রাস্তায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে আনারস কাটা দেখা যায় । কি সুন্দর করে খোসা ছিলতে থাকে , আবার সাবধান হয়ে দেখে কোন চোখ অবশিষ্ট আছে কি না । চোখ থাকলে নাকি গলায় চুলকাবে । কিছু কিছু মানুষের চোখও উপড়ে ফেলা দরকার । একেবারে হৃদয়ে যেয়ে বিধে থাকে , কিছুতেই সরানো যায় না । তখন হৃদয়ই সরিয়ে ফেলতে হয় , বড্ড বেয়ারা কিছু চোখ ।
বাসায় ফিরলাম চেম্বার থেকে , তখন রাত প্রায় ১০ টার মতো বাজে । আজকে ঘরের দরজা আর লাগালাম না । খোলাই থাক , বাহিরে বেশ বাতাস বইছে । কলের পানিটা বেশ ঠান্ডা , শুধু ঠান্ডা না সাথে একটা শান্তি আছে ।
গোছল শেষে ঘরে ঢুকে ডাবল বেডের খাটে সটান হয়ে শুয়ে পড়লাম । ঘরের ছাদে লাগানো প্লাস্টিকের চাঁদ,তারা গুলো দেখেই পুরানো কথা মনে পড়ে গেলো । কেউ একজন এইগুলো গুনতে গুনতে ঘুমিয়ে পড়তো , বুকের বাঁ পাশে ।
বিছানা থেকে উঠে ব্যাগটা নিয়ে এলাম । ব্যাগ থেকে - এনেস্থেসিয়ার বোতল , একটা সিরিঞ্জ আর বটোলিনিয়াম বিষের বোতল ।
সিরিঞ্জ ভর্তি করে নিলাম এনেস্থেসিয়ার তরল পানীয়তে , বিষের বোতল খুলে মুখের কাছে রাখলাম ।
সিরিঞ্জটা কোমড়ের কাছে গেঁথে দিয়ে দ্রুত বিষটা পান করে ফেললাম ।
কষ্ট হবে না , কোন কষ্ট হবে না - নিজেকে স্বান্তনা দিতে লাগলাম ।
রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনছে পাশের বাসার অরু -
" ও যে মানে না মানা।
আঁখি ফিরাইলে বলে, 'না, না, না।'
যত বলি 'নাই রাতি-- মলিন হয়েছে বাতি'
মুখপানে চেয়ে বলে, 'না, না, না।'......"
কাল- বৈশাখির বাতাস ছেড়েছে , ঘরে ধূলো ঢুকছে , আজ শশী নেই দরজা জানলা খোলা থাকবে । ঘরে মোমবাতি নেই , কারেন্ট গেলে কুচকুচে অন্ধকার হয়ে থাকবে ঘরগুলো
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:১৫