পৃথিবীটা বোকা মানুষে ভরপুর হলেও আমার নিজের দেশের মানুষের উপরে আমার ভালই আস্থা ছিলো এতদিন। সম্প্রতি সেই আস্থার দেয়ালে ফাঁটল ধরতে শুরু করেছে। বছর খানেক আগে এডসেন্স এবং ব্লগিং থেকে টাকা কামানো সম্পর্কিত কিছু টিউটোরিয়াল লিখেছিলাম। আশা ছিলো সাধারণের উপকারে আসবে.. তারা কিছু ডলার কামিয়ে দেশের রেমিটেন্সে কিছুটা হলেও অবদান রাখবে। টিউটোরিয়ালগুলো থেকে অন্তত টাকা কামানোর পদ্ধতির সাথে অনেক পরিচিত হয়েছে। এতে যে সবাই সফল হবে এমনও না.. কিন্তু চেস্টা করতে দোষ কী? যাই হোক.. সম্প্রতি খুব অবাক হয়েছি এইসব পদ্ধতির টিউটোরিয়াল নিয়ে শ্রেণীর মানুষকে ব্যবসা করতে দেখে। তারা এইসব সাধারণ টিউটোরিয়াল সিডিতে করে বাজারে ছেড়ে চড়া দামে বিক্রি করতে শুরু করেছে। কিছু সেমিনারওয়ালাও দেখলাম গজিয়ে উঠেছে। হাজার টাকা খরচ করে লোকজন সেই সেমিনারে গিয়ে টাকা বানানোর পদ্ধতি শিখে আসছে। যারা টাকা কামানোর পদ্ধতি শিখছে তারা টাকা কামাতে পারুক আর নাই পারুক সেমিনারওয়ালারা কিন্তু ঠিকই অনেক টাকা কামিয়ে নিচ্ছে। এটা এক ধরনের লোক ঠকানোর বানিজ্য ছাড়া আর কিছুই না। অথচ সকলের সামনেই চলছে এই কারবার। যেন কারোই কিছু বলার নেই...
তো এই ডিজিটাল ঠকবাজদের পাল্লায় যারা পড়েছেন তারা কিছু শিখতে না পারলেও একটা বিষয় কিন্তু শেখার কথা... সেটা হচ্ছে টাকা কামানোর পদ্ধতি অন্যকে শিখিয়ে কিভাবে টাকা কামানো যায়। আমি অনেক চিন্তা ভাবনা করে আরো আধুনিক আরো ডিজিটাল একটা পদ্ধতি বের করলাম। চলুন আমরা সেই পদ্ধতি শিখে ফেলি...
টাকা কামানোর সহজ পদ্ধতি:
- প্রথমে আপনি একটা ওয়েবসাইট খুলবেন বা পত্রিকায় বিজ্ঞাপণ দিবেন.. এই মর্মে যে- "এখানে টাকা কামানোর সহজ পদ্ধতি শেখানো হয়"।
- তারপর যারা টাকা কামানোর পদ্ধতি শিখতে আসবে তাদেরকেও পরামর্শ দিবেন এরকম টাকা কামানোর পদ্ধতি শেখানোর ট্রেইনিং সেন্টার দেয়ার জন্য। স্টুডেন্ট জোগার করতে পারলে নিশ্চিত ভাবেই তারা টাকা কামাতে পারবে।
কিভাবে টাকা কামানোর কথা বলে লোকজনের পকেট থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়া যায় তা সকলে জেনে যাওয়ার আগেই সত্যিকার অর্থে কিছু লোক টাকা কামিয়ে ফেলতে পারবে। এটা অন্তত মন্দের ভাল.... হাজার টাকা ফি নিয়ে যে পদ্ধতি শেখানো হয় সেই পদ্ধতি থেকে অন্তত বেশী কার্যকরী।
জয়তু ধান্ধাবাজী!
--
পূর্বে প্রকাশিত, প্রথম আলো ব্লগ ও ফেসবুকে ।
একই সাথে কম্পিউটার গ্রুপে প্রকাশিত।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:০০