টোকন ঠাকুর
শেষের পরে
হতে পারে, সব কথা শেষ হয়ে গেছে
সব ভাষা চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে তুসোর জাদুঘরে
যতিচিহ্ন মুছে গেছে সব, রাস্তায় কোনো বিশ্রাম-বিরতি নেই
গন্তব্যপুরের গ্রাম আর চোখেই পড়ে না
তাহলে, এর পরের অবস্থা কী?
কী রেখে যাচ্ছি তবে পুরোনো নদীর কাছে, যে নদীতে একদিন
ভেসে গেছে বেহুলাবান্ধব ঢেউ, সহস্র কবিতা!
কী এঁকে রাখছি তবে চিরকালের মহাদিগন্ত-ফলকে?
কথা যদি শেষ হয়ে যায়, ভাষা যদি লিখে দেয় ‘সমাপ্ত’
কী দিয়ে যাচ্ছি তবে তরুণ কবির হাতে? কী? কী?
তারই-বা কী হবে, কেবলই নতুন বাক্যে ডুব দিয়ে সারা রাত নির্ঘুম
যে মেয়েটি একটি নতুন কবিতা পড়েই পোড়ে ধিকিধিকি!