হাবল দূরবীনের নতুন পরিসংখ্যান আ্যনড্রোমিডা (M-31) ছায়াপথের সাথে আমাদের ছায়াপথের সংঘর্সের পূর্বাভাস?
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
যুক্তরাস্টের ওয়াশিংটন ডিসিতে নাসার জ্যোতিবির্দরা এক সংবাদ সম্নেলনে বলেন,যে মহাকাশে পরবর্তী যে মহাজাগতিক ঘটনাটি ঘটবে,তা হলো আমাদের ছায়াপথের সাথে,আমাদের সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশী ছায়াপথ আ্যনড্রোমিডার সাথে সংঘর্সের ঘটনা ঘটবে।জ্যোতিবির্দরা মতে এই ঘটনাটি ঘটবে এখন থেকে 4 বিলিয়ন বছর পরে।তাদের মতে এই সংঘর্সের ফলে আমাদের সূর্য ছায়াপথের একটি নতুন অঞ্চলে নিক্ষিপ্ত হতে পারে।এতে করে আমাদের পৄথিবী এবং সৌরজগত ধংস হবে কিনা তা অনুধাবন করা যাবে এই শতকের পড়ে।
এবং তা বলা যাবে আ্যনড্রোমিডা এবং আমাদের ছায়াপথের পরবর্তী গন্তব্য কোথায় হবে তার উপর নির্ভর করছে।মোটকথা এর একটি পরিস্কার ছবি এবং ধারনা পেতে আমাদের আরো বিলিয়ন বছর অপেক্ষা করতে হবে।এই কথা বলেছেন বাল্টিমোরে অবস্থিত স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউটের জ্যোতিবির্দ স্যানগমো টনি শন।তিনি আরো বলেন,আমাদের ছায়াপথ এবং M-31(আ্যনড্রোমিডার আরেক নাম)ছায়াপথের মধ্যে যে মুখোমুখি সংঘর্স হবে তার একটি পরিসংখ্যান গত সামঞ্জস্যপূর্ন সর্ম্পক আছে।
এই ঘটনাটি হাবল দূরবীন অনুধাবন করে M-31 এর বর্তমান গতির উপর নির্ভর করে।M-31 ছায়াপথ বর্তমানে আমাদের কাছ থেকে 2.5 মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে আছে।কিন্তু এটি বর্তমানে অপ্রতিরোধ্য গতিতে নিম্নমুখী হয়ে আমাদের ছায়াপথের দিকে এগিয়ে আসছে।আর আমাদের ছায়াপথ ও ছুটে চলছে M-31 এর দিকে।এই দুই ছায়াপথের মুখোমুখি ছুটে চলার মধ্যে অদৄশ্য বস্তু (Dark Matter)এবং উভয় ছায়াপথের মাধ্যাকর্ষন শক্তির এক বিশাল ভূমিকা আছে।
বর্তমানে ছুটে চলা অবস্থায় দেখতে এদেরকে অনেকটা বেস বলের মত মনে হয়।এর মধ্যে M-31 এ দেখলে মনে হয় কোন দ্রুতগামী বলের চেয়ে ও 2,000 গুন বেশী গতি সম্পন।এবং এটি আঘাতে সময় নিবে সম্ভবত চার বিলিয়ন বছর হাবল থেকে প্রাপ্ত তথ্য কম্পিউটার সিমিউলেশনে দেখা যায়,দুই বিলিয়ন বছর ধরে মাধ্যাকর্ষন শক্তির সাথে যুদ্ধ করার পরে,এর আকার একটি একক উপবৄক্তার ছায়াপথের মত দেখতে হবে।
আমাদের ছায়াপথ এবং M-31 দুটি নিজেদের মধ্যে একে অপরকে টানাটানি করবে ।এই ছায়াপথ দুটির মধ্যে যে সমস্ত নক্ষত্র আছে,তারা পস্পপর থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে,মনে হয়।এবং তারা মনে হয় সংর্ঘেসের সময় নিজেদের মধ্যে কোন সংর্ঘসে জড়াবে না।তবুও সংর্ঘসের পরে এই সব নক্ষত্র নতুন একটি ছায়াপথের কেন্দ্রে ভিন্ন একটি কক্ষপথে ঘুরবে।
