ইন্টারভিউ এবং আমার লটারী ভাগ্য বেশ! এ যাবত চাকুরীর যত ইন্টারভিউ আমি ফেইস করেছি কখনো ফেল করি নাই! বরঞ্চ আমিই তাদের ছেড়ে এসেছি! হা হা হা… লটারি ভাগ্য! আমার লটারী ভাগ্য বেশ ভাল বলা চলে। লটারিতে ও আমি তেমন ফেল মারি নাই! অংশ গ্রহন করলে কিছু না কিছু কিংবা শান্তনা পুরস্কার হলেও পেয়ে যাই! আপনারা আবার মুখ লাগাবেন না, আমি আগামীতেও লটারি জিততে চাই। (আমার লটারি ভাগ্য নিয়ে লিখলে মোটামুটি একটা উপন্যাস হয়ে যাবে!)
কিছুদিন আগে স্কায়ার কঞ্জুমার প্রোডাক্ট এর রাধুনী গুড়া মশলা কিনে এসএমএস করে পুরুস্কার জিতে নেয়ার একটা লটারি ছিল। আমি ও আমার ব্যাটারী মশলা কিনতে গিয়ে এই অফার দেখে আমরা রাধুনী ব্যান্ডের মশলা কিনি এবং এই লটারিতে আমরা অংশ গ্রহন করেছিলাম। আমার ব্যাটারীর ইচ্ছা ছিল প্রথম পুরস্কার, রান্নাঘরের সরাঞ্জাম, কিচেন সাজিয়ে দেয়া।
যাই হোক, কিছু একটা তো পেয়েছি! মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমি কয়েকদিন ধরে এমন একটা রান্নার সেট কেনার কথা ভাবছিলাম, ঘরে হাড়ি পাতিল গুলো অনেক পুরনো হয়ে পড়ছে, ছবি তুলে রেসিপি দিতে পুরাই পুরাতন দেখাছিল!
কিন্তু টাকা যোগাড় করতে পারছিলাম না! হা হা হা… দুনিয়াতে মানুষের কোন ইচ্ছাই উপরওয়ালা অপূর্ন রাখেন না!
ছবি ১
ছবি ২
ছবি ৩
দুনিয়াতে লটারি (হঠাত কিছু পেয়ে যাওয়া) আছে বলেই হয়ত এখনো অনেকে স্বপ্ন দেখে! স্বপ্ন দেখতে তো আর টাকা লাগে না!
আমাদের দেশে কম্পিউটারাইজড ইউরোপ/আমেরিকার আদলে ন্যাশনাল লটারি চালু করা দরকার, মুল্যমান ১০ টাকা এবং নিখুত কম্পিউটারাইজড ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা হলে মানুষের উপকার হত। সপ্তাহে একজন বা কয়েকজনকে কোটিপতি বানালেও বছরে ৫২ জন বা তার বেশী ব্যক্তি, গ্রুপ, পরিবার বা প্রতিষ্ঠান কোটিপতি হয়ে যেত। বাংলাদেশের সাধারন মানুষের স্বপ্ন আরো বেড়ে যেত!
কোন এক ভাল সরকার/প্রধানমন্ত্রী এসে সবই একদিন দেশে করবে, হয়ত আমরা সেদিন আর জীবিত থাকবো না! আমাদের মরে যেতে হবে, কত কিছু না দেখেই। দেশমাতার দারিদ্র অবস্থা আর সইতে পারি না!
(লেখাটা আমার রেসিপি ব্লগেও এক যোগে প্রকাশিত)