== ===== =====
নিচের অংশটাই আসল কাহিনী। কিন্তু আপনি যদি মুভিটি না দেখে থাকেন, তাহলে নিচের অংশটুকু পড়লে মুভি দেখার মজা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
===== ===== =====
ছবি দেখে গর্ডন লোকটাকে চিনতে পারে। লোকটা হচ্ছে তার হাসপাতালের আর্দালি জেপ। ঠিক ঐ সময় জেপ গর্ডনের বাসায় তার স্ত্রী-কন্যাকে আটকে রেখে স্ক্রীনে গর্ডন এবং অ্যাডামের উপর নজর রাখছিল। সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ায় সে স্ক্রীন বন্ধ করে দিয়ে গর্ডনের স্ত্রী অ্যালিসনের হাতে মোবাইল ফোন দিয়ে শেষ বারের মতো তাকে গর্ডনের সাথে কথা বলতে দেয়। অ্যালিসন আগেই হাতের বাঁধন কেটে ফেলেছিল। সে জেপের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। দুজনের ধস্তাধস্তির সময় রিভলভার থেকে কয়েকটা গুলি বেরিয়ে পড়ে। পাশের বিল্ডিং থেকে নজর রাখা ডিটেকটিভ ট্যাপ গুলির শব্দ শুনে ছুটে আসে। এই সুযোগে অ্যালিসন তার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায়। জেপ এবং ট্যাপ দুজনেই আহত হয়। জেপ গাড়ি নিয়ে পালাতে থাকে এবং ট্যাপ তাকে ধাওয়া করতে থাকে।
এদিকে গর্ডন ফোনে গুলির আওয়াজ শুনে উন্মাদপ্রায় হয়ে পড়ে। উপায় না দেখে সে হ্যাক-স দিয়ে তার পা কেটে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে এসে মাঝখানের মৃত লোকটার হাত থেকে পিস্তল নিয়ে অ্যাডামকে গুলি করে। অ্যাডাম ঢলে পড়ে যায়। এমন সময় জেপ ট্যাপকে খুন করে বাথরুমে এসে ঢুকে। সে দেখতে পায় যে গর্ডন অ্যাডামকে খুন করেছে। কিন্তু সে মাথা নেড়ে বলে, অনেক দেরি হয়ে গেছে, তাই গর্ডনকেও মরতে হবে। কারণ এটাই হচ্ছে রুল। সে গর্ডনকে মারতে উদ্যত হয়। এমন সময় অ্যাডাম উঠে জেপকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং কমোডের ঢাকনা দিয়ে মাথায় বাড়ি দিয়ে খুন করে। তখন বুঝা যায় যে, গর্ডনের গুলি আসলে অ্যাডামের বুকে লাগে নি, কাঁধে লেগেছিল।
গর্ডন অ্যাডামের জন্য সাহায্য আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেরিয়ে যায়। অ্যাডাম জেপের পকেটে শিকলের তালার চাবি খুঁজতে থাকে। চাবির পরিবর্তে সে তার পকেটে একটা ক্যাসেট প্লেয়ার পায়। সেটা চালু করে সে বুঝতে পারে যে, জেপ আসলে মূল খুনী না। সেও তাদের মতোই একজন শিকার, যাকে জিগ-স কিলার এই কাজগুলো করতে বাধ্য করেছিল। এমন সময় মাঝখানের সেই মৃত লোকটা উঠে দাঁড়ায়। সে তার মুখোশ খুলে হাতে নেয়। অ্যাডাম তাকে চিনতে পারে। লোকটা হচ্ছে জন ক্র্যামার, গর্ডনের হাসপাতালের একজন ব্রেইন ক্যানসার রোগী।
জিগ-স কিলার অ্যাডামকে জানায় যে, তাদের শিকলের চাবিটা ছিল বাথটবের ভিতর। অ্যাডাম বুঝতে পারে ওটা পানির সাথেই তলিয়ে গিয়েছিল। অ্যাডাম জিগ-স কে গুলি করতে উদ্যত হয় কিন্তু তার আগেই জন রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে অ্যাডামকে ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে ফেলে দেয়। বেরিয়ে যাওয়ার আগে সে তার প্রিয় বাক্যটা উচ্চারণ করে : অধিকাংশ মানুষই জীবনের প্রতি অকৃতজ্ঞ। কিন্তু তুমি আর অকৃতজ্ঞ হবে না। এরপর গেইম ওভার ঘোষণা করে অ্যাডামকে চিরকালের জন্য বন্ধ ঘরে আটকে রেখে জিগ-স কিলার বেরিয়ে চলে যায়।
কিছু ট্রিভিয়া :
১। এই সিনেমার তৈরি করা হয়েছে মাত্র ১৮ দিনে। এর মধ্যে বাথরুম দৃশ্যগুলোর শুটিং করা হয়েছে মাত্র ৬ দিনে। অভিনেতারা কোন রকম রিহার্সাল ছাড়াই সরাসরি অভিনয় করেছে।
২। সিনেমার অধিকাংশ ভয়ের দৃশ্যই পরিচালক জেমস ওয়ান এবং সহকারী কাহিনীকার ও অভিনেতা লেই ওয়ানেল এর ছোটকালে দেখা দুঃস্বপ্ন থেকে নেওয়া।
৩। যে দৃশ্যটাতে গর্ডন লাইট বন্ধ করে অ্যাডামের সাথে ফিসফিস করে কথা বলে, সেটা মূল স্ক্রিপ্টে অন্যরকম ছিল। স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী গর্ডন এবং অ্যাডাম দুজনেই তাদের হ্যাক-স দিয়ে একটা পাইপ কেটে তার ভেতর দিয়ে কথা বলার কথা ছিল। দৃশ্যটা শূটও করা হয়েছিল। কিন্তু পরে পরিচালকের মাথায় আসে যে, তারা যদি হ্যাক-স দিয়ে পাইপ কাটতে পারে, তাহলে আরেকটু চেষ্টা করলে শিকল কাটতে না পারার কোন যুক্তি থাকে না।
কিছু ভুল :
১। ডাঃ লরেন্স যখন প্রথমবার মোবাইল ফোনে কথা বলার পরে কানেকশন কেটে যায়, তখন ডায়াল টোন শোনা যেতে থাকে। কিন্তু বাস্তবে মোবাইল ফোনে ডায়াল টোন থাকে না।
২। ডিটেকটিভ ট্যাপ এর অ্যাপার্টমেন্টের দেয়ালে সাঁটা সংবাদপত্র থেকে কেটে নেওয়া শিরোণামগুলো যখন ক্লোজ আপে দেখানো হয়, তখন দেখা যায় যে শিরোণামের নিচে যে বিস্তারিত সংবাদ দেওয়া আছে, তার সাথে শিরোণামের কোন সম্পর্ক নেই।
৩। ডিটেকটিভ সিং যখন ডাঃ গর্ডনকে অ্যামান্ডার অভিজ্ঞতার কথা শুনতে বলে, তখন সে বলে, আমি চাই আপনি অ্যামান্ডার টেস্টিমনি শুনুন। কিন্তু অ্যামান্ডার বক্তব্য ছিল একটা সাধারণ স্টেটমেন্ট, কোন টেস্টিমনি না। কোন ডিটেকটিভের এই দুইটা বহুল ব্যবহৃত শব্দের পার্থক্য না জানার কথা না।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৭