M-31 এর ত্রিভুজ আকৄতির একটি সহচর ছায়াপথ আছে এর নাম M-33। এটিও এই সংর্ঘসে যোগ দিবে।এবং এক পর্যায়ে এটি M-31 এবং আমাদের ছায়াপথের সাথে এক হয়ে একটি জোড়া সৄস্টি করবে।এই M-33 সংর্ঘসটিকে আরো জটিল করে তুলতে পারে।আশ্চর্যের বিষয় হলো এই সংর্ঘসে সবার আগে যোগ দিবে M-33।এই শতাব্দীর আগে জ্যোতিবির্দরা জানতো না, M-31 একটি আলাদা ছায়াপথ এবং এটি আমাদের থেকে অনেক দুরে,(এবং এর ভিতরে নক্ষত্র গুলো) অবস্থিত।
জ্যোতিবির্দ এডুইন হাবল সর্বপ্রথম এর রহস্য উদঘাটন করেন।দৄশ্যমান নক্ষত্র পর্যবেক্ষন করে,তিনি বলেন বিগব্যাং (মহাবিস্ফোরন) এর পথ ধরে ছায়াপথ গুলো বর্তমানে আমাদের থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছে।আর বর্তমানে জানা গেছে যে M-31 প্রতি ঘন্টায় 250,000 মাইল বেগে আমাদের ছায়াপথের দিকে ছুটে আসছে।এবং এই বেগ এতটাই বেশী যে এই বেগে 1 ঘন্টার মধ্যে চাঁদ থেকে ঘুরে আসা যাবে।
M-31 এর এই এগিয়ে আসা পরীক্ষা করা হয় ডপলার ইফেক্ট ও অন্যান্য আধুনিক যন্ত্রপাতি সাহায্যে।এটি এখনো অজানা এই সংর্ঘস হবে না কি দুটি ছায়াপথ একে অন্যকে পাশ কাটিয়ে চলে অন্যদিকে চলে যাবে।এবং এটি নির্ভর করছে M-31 এর পার্শগতির উপর।জ্যোতিবির্দরা এখন পর্যন্ত M-31 এর এই গতির হিসাব বের করতে পারেনি।এটি জানতে আরো এক শতাব্দী লেগে যেতে পারে।
হাবলের টিম লিডার ভ্যান ডার মারেল,এখনো এটি জানার জন্য গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন করছেন M-31 কে।এই সংর্ঘস যে হবেই তা যেমন এখনি নিশ্চিত করে বলা যায় না,তেমনি যদি সংর্ঘস হয় তবে এই দুই ছায়াপথের নক্ষত্র গুলো জট পাকিয়ে যাবে।এবং আমাদের ছায়াপথ বর্তমানে দেখতে যেমন, সেটা পালটে প্যানকেকের আকার ধারন করবে।
এবং তখন নক্ষত্র গুলো খুব কাছাকাছি এমন একটি কক্ষপথে ঘুরবে,যার ফলে ছায়াপথটি একটি বৄক্তাকার রুপ নিবে।
হাবল দূরবীন মেরামত করে সেখনে শক্তিশালী ক্যামেরা স্থাপন করে এসেছে।এর ফলে জ্যোতিবির্দরা পর্যাপ্ত সময় পাবে,M-31 এর নিম্নমুখি গতি পর্যবেক্ষন করার।হাবলের এই পরিসংখ্যান আ্যস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নালের পরর্বতি সংখ্যায় বের হবে।
তথ্য সুত্র ও ছবি নাসা-
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য
আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন
কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই
দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।
সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন
রম্য : মদ্যপান !
প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন
= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=
এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।
বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন
Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই
শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন