প্রথম বর্ষের ছাত্রী নুসাইবা দেখতে সুন্দর, পরিপাটি চেহারা,ব্যাক্তিত্তের আভাস আছে তাঁর দুইচোখে। আর দশটি মেয়ের মতই স্বাভাবিক জীবন যাপনেই বেশ কেটে যাচ্ছিল তার দিন গুলো। ভোরে ঘুম থেকে ঊঠা, ফজরের নামাজ আদায় করা, নাস্তা বানাতে মা কে সাহায্য করা, বাবার জন্য নিজ হাতে রঙ চা বানানো, সবই ছিল তার প্রাত্যহিক কাজের ছক। বাবা-মার এক মাত্র সন্তান নুসাইবা। আদরেরও কমতি ছিল না তাই।
বাসার খুব কাছেই ছিল তার কলেজ, ২ বান্ধবি মিলে একসাথে হেটেই চলে যেতো।
সেদিন ছিল সোমবার, প্রতিদিনের মত কিছু বখাটে ছেলে তাদের পথ রোধ করে বাজে মন্তব্য করলো। প্রতিবাদ করলো নুসাইবা কিন্তু তাতে ফল হল বিপরীত, একটি ছেলে জোর করে নুসাইবার হাত ধরে বসলো, শুধু তাই নয় হাতে একটি ফুল দিয়ে বললো বেশি বাড়াবাড়ি করলে এর পর সোজা তুলে নিয়ে যাবো। নুসাইবা ও তার বান্ধবী অসহায়ের মত দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করতে পারলো না। যাই হোক, সেদিনের মত তাদেরকে ছেড়ে দিলেও, নুসাইবা ব্যাপারটা সহজ ভাবে নিতে পারেনি।
নুসাইবা, পুরা ঘটনাটা তার Facebook বন্ধুদের সাথে শেয়ার করলো এবং জানতে চাইলো এর প্রতিকার কি?? একইসাথে, অনলাইনে শুরু করে দিলো খোঁজা, কি করে এই বখাটেদের শায়েস্তা করা যায় এবং পেয়েও গেলো উপায়!!!
৩ দিন পর আবারো সেই বখাটে ছেলে গুলো পথ রোধ করে তাদের বাজে কথা বললো, হাত ধরে ফুল গুঁজে দিল, অশ্লীল মন্তব্য করলো। কিন্তু এবার নুসাইবা কলেজে না গিয়ে সরাসরি থানায় গেলো। থানার কর্তব্যরত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পুরো ঘটনাটি খুলে বললো এবং ফেসবুকের একটি অনলাইন দোকান থেকে কেনা Spy Hidden Camera In Glass এ রেকর্ড করা পুরা ঘটনাটির ভিডিও এবং অডিও ফুটেজ থানার ওসি কে দিলো।
ব্যস! সাথে সাথে একশন!! পুলিশের কাছে প্রমান থাকায় বখাটে ছেলেগুলোর জামিন পাওয়ার কোনো উপায় ছিল না। সরাসরি কারাগারে পাঠানো হল সবগুলাকে!!!
Spy Hidden Camera In Glass
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ২:৫০