মুল উপকরণ পেঁপে দিয়ে এই খাবারের রেসিপিটা আমাকে সংগ্রহ করতে হয়েছিল, থাইল্যন্ডের এক রেল স্টেশনের ধার থেকে, যা অনেকটা আমাদের দেশের রেল পথের ধারের দোকানের মতই।
এই সাধারন হোটেলের কোন নাম নেই, ছিল না কোন জৌলুশ! তিন জেনারেশন মানে নানী, মা এবং নাতনী মিলেই এই সাধারন হোটেলটা চলছিলো। তবে প্রচুর বিক্রি হয়। উনারা কেহই ইংরেজী বলতে পারেন না, ভাগ্য ভাল হওয়াতে এক কাষ্টমার পেয়ে যাই এবং তিনি আমাকে সাহায্য করেছেন। পরিশেষে আমি এই খাবার খাই এবং রেসিপির জন্য ছবি গুলো তুলে আনি। উনারা ভিন্ন দেশী হিসাবে আমাকে অনেক খাতির যত্ন করেছেন, এটা আমার মনে থাকবে। একটা টুলে আমাকে বসে খেতে দিয়েছিলেন, যা দেখেছি কারো জন্যই নেই!
শুরুতেই বলে নেই, এই খাবারের স্বাদ আমি কখনো ভুলতে পারবো না, অসাধারণ। এর পর আমি থাইল্যান্ডে গেলে কাউকে না জানিয়ে আবারো উনাদের কাছে চলে যাব এবং এই খাবার খাব। এটা মুলত এক ধরনের সালাত, যা থাইদের নিজস্ব ডিস, সাথে অনেকে রাইস, চিকেন ফ্রাই বা মাছ ভাজা খেয়ে থাকেন। আমিও একটা চিকেন ফ্রাই খেয়েছিলাম। যাই হোক, আরো অনেক গল্প আছে, সেগুলো আগামীতে লিখে ফেলবো। চলুন রেসিপিটা দেখে ফেলি। এটা আমাদের দেশেও করা যেতে পারে, আমি ভেবে দেখেছি শুধু একটা উপকরণ ছাড়া বাকী সব উপকরণ আমাদের বাসায়ই আছে। আমি নিজেও একদিন রান্না/বানিয়ে ফেলবো এবং সেটার রেসিপিও আপনাদের দেখাবো। চলুন দেখে ফেলি।
উপকরণ ও পরিমানঃ (এক প্লেট বা একজনের জন্য)
- দুইকাপ কাঁচা পেঁপের কুচি
- দুই/তিন কোষ রসুন
- দুই/তিনটা লাল/সবুজ মরিচ (ঝাল বুঝে দিতে হবে)
- দুই টেবিল চামচ ভাজা বাদাম
- ছোট টমেটো কুচি দুইটা
- এক চিমটি লবন
- দেড় টেবিল চামচ ফিস সস
- তিন টেবিল চামচ শুকনা চিংড়ী (চিংড়ী শুকিয়ে তেলে ভেজে নিতে হয়)
- ১/২ চামচ প্লাম সুগার (এটা অনেকটা আমাদের তাল মিছরির মত)
- এক টেবিল চামচ লেবুর রস
- কয়েক পিস (এক/দেড় ইঞ্চি করে কাটা) বরবটি
- এক চা চামচ সরিষার তেল
- শুকনো কাঁকড়া (তেলে ভাজা, এটা অফশন্যাল, আপনি না খেলে না দিলেও চলে, আমি খেয়েছি, ভাল লেগেছে)
প্রস্তুত করন/ মিক্স করনঃ
* একটা লোহার হামান দিস্তা (দিস্তা কাঠের হয়ে থাকে) এই খাবার তৈরীতে লাগে।
* প্রথমে রসুন, মরিচ, একচিমটি লবন ও এক মুট পেঁপে কুচি দিয়ে হামান দিস্তায় চেঁচা হয় এবং একে একে উপকরণ দেয়া হতে থাকে এবং চেঁচাও চলতে থেকে।
* উলট পাল্ট করার জন্য একটা চামচ থাকে। দিস্তাটা কাঠের হয়।
* সব কিছু দিয়ে তেল এবং প্লাম সুগার।
* এবার চিংড়ী, কাঁকড়া সব।
* লেবুর রস ভুলে গেলে চলবে না! এবার লেবুর রস দিয়েই বাকী পেঁপে কুচি এবং বরবটি দিয়ে ফাইন্যাল এক দফা চেঁচা দিতে হবে।
* ব্যস হয়ে গেল সমটাম।
* এবার প্লেটে তুলে পরিবেশনের পালা।
রেসিপি প্রিয় ভাই বোনদের জন্য শুভেচ্ছা। এই রকম খাবার খেলে পেটে মেদ জম্বে কি করে? তাই তো থাইরা মেদহীন! হা হা হা।
আরো ছবি নিয়ে ডিটেইলস দেখতে হলে আমার পারশোন্যাল ব্লগে আসতে পারেন। আমন্ত্রন জানিয়ে গেলাম।
http://wp.me/p1KRVz-145