somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পরীক্ষাপদ্ধতি পরিবর্তনের যে কথাগুলো আগেও বলেছি

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শিক্ষার লক্ষ্য ও শিক্ষার উদ্দেশ্য-
প্রথমে ঠিক করতে হবে, শিক্ষা কি, শিক্ষার দর্শণ কি? শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যই বা কি? আমরা জানি যে, শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে জ্ঞানঅর্জন এবং উদ্দেশ্য হচ্ছে বাস্তব জীবনে তার প্রয়োগ। সেই শিক্ষা কিভাবে অর্জন করা যায়? কোথায় তা আছে? কিভাবে এবং কোন প্রক্রিয়ায় তা পাওয়া সম্ভব, তার দক্ষতা ও কৌশল জানার-শেখার মূল জায়গাটা হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আর তারজন্য প্রয়োজন উপযুক্ত ব্যবস্থা। সরকার স্বীকৃত শিক্ষার বিভিন্ন ধারারই একাধিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আছে! যারা শিক্ষার মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে- সেটাকেও শিক্ষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে! শিক্ষাখেত্রের এই নৈরাজ্য দূর করা জরুরী। তারজন্য ব্যাপক পর্যায়ক্রমিক উদ্যোগ দরকার।

বাংলাদেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক কাঠামো ও প্রবণতায় কেমন ধরণের শিক্ষাব্যবস্থা দরকার তার বৈজ্ঞানিক সিন্ধান্ত ও কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন। শিক্ষার প্রধানত দুইটা দিক একটি হচ্ছে তাত্ত্বিকশিক্ষা অন্যটি প্রায়োগিক শিক্ষা। তাত্ত্বিকদিক প্রধানত ক্লাস-পাঠ ছাত্র-শিক্ষকের অংশগ্রন ভিত্তিক হয়ে থাকে, আর প্রায়োগিক শিক্ষা বিভিন্ন ও বিচিত্র ভাবে হবে পারে। সে ক্ষেত্রে দেশের সম্পদ, অবকাঠামো, বরাদ্দ ও বাস্তবতার সাথে সঙ্গতি রেখে কৌশল নির্ধারণ করতে হবে।

প্রশ্নপত্র ফাঁস ও নকল বন্ধ, কোচিং বাণিজ্য দূর করতে, পরীক্ষাপদ্ধতির আমুল পরিবর্তন দরকার। কেন প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়? কেন নকল হয়? কেন কোচিং বাণিজ্য বন্ধ হয় না? কারণ শিক্ষার্থীর মাথায় একটি বিষয়ই সেই সময় কাজ করে তা হচ্ছে, কোন মূল্যে তাকে কৃতকার্য হতেই হবে, ভাল করতেই হবে! সারাবছর সে স্কুল-ক্লাসে যা করুক না কেন চুড়ান্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই বিষয়টি নির্ধারিত হবে। এই মনোভাবই ছাত্রদের বেপরোয়া করে এবং অনৈতিক পথের সন্ধান করে! আর একশ্রেণীর অসাধু সুযোগসন্ধানী এই অবস্থার সুযোগ নেয় এবং অনৈতিক বাণিজ্য করে। বছরব্যাপী ধারাবাহিক স্কুল পারফরমেন্সের মাধ্যমে, মেধার মূল্যায়ন হলে, এই বিপদজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না বল মনে করি।


১. কেমন পরীক্ষা পদ্ধতি দরকার
একেকটি সাবজেক্ট ১০০ মার্কের হলে, সারাবছর ক্লাস, লেকচার, টেস্ট, প্রেজেনটেশন, প্রজেক্ট, এ্যাসাইন্টমেন্ট, এক্সারসাইজ ইত্যাদির জন্য ৭০ শতাংশ মার্কস বরাদ্দ থাকবে, আর চুড়ান্ত পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ থাকবে ৩০ শতাংশ মার্কস। তারমানে একজন ছাত্রকে পাশ করতে হলে, তাকে অবশ্যই সারাবছর ক্লাসের বিষয়গুলো অনুসরণ করতে হবে। মেধা ও পাশ-ফেলের বিষয়টি সেখানেই নির্ধারিত হবে। সারাবছরের ৭০ শতাংশ নাম্বারের সাথে চুড়ান্ত পরীক্ষার ৩০ শতাংশ নাম্বার যুক্ত হয়ে চুড়ান্ত মেধার গ্রেডিং নির্ধারিত হবে। কেউ যদি কোন কারণে চুড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ না নিতে পারে, তাহলেও সে কৃতকার্য হতে পারে, যদি সে পাশের সর্বনিম্ন নাম্বার অর্জন করে। অনেক উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পরীক্ষাপদ্ধতির এই স্বীকৃত ধারা বিদ্যমান।

