মেয়েটিকে ইচ্ছেমত ধর্ষণ করে.. সেখানে ১টা কগজে টুকরোতে লিখে দিয়ে গেলো ধর্ষকের শাস্তি চাই, এমন শাস্তি চাই যেন কোনদিন আর কোন পুরুষ কোন মেয়ের দিকে চোখ তুলে তাকাবার সাহস না পায়।।
ধর্ষককে ধরতে পারলে স্তরে স্তরে কেটে ওর গায়ে লবণ মেখে রোদে শুকাতে দেওয়া উচিৎ... ধর্ষকের লিঙ্গকে ব্লেড দিয়ে কেটে খণ্ড খণ্ড করে গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া উচিৎ!
কেউ জানলো না কে এই মহৎ ধর্ষক, তারপরদিন মেয়েটির জন্যে যখন রোজকার মতো সবাই মিলে মানববন্ধনে.. ঠিক ওখানে সে মানুষটিকেও দেখা গেলো অন্যসবার মতো করে সেও স্লোগান দিচ্ছে আর চিল্লাচ্ছে এসব আর সে সহ্যকরবে নাহ, ধর্ষকের এবার বিচার করতে হবে হবেই।।
এতক্ষণ যা বুঝাতে চেয়েছি তা হচ্ছে, আসলে ধর্ষক বলতে সমাজে আলাদা করে কেউ নেই, প্রায় প্রতিটা পুরুষই কমবেশি ধর্ষক.. শুধু সুযোগ আর সাহসের অভাবে আজ সবাই ভালো মানুষ.. এরা শরীর স্পর্ষ না করলেও চোখ দিয়ে ঠিকই প্রতিনিয়ত ধর্ষন করে যাচ্ছে।।
এই যে ধর্ষণের বিচার চেয়ে, রোজরোজ এতো মিছিল সভা, সমাবেশ হচ্ছে.. ফেসবুকে পোস্ট শেয়ার করে করে তীব্র নিন্দা জানানো হচ্ছে এই আমাদের মধ্যেই হয়তো লুকিয়ে আছে কোন না কোন মেয়ের অতীত/ ভবিষ্যৎ ধর্ষক।।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৭