আজকাল গরম পড়ছে বেশ। আর এটার প্রমান পাওয়া যাচ্ছে, ঢাকা শহরের ফুটপাতে। প্রায় সকল ফুটপাতই এখন তরমুজ বিক্রেতাদের দখলে! সবাই আরামসে তরমুজ বিক্রি করছেন। এই বছর তরমুজের মনে হয় বাম্পার ফলন! (উৎপাদক ভাইদের অভিনন্দন জানাচ্ছি, আশা করি তারা তাদের নায্য মুল্য পাবেন) রাস্তার বড় বড় তরমুজ দেখে যে কোন মানুষের লোভ হবেই। ৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকার মধ্য এখন ভাল তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। আমি গতকাল সন্ধ্যায় ১০০ টাকা দিয়ে একটা তরমুজ কিনে বাড়ী ফিরেছিলাম। বেশ মিষ্টি এবং সুস্বাদু হয়েছিল।
গতকাল রাতে হাফ তরমুজ খাওয়া হয়েছিল। আজ দুপুরে বাকী হাফ দিয়ে তরমুজের শরবত বানানো হয়েছিল। আমাদের বাড়ীতে চারটে শিশু আছে। তাদের ঢেকে এনে শরবত পান করলাম। আমার শর্ত ছিল তাদের ছবি তুলতে দিতে হবে। আসলে এই ভাবে নানা উছলায় আমি গত ১০/১২ বছর ওদের ছবি তুলে আসছি! ওরা বড় হয়ে একদিন আমার কাজের তারিফ করবে। ওরা যত বড় হচ্ছে তত একলা হয়ে যাচ্ছে, এখন আর আগের মত খেলাধুলা করে না। আজকের ছবি গুলো দেখুন।
তরমুজের রস (ঠান্ডা), লেবুর রস এবং সামান্য চিনি (তরমুজ মিষ্টি হলে দরকার নাই)। এই হচ্ছে রেসিপি। যারা এখনো তরমুজের শরবত খান নাই তাদের একবার পান করে দেখতে বলি। সারা জীবন মনে থাকবে।
ছবি ১
ছবি ২
ছবি ৩
ছবি ৪ - শরবত পান শেষে আমি জিজ্ঞেস করলাম, কেমন লাগল? ওদের অভিব্যক্তি দেখুন।
শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের জন্য এই পৃথিবী বাস যোগ্য করে যেতে হবে আমাদের। আর খাদ্যে ভেজাল রুখতেই হবে। খাদ্যে ভেজালকারীদের আমি ফাঁসি চাই। খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।