২. স্কুলই হবে লেখাপড়ার প্রাণকেন্দ্র
লেখাপড়ার জন্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্যই লেখাপড়া! অফিস যেমন কাজের জন্য। বাসাবাড়ী হবে পারিবারিক সময়ের জন্য। দৃষ্টিভোঙ্গী হতে হবে ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই তাদের লেখাপড়ার কাজগুলো শেষ করবে। লেখাপড়া, জ্ঞানাঅর্জন, গবেষণা ও সেগুলোর যথাযথ জানাবোঝার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। বইগুলো থাকবে তাদের কাছে বা লাইব্রেরীতে রেফারেন্সের জন্য, কাজের জন্য। কোন বিষয় মুখস্ত করে মাথায় নিয়ে ঘোরার দিন শেষ। এখন তথ্যপ্রাপ্তির উৎস এত সহজ যে, তা আর মস্তিষ্কে নিয়ে ঘোরার বিষয় নয়। কেবল জানা থাকতে হবে’ প্রয়োজনের সময় জ্ঞানকে কাজে লাগানোর বহুমাত্রিক কৌশল, পদ্ধতি ও দক্ষতা।

৩. ক্লাসের সময় ও বিষয়ে গতানুগতিকতা নয়
ক্লাসের সময় বাড়াতে হবে। একেকটি ক্লাস হবে ৯০ মিনিট। এবং প্রতিদিন ৩ থেকে ৪টি বিষয়ে ক্লাস হবে। প্রতিদিন ৮-১০ বিষয়ে ক্লাস হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য মানসিক চাপ, এবং টানা অনেক গুলো বিষয় পড়ানো-শেখানো বিজ্ঞানসম্মতও নয়। কেবল লেকচারভিত্তিক ক্লাস নয়, অংশগ্রহন, রিফ্রেশমেন্ট, আনন্দময়, আড্ডাময় ও বন্ধুত্বমুলক করতে হবে।

৪. পাঠ্যপুস্তকের ধারা ও বিষয় বিন্যাস জরুরী
পাঠ্যপুস্তকের ভার-বোঝা কমাতে হবে। শিশুকাল থেকেই ৩-৪টি ভাষা ও অনেকগুলো বিষয় পড়ার চাপে তাদের সুস্থ ও স্বাভাবিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। শেখা ও জানার আনন্দ তাদের কাছে আতঙ্কের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। তাদের জীবনে কোন দূরন্ত শৈশব নেই! কেবল ভাষা শিক্ষা (কিভাবে লিখতে হয় ও পড়তে হয়) ও অংকের খেলা ওদের জন্য বাধ্যতামুলক হওয়া উচিত। তারসাথে থাকবে আঁকাআঁকি, খেলাধূলা, গানবাজনা, পর্যায়ক্রমে, সমাজ, বিজ্ঞান, প্রকৃতি, পরিবেশ, নীতিশিক্ষা, কম্পিউটার, কলাসহ নিত্য নতুন বিষয় যুক্ত করতে হবে। শিশু-কিশোররা যে করতে ভালবাসে সে সব বিষয় যুক্ত করতে হবে, আঁকাআঁকি, ফটোগ্রাফি, ডিজাইন, শেলাইপরাই, কম্পিউটার, সঙ্গীত, যন্ত্র, শিল্পকলা, হাতের কাজ, বাগান, কেনাবেচা, রান্না ও পুষ্টি, পশুপাখী, প্রাণপ্রকৃতি ইত্যাদি।

৫. তত্ত্ব নির্ভরতা ও বইয়ের ভাবনা থেকে শিক্ষাকে বের করতে হবে
শিক্ষার্থীদের মাথা থেকে বইয়ের ভাবনা সরিয়ে রাখতে হবে। জানাতে হবে জ্ঞান সর্বত্রই, বই তার সূত্রবদ্ধ রুপ মাত্র। কানাডাসহ অনেক দেশেই প্রাইমারী স্কুলের (৮ ক্লাস পর্যন্ত) ছেলেমেয়েদের প্রতিদিন বাসা-স্কুল বই টানাটানি করতে হয় না! স্কুলেই তাদের সব। সেখানেই তাদের লেখাপড়ার সবকিছু। তাদের কাছে থাকে কেবল খাতা-কলম-পেনসিল-নোট। প্রয়োজনে তারা স্কুল থেকে বই ধার নেয়। শিক্ষাকে তত্ত্ব ও মুখস্ত নির্ভরতার ধারা থেকে বের করে, তাকে ব্যবহারিক, মানবিক ও উৎপাদনমূখী করাটা খুব জরুরী।

