বিষ্ময়কর প্রতিভা গ্রিসের প্রখ্যাত গণিত-বিশারদ (জ্যামিতিক) পিথাগোরাস আরবী অক্ষরের (হরফের) গণিতের মান দিয়ে কোড নম্বর লেখার পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।
পিথাগোরাসের প্রবর্তিত অক্ষরের মান তথা ‘আবজাদ’ মান বসিয়ে দেখা যায় بِّسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ “বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম” এর মান াঁড়ায়;২+৬০+৪০+১+৩০+৩০+৫+১+৩০+২০০+৮+৪০+৫০+১+৩০+২০০+৮+১০+৪০=৭৮৬, আবার ৯২ দিয়ে বুঝান মুহাম্মাদ [ﷺ], আবার তারা ৬৬৬ দ্বারা বুঝায় শয়তান। মজার বিষয় হলো হিন্দুধর্ম বিশারদেরা গবেষণা করে দেখেছেন আরবীতে “হরে কৃঞ্চা” هرىكرشنا লিখে আরবী অক্ষরের মান নির্ণয় করলেও দেখা যায় মান দাঁড়ায় ৫+২০০+১০+২০+২০০+৩০০+৫০+১=৭৮৬
আরবি বাক্য লেখার পদ্ধতিতে একটি অক্ষরের সাথে অন্য একটি অক্ষর মিলিয়ে লেখা হলে ঐ শব্দটি পাঠ করার সময় শব্দটির বাম পাশে হরকতবিহীন একটি আলিফ যোগ করে এক আলিফ টেনে পাঠ করতে হয়। আর অক্ষরটি বামের অক্ষরের সাথে মিলিয়ে লিখলে হরকতবিহীন আলিফকে ছোট আকারে ‘যবর’ যোগ করে অক্ষরের উপর দিলেও এক আলিফ টেনে পাঠ করতে হয়। উক্ত ছোট আলিফকে খাড়া যবর বলে। আলিফের গাণিতিক মান হচ্ছে ১। অক্ষরের উপর দেয়া ছোট আলিফের অর্থাৎ খাড়া যবরের মানও হচ্ছে ১। এধরণের আরবী শব্দের মান নির্ধারণকে বলা হয় “আবজাদ”।
আজ থেকে খুব বেশী দিন নয়; দশ বছর পূর্বেও ট্রাক, বাস, হোটেলের সাইনবোর্ড, বই-খাতার মলাট, পত্রের শুরু এবং জায়গা সম্পত্তির দলিলের অগ্রভাগে লেখা থাকতো; ‘৭৮৬’।
ছোটবেলায় বইয়ের উপরে সুন্দর করে লিখতাম, ৭৮৬। জানতাম এটা বিসমিল্লা। আস্তে আস্তে জানতে পারলাম এটা নিয়ে দ্বিমত, ত্রিমত, নানামত আছে। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম এর সংখ্যা মান যদি ৭৮৬ হয়, তবে পুরো কোরানের মান কতো হতে পারে। আমার ধারণা পুরো কোরানের মান দিয়ে বোধহয় পৃথিবীর জন্ম-বয়সের কোন সুত্র থাকতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