প্রথমত বলি অামার ওনারে নিয়া কখনওই চুলকানি নাই। যাদের ওনারে নিয়া চুলকানি লাইনগুলা তাদের জন্য।
হ্যা ভাই ড. মাহফুজুর রহমান এবার ঈদেও তার একক সঙ্গীতানুষ্ঠান করেছেন। এইবার মেইন ঘটনায় অাসি, এই মানুষটা বরাবরই একটু সাংস্কৃতি মনা মানুষ। বহু বছর মিডিয়া নিয়া ওনার কাজ বাজ। তাই এই সবের প্রতি ওনার প্রবল অাগ্রহ। মিডিয়ার জন্য ওনার অবদান অনেক। কি কি অবদান এইগুলা ঘেটে দেখেন, সব জানতে পারবেন। ঘটনা হলো, ওনার বউয়ের ইন্সপ্রেশনে উনি গতবছর কয়েকটা গান বের করলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় উনি তো পুরাই ভিলেন অপরাধী হয়ে গেলো। ভাই রে ভাই, বাঙালী তাই নিয়া লেবু কচলাইতে কচলাইতে একদম যক্ষা তিতা বানায়ে ফেললো। অামি এইটাই বুঝলাম না, বাঙালীর ওনারে নিয়া এত চুলকানি কেন! কথা হইলো, উনি ওনার চ্যানেলে, ওনার খরচে গান প্রচার করছে, অাপনাদের কি সমস্যা ভাই, ওনারে বহুরূপী বানাইলেন। ট্রাস্ট মি, ওনার সম্পর্কে অামার হাস্যকর একটা ধারনা ছিলো, এবার জয়ের সেন্স অব হিউমারে ওনার পুরা ইনটারভিউ দেখে ওনারে নিয়া অামার দৃষ্টিভঙ্গি বদলিয়ে গেছে। ওনারে তারপর থেকে অামি অনেক রেসপেক্টট করি। ঐ খানে যা যা বলছে তা ১০০% ঠিক বলছে। যাগগে গতবারের ঘটনা,
তো এইবার কি হইলো, উনি এবারও গান বের করলো, হ্যা রে ভাই ওনার গান। উনি এবারও ওনার গানের অনুষ্ঠান করবেন ঘোষনা দেয়ার পর থেকেই বাঙালীর যেন বর্ষা কালের চুলকানি অারম্ভ হয়ে গেলো, তারে নিয়া ইভেন্ট খুললো বাঙালী, কত ট্রোল, অার কত কি.....
ভাই শোনেন, কি হইলো এইসব করে?
অাপনি শুনতে অবাক হবেন ওনার এবারের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন উপমহাদেশের অন্যতম লিজেন্ডারি শিল্পী বাপ্পি লাহিড়ী। হ্যা ভাই, অারো শুনে অবাক হবেন এবং জ্বলবেন এটা শুনে, এ যাবৎ কালের এটিএন বাংলায় প্রচারিত সকল অনুষ্ঠান থেকে ওনার এই অনুষ্ঠানের টিঅারপি সবচেয়ে বেশী ছিলো, এবং এবারের ঈদের সব গুলা টেলিভিশন চ্যানেলে যতগুলা ঈদের অনুষ্ঠান হইছে তার মধ্যে এটার টিঅারপি সবচেয়ে বেশী ছিলো। অাপনি তারে গালি দিছেন, একদম গুষ্ঠি উদ্ধার করে দিছেন, অারো যা যা অাপনার সীমা অাছে সবই করছেন, করে কি ছিড়ছেন ভাই, বরং উনি কোটি কোটি টাকা কামাইছে। অাসলে এইসব করে ওনার কিছুই হবে না। উনি দেখতে অাবাল হইলেও ওনার মাথায় মাল অাছে, গোবর দিয়া বায়োগ্যাস কিভাবে বানাতে হয় সেটা মনেহয় ওনার থেকে কেউ ভাল যানে না, উনি একটা পাক্কা বিজনেস ম্যান।
গতবছরের গানগুলা অাপনাদের চুলকানির কারনেই একটু একটু হলেও শুনছি গতবছরের গানগুলা ততোটা ভাল ছিলো না, তো এইবার ওনার গানগুলা যথেষ্ট বিরক্তিকর হলেও অামি ধৈর্য ধরে শুনেছি,
ভাই, থামেন, অাপনারা যেমন সমালোচনা করেছেন ঐ লেভেরের খারাপ না, বরংচো, বাংলাদেশের অনেক শিল্পী থেকেও ভাল। সুতরাং এইসব কাঁদা ছুড়াছুঁড়ি বন্ধ করাই মনেহয় ভাল।
অামি যাদের জ্ঞানী ভাবতাম, যথেষ্ট সম্মান করতাম, তারাও দেখি ওনারে নিয়া চুলকায়। যারা ওনার গানের ভুল ধরছেন, তাদের বলবো ভাই, নিজে নিজে একটা গান ফোনে রেকোর্ড করে শুনেন যে অাপনার কন্ঠটা কেমন,
মিউজিকের সাথে কেমন শোনায়, তাহলে অার এমন কথাবার্তা বলবেন না। বরং ওনার প্রতি রেসপেক্ট বেড়ে যাবে। উনি যথেষ্ট ভাল করেছে। এইসব নেগেটিভ মানসিকতা বাদ দেয়াই মনেহয় ভাল।
অামরা বাঙালীর হইলাম হাই ক্লাসের হারামী, একজনকে নিচে নামিয়ে নিজে উপরে উঠতে চায়, যেটা বড়ই দুঃখজনক। কিছু একটা পেলেই তারে নিয়া চুলকানো বাঙালীর অভ্যাসে পরিনত হইছে। একটা শ্রেনীই অাছে যাদের কাজ হলো ওনার পিছে লাগা। উনি চুল এমন কাটল
কেন, উনি প্যান্ট ঐ ভাবে পরে কেন, উনারে দেখতে ওমন কেন, ওনার বউ গান গায় কেন, ওনার বউ দেখতে এত সুন্দর কেন, ওনার নামের অাগে ডক্টর কেন, উনি উপন্যাস লিখলো কেন, এত টাকা কেন, উনি কখন পাদ দিলো, কখন কি বললো এইসব নিয়া চুলকানোই তাদের একমাত্র কাজ।
উনি যাই করুক ভাই তাতে অাপনার সমস্যা কি?
অাপনার এত জ্বলে কেন?
যখন দেখি, হিরো অালমের মতো লোকজনকে সেলিব্রেটি বানিয়েছিলো, ওরাই ওনার বদনাম করে।
হায়রে বাঙালী, পজেটিভ হলে, সব যায়গাই পজেটিভ হওয়া জরুরী। ওনারে অামাদের এপ্রসিয়েট করা উচিত ছিলো।
শেষমেশ বলবো, লোকটারে নিয়া যা করলেন, ঠিক করলেন না, অার কি এমন করছেন! কিছুই না। উনি সামনে অাবার বের করবে। উনি যদি রজনীকান্তের মতো হিরো হিসেবে অর্বিভাব ঘটান তা হইলেও অবাক হবার কিছু নাই। ওনার টাকা অাছে ভাই। অাপনার ইচ্ছা হইলেও অাপনিও এমন কিছু করেন।
অাপনার ইচ্ছা হলে ওনার গান শুইনেন, না হইলে না।
তবে লোকটা অাপনার মাথার উপরে বাঁশ দিয়া বাড়ি দেয় নাই যে লোকটারে অাপনি গালিগালাজ করবেন। এটা ঠিক না ভাই। ওনারে ওনার মতো থাকতে দেন, সেটাই ভাল। কথা হইলো, চর্ম যেমন অাপনার, হস্ত যেমন অাপনার, চুলকাবেন যেমন অাপনি, তেমনি উনিও ওনার গতিতে চলবে।
এটাই ভারসাম্য।
পারলে অামারে নিয়াও চুলকানি শুরু করে দিয়েন।
(বিঃ দ্রঃ উনি অামার অাত্মীয় স্বজন লাগে না । শান্তি চাই শান্তি।)
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