৬. দূর্বল ও পিছিয়েপড়া শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ক্লাস
ক্লাসের দূর্বল ও পিছিয়েপড়া শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ক্লাসের ব্যবস্থা করতে হবে। সবার মেধাবুদ্ধি, মনোযোগ সবসময়ে সমান ভাবে কাজ করে না। সে কারণে খন্ডকালীন শিক্ষক বা ক্লাসের অগ্রসর শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অনগ্রসর শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধান করতে হবে। উন্নত দেশগুলোতে এটি একটি কমন প্রাকটিস।

৭. শিক্ষাক্ষেত্রে ২৫ বছরের দীর্ঘ পরিকল্পনা নিতে হবে
শিক্ষা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী ও পরিকল্পিত কোন পরিকল্পনা না নিয়ে তাৎক্ষনিক কোন পরিকল্পনা-প্রকল্প হবে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ও অধিক বিপদজনক। যেমন অতীতের অনেক তাৎক্ষনিত প্রকল্পের-পরিকল্পনার খেসারত হচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতি। শোনা যাচ্ছে, সরকার পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তনের কথা ভাবছেন। আমলা-নীতিনির্ধারকরা নতুন কোন পরিকল্পনা মানেই টাকা-পয়সা ভিত্তিক প্রকল্পতেই বেশী আগ্রহী হোন। সৎ উদ্দেশ্যে কার্যকর কোন পরিকল্পনা নিতে শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে সাথে নিয়ে পুরোব্যবস্থার সংস্কার-উন্নয়নে কমপক্ষ্যে ২৫ বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে।

৮. পরীক্ষায় নম্বর প্রাপ্তির ধারা বাতিল করতে হবে
পরীক্ষার প্রচলিত ধারা-পদ্ধতি নকল উৎসবের প্রধান কারণ! ছেলেমেয়েরা যে কারণে নকল করে পরীক্ষার সেই পদ্ধতির বাতিলই এই প্রবণতা দূর করতে পারে। সবাই চায় উচ্চ নম্বর ও গ্রেড ছেলেমেয়েদের মাথা থেকে এই ধারণা ফেলে দিতে হবে। প্রতিদিনের লেখাপড়া, শেখা ও ক্লাসটেস্টের মাধ্যমে এই কাজ শেষ করতে হবে। স্কোরসীটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পারফরমেন্স রেকর্ড করা হবে। ৪ মাস, ৬ মাস ও বছরান্তে তা প্রকাশ-প্রদান করা হবে। চুড়ান্ত পরীক্ষা হবে খুব সামান্য নাম্বারের যার সাথে পূর্বের নাম্বার যুক্ত হয়ে গ্রেডিং হবে। কিন্তু পড়া ও মূলপরীক্ষার কাজটি বছরব্যাপী স্কুলে বা ক্লাসেই হবে।

৯. আদপ-কায়দা শৃংখলা
নিয়মিত স্কুলে ও ক্লাসে উপস্থিতির বিষয়টি শিক্ষার্থীর মূল্যায়নে রাখতে হবে। ক্লাস ও পরিবারিক বলয়ে শিক্ষার্থীর আদপ-কায়দা-বিনয়-ভদ্রতা-কান্ডজ্ঞান, দায়িত্ববোধ, সময়ানুবর্তিতা ও শৃংখলার বিষয়টিকে ক্লাস পারফরমেন্সের-গ্রেডিংয়ের আওতায় আনতে হবে।

১০. উন্মুক্ত পরীক্ষাপদ্ধতি চালু করা (Open Book Exam)
বই দেখে পরীক্ষা দেয়ার উন্মুক্ত পদ্ধতিকে Open Book Exam বলা হয়। এই পদ্ধতির পরীক্ষায় ছেলেমেয়েরা যে কোন বই, ক্লাসনোট এমন কি অনলাইন সোর্সও ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু কেউ কারো সাহায্য নিয়ে পারবে না, যে যার মেধা ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র অনুয়ায়ী উত্তর লিখবে। উন্নত দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই খুব প্রচলন দেখা যায়। বাংলাদেশেও এই পদ্ধতির প্রয়োগ সময়ের দাবী মনে করি।

১১. বিভিন্ন ভার্সনের প্রশ্নপত্রের ধারা
পাবলিক পরীক্ষার সময় বিভিন্ন ভার্সনের প্রশ্নপত্রের একটি ধারা উন্নত দেশগুলোতে চালু আছে। পরীক্ষার হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন রঙের ২ থেকে ৪ ধরণের (A D C D ভার্সন) প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়। যে যে ভার্সনের প্রশ্ন পাবে তাকে সে প্রশ্নের ভার্সন অনুযায়ী লিখতে হবে, বিষয়টি পূর্ব থেকে জানারও সুযোগ থাকবে না যে কে কোনটা পাবে। এমন ক্ষেত্রে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটলে শিক্ষার্থী ও অসাধুচক্রের বাণিজ্য ও সুবিধার বিষয়টি সহজ হবে না।

১২. ইন্টারনেট বন্ধ না করে বরং তাকেই ব্যবহার করতে হবে প্রশ্নফাঁস রোধের পাল্টা কৌশল হিসেবে
প্রশ্নফাঁসের ঘটনা এবং তার প্রসার-বিস্তারের জন্য নানা ভাবে অনলাইন/ইন্টারনেটকে দায়ী করা হচ্ছে। যেহেতু প্রশ্নফাঁসে যুক্ত অসাধুচক্র অতিদ্রুত প্রশ্নপত্র পরীক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দিতে ইন্টারনেটকে ব্যবহার করছে। ইন্টারনেটের এই যুগে সংশ্লিষ্টরা কেন প্রশ্ন তৈরী করতে ২/৩ মাস ধরে লম্বা সময় নিচ্ছেন, যা কয়েক ঘন্টার মধ্যেই করা সম্ভব? প্রশ্নপত্র তৈরী করার এই দীর্ঘ সময় ও প্রক্রিয়া প্রশ্নঁফাসের অন্যতম কারণ! এবং বিভিন্ন কেন্দ্রে তা প্রেরণ করতে সাহায্য নিচ্ছেন মানুষ ও পরিবহনের যা এই দূর্ঘটনার আরেকটি বড় দূর্বলতা! কিন্তু ইন্টারনেটের এই যুগে এই কাজ ঘন্টাখানেক আগেই করে ফেলা যায়। পরীক্ষার আগে বিভিন্ন কেন্দ্রে সফট কোপি চলে যাবে এবং তাৎক্ষনিক প্রিন্টের মাধ্যমে তা পরীক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হবে। মোটকথা অসাধুচক্রের কারণে ইন্টারনেটকে ভয় না করে, ইন্টারনেট বন্ধ না করে বরং তাকেই ব্যবহার করতে হবে প্রশ্নফাঁস রোধের পাল্টা কৌশল হিসেবে।

১৩. শিক্ষার অনেক সমস্যাই অর্থের নয়, নীতি-পদ্ধতির
শিক্ষা নিয়ে অনেক কিছু ভাবার-করার আছে। এগুলো কোনটাই চীরস্থায়ী কোন বিষয় নয়, ধারাবাহিক বিষয়। সবসময় নিত্যনতুন পরীক্ষা-পর্যবেক্ষনে মধ্যে দিয়ে শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সে জন্য থাকতে হবে ধারাবাহিক ও সার্বক্ষনিক একটি মনিটরিং সেল, তাদের কাজই হবে এই বিষয়ের নতুন নতুন এক্সপেরিমেন্ট হাজির করা। এবং গ্রহন-বর্জন-সংযুক্তির মাধ্যমে তাকে অগ্রসর ও সময়োপযোগী করা।

আমাদের দেশের আমলারা যে কোন নীতি-পদ্ধতির ক্ষেত্রে টাকাপয়সা ভিত্তিক প্রকল্প নিয়ে কাজ করতে অধিক আগ্রহী। যেখানে লেনদেন আছে, আয়-ইনকাম আছে। যেমন, ঢাকার ১৫৬টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাজার কোটি টাকা খরচ করে এলিভেটর স্থাপনের সিন্ধান্ত! বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্যও অভিন্ন প্রকেল্পর কথা শুনছি! শিক্ষার হাজারো সমস্যা, যার সাথে টাকাপয়সার কোন সম্পর্ক নেই, কিন্তু সেদিকে তাদের নজর নেই। এই আত্মঘ্যাতি ও বিপদজনক প্রবণতা-মানসিকতা থেকে বেরুতে না পারলে- জাতির জন্য দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছু নেই!
---------------------------------------------------------------------------------------------------
ড. মঞ্জুরে খোদা । শিক্ষা বিষয়ক গবেষক । ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় । ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ । কানাডা।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২৯
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×